আমাদের প্রতিবেশী ছোট্ট দেশ নেপাল কিছু বছর আগেও একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র ছিল, বর্তমানে গণতন্ত্র। যার বেশিরভাগ পাহাড় ও অরণ্য। আমাদের ভারতবর্ষের মতোই নেপালের সভ্যতাও প্রাচীন। নেপালের কোনও বন্দর নেই। পূর্ব, দক্ষিণ ও পশ্চিমে ভারত আর উত্তরে চীন দেশের ভূখন্ডে ঘেরা! হিমালয়ের কোলে অবস্থানের জন্য নেপালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছড়াছড়ি। নেপালের পাহাড়ি পাকদন্ডি, চঞ্চলা নদনদী, নিবিড় অরণ্য, পাহাড়ি ঝরনা সবই আপনাকে মোহিত করবে।
কাঠমান্ডু
বাগমতি নদীর কিনারে কাঠমান্ডু নেপালের রাজধানী ও সবথেকে বড়ো শহর। মাল্লা রাজাদের আমলের রাজ্য কাঠমান্ডু, পাটন ও ভক্তপুর আজ মিলে হয়েছে কাঠমান্ডু। জনশ্রুতি বহু পূর্বে কাঠমান্ডু ভ্যালিতে ছিল বিশাল এক জলাশয়। বৌদ্ধ সন্ন্যাসী মঞ্জুশ্রীর তরবারির আঘাতে পাহাড়ে ছিদ্র সৃষ্টি হয় যেখান দিয়ে জলাশয়ের জল নেমে গিয়ে, শস্য-শ্যামলা উপত্যকা কাঠমান্ডুর সৃষ্টি। গোপাল, কিরাত, লিচ্ছবি ও মল্ল রাজাদের রাজত্বকালে কাঠমান্ডু বাণিজ্য, শিল্প ও স্থাপত্যে অগ্রগতি করে। কাঠমান্ডুতে পুরোনো দিনের স্থাপত্য ও শিল্পকলা ছড়িয়ে আছে।
বিদেশ হলেও ভারতীয়দের পাসপোর্ট বা ভিসার দরকার হয় না। অবশ্যই ভোটার কার্ড সঙ্গে রাখবেন। সমগ্র নেপালে খনিজ জলই পান করবেন ও সঙ্গে জলের বোতল রাখবেন। পাহাড়ের মানুষরা চায়েতে চিনি অনেক বেশি দিতে অভ্যস্ত, চা অর্ডার করার সময় আপনার চিনির মাত্রা বলে দেবেন। নেপালে ভারতের টাকা চলে কিন্তু ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট চলে না তাই ১০০ টাকার নোটই সঙ্গে নেবেন। আমাদের ভারতীয় ১০০ টাকা নেপালের ১৬০ টাকা।
কলকাতা থেকে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স-এর প্লেন ও দিল্লি থেকে প্রতিদিন ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স ও বিভিন্ন প্রাইভেট এয়ারলাইন্স-এর প্লেন যাচ্ছে কাঠমান্ডু!
হাওড়া থেকে মিথিলা এক্সপ্রেস যাচ্ছে রক্সৌল। সেখান থেকে দূরে সীমান্ত পার করে বীরগঞ্জ, তারপর জিপে ঘন্টা পাঁচেক গেলেই কাঠমান্ডু।
তবে কাঠমান্ডুতে না থেকে, অবশ্যই থামেল-এ থাকুন। যেমন প্রচুর হোটেল তেমনই আছে ফোন, ট্রাভেল এজেন্ট, গাড়ি, এয়ারলাইন্স টিকিট এজেন্ট, রেস্টুরেন্ট, সাইবার কাফে ইত্যাদির সুবিধা। সমগ্র নেপালে লোডশেডিং হতে পারে, আগেভাগে জেনে নেবেন হোটেলে জেনারেটর আছে কি না।