অনেকদিন ধরে মাথায় একটা প্রশ্ন ঘুরছিল নবামীর– চাকরি, পরিবার এবং বাচ্চা সামলেও সবসময় এত হাসিখুশি এবং প্রাণচঞ্চল থাকে কী করে পৃথা?

একদিন যখন নবামী সত্যিই এই প্রশ্ন নিয়ে বন্ধু পৃথার মুখোমুখি হল, একগাল হেসে পৃথা তখন জবাব দিল, ‘আনন্দে থাকতে চাইলেই থাকা যায়। ভালো থাকার চাবিকাঠি আছে নিজের হাতের মুঠোয়। চাইলে তুইও আমার মতো আনন্দে থাকতে পারবি, শুধু তোর একটু কাউন্সেলিং-এর প্রয়োজন। একদিন আমার বাড়িতে আয়, আনন্দে থাকার কৌশল Sex তোকে শিখিয়ে দেব।’

পৃথা আসলে মনোবিদ। তাই নবামী যখন পৃথার বাড়িতে এল, পৃথা বলতে শুরু করল, ‘শোন, ভালোভাবে বাঁচতে হলে প্রথমে ভালো রাখতে হবে নিজের শরীর এবং মন। আর এই শরীর এবং মন ভালো রাখার জন্য হতে হবে স্বাস্থ্য সচেতন। আর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল থাকার জন্য অন্যতম মাধ্যম করতে হবে যৌনতৃপ্তিকে। কারণ, নিছক আনন্দলাভ কিংবা সন্তানলাভের জন্যই সেক্স নয়, ইট ক্যান গিভ আস লট্স অফ হেল্থ বেনিফিট্স।’

প্রথমত, সেক্স ক্যান কিওর হেডেক। যাদের নিয়মিত মাথা-ধরে, তাদের জন্য সেক্স খুব ভাইটাল মেডিসিন। আসলে, শরীরে উত্তেজনা তৈরি হয়ে তা যদি স্খলনের মাধ্যমে লাঘব না হয়, তাহলে অক্সিটোসিন হরমোন মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। এরফলে শুরু হয় মাথা-যন্ত্রণা। কিন্তু যদি সঠিক যৌনতৃপ্তি হয়, তাহলে অক্সিটোসিন হরমোন নির্গত হয়ে মাথাযন্ত্রণা লাঘব করে।

দ্বিতীয়ত, যাদের চোখেমুখে ক্লান্তির ছাপ পড়ে, তারাও মেডিসিন হিসাবে বেছে নিতে পারেন সেক্স-কে। কারণ, সমীক্ষায় দেখা গেছে, যাদের নিয়মিত ব্যালেন্সড সেক্সলাইফ আছে, ক্যালোরি ক্ষয় হওয়ার কারণে তাদের ঘুম ভালো হয় এবং ঘুম ভালো হলেই চোখমুখের ক্লান্তভাব দূর হয়ে যায়। তৃতীয়ত, সেক্স ক্যান ইনক্রিজ ব্লাড ফ্লো। অর্থাৎ, যৌনসঙ্গমের ফলে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়। কারণ, সেক্স-এর সময় হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, তাই মস্তিষ্কেও রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে, তারুণ্য বজায় থাকে এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

অবশ্য শুধু এই তিনটি হেল্থ বেনিফিট্ই নয়, সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স আরও অনেকরকম স্বাস্থ্যগত সুফল দান করে। যেমন– কেউ যদি ২০ মিনিট সেক্সচুয়াল ইন্টারকোর্স করেন, তাহলে তার প্রায় ১৫০ ক্যালোরি ক্ষয় হয়। আর প্রতি সপ্তাহে যদি অন্তত তিনদিন ২০ মিনিট করে যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হন, তাহলে প্রায় ৪৫০ ক্যালোরি ক্ষয় হবে, যা বডি মেন্টেনেন্স-এর ক্ষেত্রে কাজে লাগবে। তাছাড়া, একটি ভারসাম্যপূর্ণ যৌনজীবন থাকার ফলে বেশি অ্যাকটিভ থাকা যায় এবং শারীরিক তৃপ্তির মাধ্যমে আসে মানসিক শান্তি। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে সুব্যবহারের মাধ্যমে। এরফলে চট করে মাথা গরম হয় না, প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায় ঠান্ডা মাথায় এবং সবসময় মন থাকে চনমনে। আর শরীর, মন ভালো থাকলে দীর্ঘদিন নিরোগ এবং সুস্থ থাকা যায়, ফলে আয়ুও বাড়ে।

এখন প্রশ্ন, হেল্থ বেনিফিট্স পাওয়ার জন্য কেমন যৌনতৃপ্তির প্রয়োজন?– এই প্রশ্নের উত্তরে জানাই, সেক্স যেন মেকানিক্যাল না হয়। সাধারণত দাম্পত্য জীবনে বছর পাঁচেক পর থেকে অনেক দম্পতি যৌনমিলনকে যান্ত্রিক করে তোলেন। এরফলে, নারী-পুরুষ হয়তো সাময়িক আনন্দ পান কিন্তু সেক্স বেনিফিট্স লাভ করতে পারেন না। আসলে সঠিক যৌনতৃপ্তির জন্য নারী-পুরুষ উভয়কেই শারীরিক প্রস্তুতি নিতে হবে। এরজন্য পুষ্টিকর খাদ্য এবং উপযুক্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে ফিজিক্যাল ফিটনেস তৈরি করতে হবে প্রথমে। সঙ্গে থাকতে হবে পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা, মিলনের ইচ্ছে, বোঝাপড়া প্রভৃতি। এরপর স্বতঃস্ফূর্ত ফোরপ্লে এবং আন্তরিক মিলনেই মিলবে আসল যৌনতৃপ্তি। আর মনে রাখবেন, যে জুড়ি যতদিন এই যৌনতৃপ্তি  Sex উপভোগ করবেন, তারা যৌবনকেও দীর্ঘায়িত করতে পারবেন।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...