দলবল মিলে বেরিয়ে পড়া গেল মহারাষ্ট্রের Melghat ব্যাঘ্র সংরক্ষণ-প্রকল্পের উদ্দেশ্যে। হাওড়া থেকে গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেসে চড়ে চলে এলাম নাগপুর। আগেই গাড়ির বন্দোবস্ত করা ছিল, মালপত্র নিয়ে তাতে উঠে পড়া। আমাদের যাত্রা হল শুরু। শহর ছাড়াতেই পথের ধারে শুরু হল ঝরাপাতার খেলা অর্থাৎ পর্ণমোচী অরণ্যভূমি। পূর্ণতা যেমন সুন্দর তেমনি রিক্ততার সৌন্দর্যও কম নয়। ভারি সুন্দর লাগছে এই পাতা ঝরার মেলা। পথে মাঝে মাঝে অবশ্য বড়ো বড়ো শহরতলিও পড়ছে, দোকান বাজার, কোথাও কোথাও হাটও বসেছে।
কোটল নামে এক জায়গায় আমরা একটা দোকানে ব্রেকফাস্ট করলাম। আবার চলা। পথের ধারে নানা খেতখামার–ওলকপি, গম, যব, বাজরার খেত। সবুজ ও সোনায় মেশামেশি। কাপাসতুলোর খেতে বরফ সাদার ঝিলিক। মাঝে আবার গাঁদা ফুলের চাষ হচ্ছে, হলুদ আর গেরুয়ার মিতালি। পথ এগোয়, চোখে পড়ে কমলা রঙের কমলালেবু ঝুলছে। সৌন্দর্যের মোহময়ী নাগপাশে মন ধরা পড়ছে ক্ষণে ক্ষণে।
এসে পড়লাম পারাতোয়ারায়, বেশ বড়ো জনপদ। একটা দোকানে লাঞ্চ খাওয়া হল। এখানে হাট বসেছে। কমলালেবু, আঙুর, কলা কিনে আবার চলা। এবার ঢেউ খেলানো পাহাড়ি উপত্যকা দিয়ে। দু’ধারে পর্ণমোচী বৃক্ষের সারি। সেগুন গাছের প্রাবল্যই বেশি। প্রায় পাঁচটার পর সন্ধ্যা নাগাদ পেৌঁছোলাম সীমাডো গ্রামে, মেলঘাট ব্যাঘ্র সংরক্ষণ-প্রকল্পের দ্বারপ্রান্তে। গেট খুলে অন্দরে প্রবেশ। আগেই ঘর বুক করা ছিল। আমাদের দলের আটজনের জন্য চারটি বনকুটির। কুটিরে ঢুকে ভালো লাগল, সামনে বারান্দা। ঘর মোটামুটি প্রশস্ত, খাটবিছানা মোটামুটি পরিষ্কার, ঘর লাগোয়া সাজঘর এবং তার লাগোয়া বাথরুম, গিজারও আছে। কিন্তু মেন্টেনেন্স-এর কিছু গাফিলতি রয়েছে। বাংলোগুলি সিপলা নদীর একেবারে ধারেই।
অবশ্য নদী জলহীনই বলা চলে। তবু চেয়ে থাকতে ভালো লাগে। অন্যপারে খেত, চাষিদের ঘরবাড়ি, চাষিদের বাচ্চারা খেলছে, বেশ লাগে দেখতে। বাংলোগুলির চারিদিকে পত্রহীন গাছ। গাছের নীচে ঝরা পাতার স্তূপ। কানে আসছে পাখিদের কলতান।
ডাইনিং হলে গিয়ে চায়ের সঙ্গে জমে উঠল আড্ডা আর গান। গোধূলিলগন পার হয়ে আঁধার নামার আগেই পূর্বগগনে চাঁদের হাসির ঝিলিক। মন ভরে ওঠে। ক্রমে রাত বাড়ে, আমরা নদীর ধারে এসে বসি, রূপোলি জ্যোৎস্নার ঝরনাধারায় স্নান করে চারিদিক। চাঁদের নীল আলোর ইন্দ্রজাল আর সুরের মূর্ছনায় মন অনিকেত হয়ে ওঠে।
