ফল খাওয়া ভালো একথা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।একসময় মা-ঠাকুমারা মরশুমি ফল খাওয়ার উপর বেশি গুরুত্ব দিতেন। ঋতু অনুযায়ী যখন যে-ফল বাজারে পাওয়া যেত, তার একটা আলাদা গুরুত্ব ছিল, উপকারিতাও ছিল। কিন্তু এখন কোল্ড স্টোরেজের সাহায্যে, সারা বছরই সবরকম ফল পাওয়া যায়। অনলাইন-এ অর্ডার করে, বা শপিং মার্ট-এ গেলেই সেসব ফল আপনি অনায়াসে কিনতেও পারবেন। কিন্তু সেই প্রিজার্ভড ফলে কতটা গুণাগুণ বজায় থাকে, তা একটা প্রশ্ন চিহ্ন তো বটেই।
Seasonal Fruits বা টাটকা ফলের কথা যদি বলেন, শীতে কমলালেবু, আপেল, বেদানা জাতীয় ফল পাওয়া যায়। ওই ঋতুতেই এইসব ফলে পুষ্টিগুণ থাকে বেশি। বছরের অন্য সময় এগুলি ফলানো হলেও, তা গুণমানে তেমন ভালো নয়। তাই শীতের ফল শীতেই খাওয়া উচিত। গরমের ফল গরমে।
গরমে তরমুজ, শাঁকালু, ফুটি, পেঁপে, আম প্রভৃতি খাওয়া হয়। শরীরে জলের চাহিদা মেটাতে তরমুজ, শশা, খরবুজার তুলনা নেই। শীতকালে আবার সর্দি-কাশির সমস্যা লেগেই থাকে। তাই Winter fruits কমলালেবুতে পাওয়া ভিটামিন সি আপনাকে এই রোগ-অসুখ থেকে সুরক্ষা দেয়।
কিছু ফল আছে, সারা বছরই যা খাওয়া উপকারী। কলা, স্ট্রবেরি, আঙুর যে-কোনও সময়ই খাওয়া যেতে পারে। বেরি জাতীয় ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। তাই স্ট্রবেরি ছাড়াও খেতে পারেন ব্লুবেরি এবং ক্র্যানবেরি। এতে থাকে অ্যান্থোসায়ানিন এবং অ্যালাজিট্যালিনের মতো ফেনল যা. হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ক্যানসার ও ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ প্রতিরোধ করে। ডায়েটরি ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স-এ সমৃদ্ধ এই ফল।
কী খাবেন?
প্রতিদিনের Diet Chart-এ অন্তত একটি করে মরশুমি ফল সামিল করুন। গোটা খেতে ইচ্ছে না করলে, রস করে খান। ডায়াবেটিজ-এর রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ মতো বাছাই করা ফল খান। লো-গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রয়েছে এমন ফলই খেতে পারেন। যেমন, পেঁপে, আপেল, আঙুল, কমলালেবু, নাসপাতি, জাম, পেয়ারা প্রভৃতি।
আসলে প্রকৃতি আমাদের শারীরিক প্রয়োজনমতোই ঋতু অনুযায়ী ফলের রকমফের রেখেছে। প্রতিটি ফলের কিছু গুণাগুণ রয়েছে যা ওই বিশেষ সময়ে জন্যই উপযুক্ত।