সমুদ্রের ডাকে সাড় দিতে কার না ভালো লাগে৷ সে আপনারা নব দম্পতিই হোন বা জীবনের প্রান্তবেলায় এসে পৌঁছনো যুগল৷ প্রেমের মুহূর্তগুলি ফিরে পেতে নির্জন সৈকতে কি পাড়ি দিতে চান অন্তত একবার? সঙ্গীর হাত ধরে রোমান্টিক সফরে যাওয়ার উপযুক্ত দুটি এক্সক্লুসিভ বিচ-এর সন্ধন দিচ্ছি আমরা৷Unknown Beaches আবিষ্কার করার জন্য এবার শুধু বেরিয়ে পড়ার অপেক্ষা৷আপনার Seaside Vacation ভালো কাটুক এটাই আমাদের কামনা৷
আর্যপল্লি বিচ
ওড়িশার বেরহামপুর থেকে মাত্রই ৩০কিমি দূরে আর্যপল্লি সমুদ্রসৈকতের অবস্থান। ঢেউ যেখানে কথা বলে সাগরবেলার সাথে। একটু অফবিট বলে মনোরম এই সমুদ্রতট এখনও বেশ নির্জন। প্রকৃতিপ্রেমিক পর্যটকদের নির্জনে সময় কাটানোর আদর্শ বেলাভূমি। সূর্যোদয়ের নরম আলো গায়ে মেখে সোনালি বালির উপর ভোরবেলায় হেঁটে বেড়ানো, এক অনিন্দ্যসুন্দর অভিজ্ঞতা। জেলেরা নৌকো নিয়ে ততক্ষণে মাছ ধরতে যাওয়ার তোড়জোড়ে ব্যস্ত। কাঁকড়ার দল ত্রস্ত পায়ে ঘাপটি মারছে বালির তলায়। লবণ হাওয়ায়, সামুদ্রিক জলের গন্ধে মম করছে চরাচর।
ট্রেনে বেরহামপুর নামুন বা ন্যাশনাল হাইওয়ে দিয়ে গাড়িতে যান, থাকার জন্য বেরহামপুরই ভালো। বেরহামপুরে স্বস্তি পাম রিসর্ট বেশ বিলাসী ব্যবস্থা। কেউ কেউ ৬ কিমি দূরের ছত্রপুরেও থাকেন। সেখানে রয়েছে, সি-পার্ল হোটেল এবং গ্রিন পার্ক হোটেল। সময় পেলে ঘুরে নিন কাছের জেলে বস্তি এবং সি মিনারেল প্রোজেক্ট। ২ দিনের অবসর যাপনের জন্য হাতের কাছেই সমুদ্র উপভোগের এ এক অপূর্ব বিকল্প স্পট।
বারুভা বিচ
অন্ধ্রের ভার্জিন সমুদ্র সৈকতগুলির মধ্যে অন্যতম বারুভা বিচ। শ্রীকাকুলাম জেলার এই অপূর্ব স্পটটি হতে পারে পর্যটকদের সপ্তাহ-শেষের গন্তব্য। মহেন্দ্র তনয়া নদী এখানে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। ব্রিটিশ রাজত্বকালে এটি একটি ব্যস্ত বন্দর ছিল। বন্দরটি বন্ধ হয়ে যায় ১৯৪৮ সালে। সেই থেকে এক অদ্ভুত রহস্যময়তা আঁকড়ে পড়ে রয়েছে এই বিচ। মূল বারুভা শহরটি, বিচ থেকে বেশ কিছুটা দূরে অবস্থিত। কাজু, কেয়া, নারকেল বাগানে ঘেরা মনোরম সৈকত। একটি লাইট হাউসও রয়েছে।