সাতপুরা পর্বতমালার দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত মেলঘাটে বৃষ্টির আধিক্য বেশি হওয়ায় অরণ্যগভীর, মূলত পর্ণমোচী অরণ্যের প্রাচুর্য। টিক, মহুয়া, বহেড়া, পলাশ, তেন্ডু আর বাঁশে ছাওয়া অরণ্যভূমি। শোনা যায় এই বনভূমিতে অনেক বাঘের বাস। তাছাড়া রয়েছে গাউর, নীলগাই, শম্বর,
চিংকারা, চার শিঙের কৃষ্ণসার মৃগ ছাড়াও নানান জন্তু এবং শতাধিক নানা প্রজাতির পাখি মেলঘাটের বৃক্ষশাখায়। আর আছে এই অঞ্চলে ব্যাসোদে, গোণ্ডা, মাডিয়াস, কোলামস ও কোর্কু উপজাতিদের বসবাস। কোর্কু উপজাতির মানুষ খুব উৎসব প্রিয়। এদের বিয়ের নাচ বিশেষ বর্ণময়, স্থানীয়রা এই নাচকে বলে বিহাউ। আর গোন্দদের নাচের নাম ধেমসা।
পরের দিন ভোরবেলাতেই ঘুম ভাঙে, বাইরে এসে দেখি চাঁদ তখন পশ্চিমাকাশে জ্বলজ্বল করছে। চারিদিক জ্যোৎস্নায় মাখামাখি। ভোরের আলোয় আমাদের বাংলোর নাম চোখে পড়ল জারুল, বেশ মিষ্টি নাম। দেখলাম প্রত্যেক বাংলোতেই নাম লেখা আছে। চা খেয়ে গাড়ি চড়ে বেরিয়ে পড়া। আমাদের গন্তব্য কোলকাস বনবাংলো। চারিদিকের ঝরেপড়া সৌন্দর্যে চোখ ডুবিয়ে চলা। হরিশাল জনপদে থামা হল প্রাতরাশের জন্য। চিঁড়ের পোলাও (এখানে বলে পোহা), আলুর বড়া ও ক্ষীর দিয়ে জমিয়ে খাওয়া হল।
আবার চলা। সাতপুরা পাহাড়ের মেকলে রেঞ্জের উপর এই বনভূমি প্রাকৃতিক প্রাচুর্যে ভরা। কখনও পথ অনেক উঁচুতে উঠে যাচ্ছে আবার কখনও পথ গভীর নীচু উপত্যকায় নেমে যাচ্ছে। কোথাও অরণ্যের সজীব সবুজ, কোথাও পর্ণমোচী বৃক্ষের পত্রহীন রিক্ততা, কোথাও পাকা ফসলের সোনার বরণ। মাঝে মাঝে এঁকে বেঁকে নদী প্রবাহমানা। এখন অবশ্য নদীগুলিতে জল খুবই কম তবে বর্ষাকালে এদের রুপোলি জলধারা দেখার মতো। গাছে গাছে পক্ষীকূল, তাদের কূজন কানে ভেসে আসছে। উঁচু-নীচু ঢেউ খেলানো পথ ধরে পৌঁছোলাম কোলকাস বনবাংলোর দ্বারে। ভারি সুন্দর জায়গা। কোলকাস
বনবাংলো মেলঘাট অভয়ারণ্যের মধ্যে সব থেকে ভালো। এখানে থাকতে হলে বিশেষ পারমিশনের প্রয়োজন হয়। কোলকাসে কোরকু সম্প্রদায়ের বাস। বাংলোর সামনে দিয়ে দু’ধারের ঘন জঙ্গলকে সঙ্গী করে এঁকেবেঁকে বয়ে চলেছে সিপলা নদী। এখানে সিপলা নদীতে কিছু জল আছে আর অরণ্যভূমিও পাতাঝরা নয় সবুজ-সজীব। আশ্চর্য সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য, এই বাংলো থেকে দৃশ্যমান। ইন্দিরা গান্ধির খুব প্রিয় ছিল এই বাংলো। সময় পেলেই এখানে এসে দু’একদিন কাটিয়ে যেতেন।
