অনেকে রূপচর্চাতেও দই ব্যবহার করেন। ত্বক ও চুল ভালো রাখতে দইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার সমর্থনে অনেক প্রমাণ রয়েছে। টক দইতে দুটো উপকারী ব্যাকটিরিয়া থাকে। এদের একটির নাম ল্যাক্টো ব্যাসিলাস এবং অন্যটির নাম বিফিডো বা বাইফিডো ব্যাকটেরিয়া।

শেষপাতে দই খাওয়ার লোভ অনেকেই ছাড়তে পারেন না।শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং নানাবিধ রোগের হাত থেকে বাঁচাতে নিয়মিত দই খাওয়া যে মাস্ট, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু দই দিনেরবেলায় খেলে তা হজমে সহায়তা করে, ফলে দারুণ উপকারী। দই -এ সেই সমস্ত এনজাইম আছে, যা হজম প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। অথচ রাতে দই খাওয়া মানেই বিপদ ডেকে আনা। কারণ সূর্যাস্তের পর আমাদের পাচন ক্ষমতা হ্রাস পায়।

আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে সূর্য ডোবার পর দই খেলে শরীরে অন্দরে মিউকাস জমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সর্দি-কাশির প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। রাতের বেলা যদি দই খেতেই হয়, তাহলে দই দিয়ে ভাত খেতে পারেন।এই খাবারটি শরীরকে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। দই-এ থাকা ব্যাক্টেরিয়া গলায় জমে থাকে। শ্লেষ্মা বৃদ্ধি পায়, ফলে গলা চিরে যাওয়ার অনুভতি হয়।

Curd at night may be dangerous

বস্তুত, দই আমাদের শরীরের কোশগুলির মধ্যে বিপরীত ক্রিয়া বৃদ্ধি করে। ফলে, শরীরে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়। যেহেতু রাতে খাবার পরই আমরা ঘুমোতে যাই এবং দিনেরবেলার মতো অ্যাক্টিভ থাকি না, তাই স্বাভাবিক হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়ে বমি শুরু হতে পারে।

ঠান্ডা লেগে যাওয়া ছাড়াও, ব্রণ-র সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়াও হল রাতে দই খাওয়ার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া। যাদের ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্স বা অ্যাসিড রিফ্লেক্স-এর মতো সমস্যা আছে, রাতে দই খেলে বিপদ বাড়বে।

যাঁরা ভাবেন দই খেলে ওজন কমবে, বাস্তবে ঘটে এর ঠিক উলটো। ওজন বেড়ে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, বাতের ব্যথা বেড়ে যাওয়া সবই হতে পারে রাতে দই খাওয়ার ফলে।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...