ভারতের পঁচিশতম এবং পৃথক রাজ্য গোয়া। আকর্ষণে অন্যতম। পাহাড় আর সমুদ্রের ফাটাফাটি কম্বিনেশন। গোয়ার আকৃতি আধফালি চাঁদের মতো। এখানে বসবাস করে কোঙ্কন জাতির লোকেরা। স্বভাবে হইহুলোড়-প্রিয় গোয়ানরা, গান-বাজনায় ভরে রেখেছে গোয়ার পরিবেশকে। কাজু আর নারকেলগাছে ঘেরা তট আর সোনালি বালিয়াড়ি অচিরেই মায়াজাল বুনে দেয় পর্যটকের মনে। গোয়ায় সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখার মতো। বছরের প্রায় বেশিরভাগ সময় উৎসবে মেতে থাকে গোয়া। মিরামার বিচে নভেম্বর মাসে চলে ফুড ও কালচারাল ফেস্টিভ্যাল। তবে শুধু মিরামার বিচ-ই নয়, ১০৫ কিলোমিটার ব্যাপ্ত তটরেখায়, শ্যামল-সবুজ অনুচ্চ পাহাড়ের কোলে রয়েছে মোট ৪০টি বিচ। এরমধ্যে, উল্লেখযোগ্য কালানগুটে, আঞ্জুনা, মেনড্রেম, কান্ডোলিম, বাগা প্রভৃতি বিচ।
দেখার মতো দুটি স্পট ডোনা পাওলা ও অ্যাকোয়াডা ফোর্ট। গোয়ার মন্ডোভি নদী সংলগ্ন ঝাঁ-চকচকে রাস্তায় গাড়ি করে ঘুরে বেড়াতেও দারুণ লাগে। এছাড়া, গোয়ার লোন্ডা থেকে মারগাঁও যাত্রায় মন কেড়ে নেবে দুধসাগর জলপ্রপাত। প্রায় ৬০০ মিটার উঁচু থেকে দুধ-সাদা জল নামতে দেখবেন এই জলপ্রপাতের সামনে দাঁড়ালে। আর এসবেও যদি মন না ভরে, তাহলে দেখে নিতে পারেন মাতানচেরি প্রাসাদ, শ্রীমঙ্গেশ এবং শান্তাদূর্গা মন্দির, সে-ক্যাথেড্রাল, ওল্ড গোয়া চার্চ, চার্চ অফ্ ইমাকুলেটেড কনসেপশন, সেন কাঞ্জোন প্রভৃতি।
যদি সঙ্গিনীর সঙ্গে জঙ্গল দর্শনের আনন্দ উপভোগ করতে চান, তাহলে সোজা চলে যান দুধসাগর জলপ্রপাত লাগোয়া ‘মহাবীর ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি’-তে। তবে যেখানেই যান আর যা-ই দেখুন না কেন, গোয়া ভ্রমণকে ভাগ করে নিন তিনভাগে। ওল্ড গোয়া দেখে যান নর্থ গোয়ায় এবং সবশেষে সাউথ গোয়া ঘুরে বাড়ি ফিরুন। আর হ্যাঁ, গোয়া ভ্রমণে সি-ফুড ছাড়াও, দেশি-বিদেশি নানারকম খাবারের স্বাদ নিতে ভুলবেন না।
কীভাবে যাবেন
হাওড়া থেকে এলটিটি জ্ঞানেশ্বরী সুপার এক্সপ্রেস-এ লোকমান্য তিলক নেমে, ওখান থেকে কোঙ্কন রেলে গোয়া পৌঁছোন। যেতে পারেন আকাশপথেও। দমদম বিমানবন্দর থেকে রওনা দিয়ে নামুন ভাস্কো-ডা-গামার ডাবোলিম-এ। ওখান থেকে বাস কিংবা ট্যাক্সিতে পৌঁছোন গোয়া।
যোগাযোগঃ গোয়া টুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন
দূরভাষঃ ০৮৩২-২২২৬৫১৫/ ০৮৩২-২৪৩৮৭৫০-৫১-৫২.
E-mail : goatourism@dataone.in