বাংলো দেখা শেষ করে আমাদের গাড়ি ছুটল তারুবান্দা বনবাংলোর পথে। এই বাংলোটিতে অরণ্যের নির্জনতা বোধহয় বেশি অনুভূত হয়। বাংলোর চারিদিকে ঝুরি নামা বটবৃক্ষ, জায়গাটিকে আরও নির্জন করে তুলেছে। বাংলোর সামনে ম্যাজেন্টা রঙের বোগোনভেলিয়ার উজ্জ্বল হাসি। বারান্দায় অনেক পাখির ছবি রয়েছে। কোলকাসের পথে একটি গাছের ডালে বসে থাকতে দেখেছি একটি ক্রাস্টেড সারপেন্ট ঈগল। আর কয়েকটি নীলকণ্ঠ। বাংলোর প্রাঙ্গণে দেখেছি ছাতারে, মুনিয়া, নানা প্রজাতির টিয়া, বুলবুলি, শালিখ, ফরেস্ট আউলেট, হাঁড়িচাচা, ঘুঘু, বেনেবউ প্রভৃতি।
এরপর যাওয়া হল ঢাকনা বনবাংলো দেখতে। গাড়গা নদীর ধারে ঢাকনা বনবাংলো। থাকার ঘর, বাংলোতে মনে হল একটি। ছোটো বাংলো খুব নির্জন নিরিবিলি। এই অরণ্যভূমির উপর দিয়ে পঞ্চনদী প্রবাহমান। সিপলা, গাড়গা, খাপরা, খাণ্ডু, ডোলার।
বিকেলে আবার গাড়ি করে বার হলাম পথে, গন্তব্য পিপলপাড়া অরণ্য। এটি অরণ্যভূমির কোর এরিয়া। বনভূমিতে ঢোকার মুখেই অদ্ভুত দর্শন একটি গাছ দেখতে পেলাম, নাম—- ক্রোকোডাইল বার্ক ট্রি, সত্যিই কুমিরের চামড়ার মতোই গাছটির ছাল। আর চোখ কাড়ল কুসুম বৃক্ষের নব পত্রাবলির রক্তিম শোভা। বেশ অনেকক্ষণ অরণ্য ভ্রমণের পর দেখা পাওয়া গেল একজোড়া ময়ূর-ময়ূরীর। হঠাৎ দেখা পাওয়া গেল এক দঙ্গল গাউরের (ইন্ডিয়ান বাইসন) পুরো পরিবার, কচিকাঁচাদের নিয়ে বৈকালিক ভ্রমণে বেরিয়েছে। বেশ ভদ্র আচরণ, পোজ দিয়ে ছবি তুলল, তারপর বনের মধ্যে অদৃশ্য। আমরাও ফেরার পথ ধরলাম। ফেরার পথে দেখা হল বনমের পিরখোদা প্রোটেকশন হাট। হঠাৎ বন্য জন্তুর সাক্ষাৎ মিললে এই হাটে ঢুকে আত্মরক্ষা করা যায়। ঘন করে ও বেশ উঁচু করে ঘেরা কিছুটা জায়গা। ফিরতে ফিরতে সূর্যদেব পশ্চিম আকাশে আগামী দিনের হোলির রং পূর্বাহ্নে ঢেলে বিদায় নিলেন। সন্ধ্যা পেরিয়ে সীমাডোতে পৌঁছোলাম।
কাকভোরে উঠে ঘরের বাইরে এসে পূর্ণচন্দ্রের সঙ্গে সাক্ষাৎ হল। অরণ্যভূমি মায়াআলোর পরশে মোহময়ী। ধীরে ধীরে বইছে ভোরবেলার বাতাস। রওনা হলাম অরণ্য ভ্রমণে। জাবিদার পথে যেতে পথে পড়ল মাখালা গ্রাম। বেশ বড়ো গ্রাম। অনেক লোকের বসবাস রয়েছে মনে হল। পথের ধারে মহুয়া গাছের বেশ আধিক্য, ডালে মহুয়া ফুলের কুঁড়ি ধরেছে। আম্রমুকুলের গন্ধ বাতাসে ভেসে আসছে। একটা জায়গায় গাড়ি থামিয়ে আমরা প্রকৃতির স্নেহচ্ছায়ায় বসে সকালের প্রাতরাশ করলাম।
