পয়লা মাঘ। রাঢ় বাংলায় তার আগের দিন পালিত হয় পৌষ সংক্রান্তির পরব। প্রান্তিকজনের ঘরে ঘরে মাসেক কাল ধরে হয় টুসু ঠাকরুনের পরব পালন। শেষ হয়, বাঁধের জলে দেবীর চৌদল ভাসিয়ে দিয়ে। কিন্তু পরবের উত্তাপ চলে আরও ক’টা দিন। সদ্য শ্রমের ফসল উঠেছে চাষীর ঘরে। এই সময়টা কিঞ্চিৎ স্বচ্ছলতার বিনিময়ে সুখ সওদা করে মানুষ। পরদিন পয়লা মাঘ দলিত জন, পাহাড়কে পুজো করে শীত ভোরে। মাঝি পাড়ার নায়া (পুরোহিত) মাঘ-ভোরে স্নান করে পাহাড়ের শীর্ষে উঠে সাদা মোর্গার রক্ত দিয়ে পাহাড়কে তুষ্ট করবে।আতপ চাল ছড়িয়ে মন্ত্র পড়ে মারাং দেবতাকে বলে– ‘হে পাহাড় বাবা, তোমার কৃপায় আমাদের সারা বছরের আহার। তুমি পাহাড়ে যোগাও খাস আলু, বনকচু, কন্দ, পিয়াল,ভুররু, পাকা কেঁদ, ভ্যালাই, মাদাল, কাঁঠাল, বেল– তাই খেয়ে ভূমিপুত্র বাঁচে। তোমার চিহড় পাতায় কুটির ছাওয়া হয়। চিহড় দড়ি সংসারের ব্যবহারে লাগে। পাহাড়ে কতই ভাম, কাঁটাচুয়া, সজারু, শশক, গোসাপ আমাদের অভাবের দিনের খাদ্য। আমাদের যাদের হাতে কাজ নাই, জমিন নাই, পঞ্চায়েতি বরাত নাই তাদের কাছে তুমিই দানসাগর হে মারাং বাবা!’

পাহাড় পুজোকে কেন্দ্র করে বড়োসড়ো মেলা লাগে মাঠা পাহাড়ে। আমাদের সেই মেলায় যাওয়ার প্রস্তুতি পর্বে সাতসকালেই যুধিষ্টির হাজির এক দুঃসংবাদ মুখে নিয়ে। যুধিষ্টির অযোধ্যা ভ্রমণে আমার স্থানীয় গাইড ও ভাই বলা যায়। বলল, মাঠার মেলায় যাওয়ার কোনও গাড়ি নেই বাঘমুন্ডি বাজারে। সব আগেভাগে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেছে আগুন দরে।

ট্রেকার, ট্রলি, নিদেনপক্ষে একটা ভ্যান রিক্সা?

সব ঢুঁ-ঢুঁ দাদা।

– তা হলে? একেই শীতকাল। দিনটা ভয়ংকর রকমের মেঘলা। শিশির দানা ঝরছে বৃষ্টির মতো, আর উত্তরের কনকনে বাতাস। বাঘমুন্ডির এই সেচ– বাংলো থেকে মাঠার দূরত্ব কতটা?

সে অপরাধী মুখে বলল– ১০ কিমি।

সে জন্যে যাওয়া তো থেমে থাকবে না। সুতরাং আমাদের প্রস্তুতি পর্ব চলতে থাকল।যুধিষ্ঠির যাওয়ার ভাবনাটুকু আমাদের মধ্যে চারিয়ে দিয়ে, সঠিক সময়ে হাজির হওয়ার অঙ্গীকারে চলে গেল।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...