পরেরদিন সকালে তৈরি হয়ে গাড়িতে মালপত্র তুলে রওনা হওয়া গেল মহারাষ্ট্রের একটি শৈলশহর চিকলদারার উদ্দেশে। ঘড়িতে তখন সাতটা বাজে। এখান থেকে চিকলদারা ঘণ্টা দেড়েকের পথ। আশ্চর্য সুন্দর পথের শোভা। আমরা যেন কোনও অমর্ত্যলোকের পথ ধরে চলেছি। মাঝে মাঝেই সবুজের হাতছানি চোখে পড়ছে। এ পথের সবুজায়নই বেশি দেখা যাচ্ছে। একটি বড়ো পাইন বাগানও দেখলাম। ক্রমে পেৌঁছে গেলাম চিকলদারায়। প্রথমেই একটা রেস্তোরাঁয় ব্রেকফাস্ট করা হল তারপর যাওয়া হল এসটিডিসি-র রিসর্টে। ভালোই ব্যবস্থা। ঘরে মালপত্র রেখে গাইডের সঙ্গে বেরিয়ে পড়া গেল এখানকার দ্রষ্টব্যের উদ্দেশে। আমাদের রিসর্টের কাছেই গোরাঘাট বা ঘোড়াঘাট পয়েন্ট। খানিকটা সোজা পথে গিয়েই সামনে বিশাল খাদ, যেন মেঘেদের খেলাঘর। এখানে একটা গল্প আছে, ইংরেজ আমলে দুটি ঘোড়ায় চড়া সাহেব খাদটির অস্তিত্ব বুঝতে না পেরে ঘোড়া সমেত এই খাদে পড়ে যান, তাই এই পয়েন্টের নাম গোরাঘাট।
এরপর প্রসপেক্ট পয়েন্ট, এই পয়েন্টে দাঁড়ালে তলায় ঘন জঙ্গল দেখা যায়। এখান থেকে অনেক সময় নাকি জন্তুজানোয়ার দেখা যায়। এবার গেলাম হারিকেন পয়েন্ট। এই পয়েন্টে দাঁড়ালে মনে হয় যেন ঝড় হচ্ছে, হাওয়ার বেগ এখানে এত প্রবল। এই পয়েন্টের নীচে শিবসাগর জলাশয়। এই হ্রদ থেকে চিকলদারা শহরে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। ইকোপয়েন্টের নাম হল পঞ্চবুল, পাঁচ পাহাড়ে ঘেরা জায়গাটি খুব সুন্দর। এই পয়েন্টে দাঁড়িয়ে চিৎকার করলে সারা উপত্যকায় প্রতিধবনিত হয় অর্থাৎ পাঁচ পাহাড়ের গায়ে আঘাত করে স্বর প্রত্যাবর্তন করে।
এরপর দেখতে যাওয়া হল ভীমকুণ্ড। কিংবদন্তি আছে, এখানে পঞ্চপাণ্ডবের মধ্যে পাণ্ডব ভীম অজ্ঞাতবাসকালে যখন বিদর্ভ রাজবাড়িতে থাকতেন তখন এখানে স্নান করতেন এবং এইখানেই নাকি রাজার শ্যালক লম্পট কীচককে বধ করেন। পূর্বে এখানকার নাম ছিল বিরাট নগর। কীচক বধের পর এখানকার নাম হয় কীচকদারা পরে চিকলদারা, মাঝে এখানকার নাম হয়েছিল গাভীলগড়। ভীমকুণ্ড, জলের একটি ছোটো কুণ্ড, তার সামনে পাহাড়ের অন্দরে বেশ বড়ো গুহা রয়েছে এবং গুহার মধ্যে দেবীর অবস্থান। দেবীর নাম অম্বাদেবী, সুন্দর মূর্তি। আর গুহার নাম পাণ্ডব গুহা। ওখান থেকে দেখতে পেলাম দূরে চন্দ্রভাগা ড্যামের সুনীল জলের ইশারা। এই জায়গাটির সামনে একটি ছোটো হ্রদ আছে তাতে নৌবিহার করা যায়। ফেরার পথে দেখা হল পূর্বের গভর্নর হাউস, এখন এটি সার্কিট হাউস হয়েছে। আমরা অন্মুতি নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে দেখে এলাম, সুন্দর সাজানো।
এবার দেখা হল এখনকার মতো শেষ দ্রষ্টব্য গাভীল গড় দুর্গ। বিজয়নগরের (হাম্পি) রাজা কৃষ্ণদেব রায় নির্মাণ করেছিলেন। এক কালে বিশাল ছিল এই দুর্গ এখন কয়েকটি গেট অবশিষ্ট আছে তাও অর্ধভগ্ন, তাছাড়া সবই
ধবংসস্তূপ। জায়গাটি খুব সুন্দর এবং ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে বেশ রোমান্টিক। দুর্গের যেটুকু এখনও অবশিষ্ট আছে, ঘুরে ঘুরে দেখতে বেশ ভালো লাগে।
ফেরার পথে। আমাদের চোখে পড়ল কফি বাগান, এখানে ভালোই কফি চাষ হয় এবং এখানকার কফি বেশ উন্নতমানের। বাজার থেকে আমরা কিছু কফি কিনলাম। রিসর্টে ফিরে লাঞ্চ করা হল।
সামান্য বিশ্রামের পর আবার বেরিয়ে পড়া, এবার যাওয়া হল এখানকার ফরেস্ট গার্ডেনে। নানা পুষ্প সম্ভারে ও নানা জাতীয় বৃক্ষে সুন্দর এ বাগান। ঘুরে ঘুরে দেখা হল। তারপর গেলাম মাঝরি পয়েন্টে সূর্যাস্ত দেখতে। এখানকার ল্যান্ডস্কেপ-টি অপূর্ব। একটি বড়ো কুসুম গাছে রক্তরাঙা নবপত্রাবলি গোধূলির রাঙা রং মেখে মনোহরণ করছে। পশ্চিমাকাশে মহাজাগতিক রং ছড়িয়ে অস্তগামী হলেন অরুণদেব। গোধূলির বৈরাগ্যের রঙে মন উদাস হল। এবার ফেরার পথে।
পরের দিন খুব ভোরে উঠে বেরিয়ে পড়া গেল। চারিদিক কুয়াশা মাখা মায়াবী প্রকৃতি বেশ লাগছে হাঁটতে। আকাশে মেঘের খেলা দেখতে দেখতে রিসর্টে ফিরে এলাম। তখন আলো ফুটি ফুটি করছে। রিসর্টের বারান্দা থেকেই দেখতে পাওয়া গেল অপরূপ সূর্যোদয়। মন ভরে গেল। আজই আবার ফেরার পালা। কিছুটা দূরে নাগপুর স্টেশন। সন্ধ্যায় গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেসে রওনা হলাম হাওড়ার পথে। চোখে তখনও মায়াবী সৌন্দর্যের পরশ লেগে আছে।
মেলঘাট ব্যাঘ্র-প্রকল্পের তালিকা
- মেলঘাট ব্যঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্প অমরাবতী জেলায় অবস্থিত (মহারাষ্ট্র)। অমরাবতী চিকলদারা এবং ধারনি তহশিলে অবস্থিত। এখানে পাঁচটি ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি রয়েছে
- ওয়ান ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি অমরাবতী। চিকলদারা এবং ধারনি তহশিল
- নারনালা ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি অকট তহশিল (অকোলা জেলা)
- আম বাবারওয়া ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি
- সংগ্রামপুর তহশিল (বুল ধানা জেলা)
- গুগামল ন্যাশনাল পার্ক।