ঋতুবদলে ত্বকের প্রয়োজন বিশেষ পরিচর্যার। কিন্তু আমাদের ব্যস্ত জীবনশৈলীর কারণে আমরা ত্বকের ঠিকমতো খেয়াল রাখতে পারি না। এর ফলে আমাদের ত্বক রুক্ষ, প্রাণহীন হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে রোজ যদি ত্বকের পরিচর্যার জন্য কিছুটা সময় ব্যয় করা যায়, তাহলে আসন্ন শীতেও ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় থাকবে।
চলুন জানা যাক Season change skin care বিষয়ে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য, যেটা মেনে চললে ঋতুবদলের মরশুমেও ফ্রেশ ত্বক পেতে পারবেন।
ফ্রেশ স্টার্ট : যদি সকালবেলাতেই ত্বকের ফ্রেশ ভাব উপলব্ধি করেন তাহলে সারাদিন যেমন আপনি চনমনে বোধ করবেন তেমনি নিজের কনফিডেন্সও বৃদ্ধি পাবে। কাজ করতে বেশি এনার্জি পাবেন। এর জন্য নিজের মর্নিং স্কিন কেয়ার রুটিনে হালকা গরম জলে স্নান সারুন৷ বডিওয়াশ অবশ্যই ব্যবহার করুন। এর ফলে ত্বকে জমে থাকা ধুলো-ময়লা পরিষ্কার হয়ে গিয়ে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে কোমল এবং একই সঙ্গে ত্বকের ন্যাচারাল অয়েলও মেইনটেন রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়াও ত্বকের ন্যাচারাল ময়েশ্চার-এরও ভারসাম্য বজায় থাকবে।
ময়েশ্চারাইজ করাও জরুরি : অনেক মহিলা স্নানের পর ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যার সম্মুখীন হন। এর কারণ তারা ত্বক ময়েশ্চারাইজ করাটা জরুরি বলে মনে করেন না। ফলে ত্বক রুক্ষ এবং শুষ্ক বোধ হতে থাকে। সারাটা দিন তাদের অস্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যে কাটাতে হয়। এর জন্য প্রয়োজন স্নানের পর ভালো করে নিজের ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করা। বিশেষ খেয়াল রাখুন Moisturizer বাছতে, যাতে সেটি প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ হয়। কারণ এতে ত্বকের প্রচুর লাভ হবে। চেষ্টা করুন গোলাপ, অ্যালোভেরা, শসা-র মতো উপাদান যেন ময়েশ্চারাইজারে থাকে যাতে, রোদে বোরোলে ত্বকের কুলিং এফেক্ট বজায় রাখার সঙ্গে সঙ্গে তা ত্বককে ট্যানিং এবং নিস্তেজ হওয়া থেকেও বাঁচাতে পারে। কেমিক্যাল্স-যুক্ত প্রোডাক্ট ত্বকে বেশি ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার ভয় থেকে যায়।
সান প্রোটেকশন : মযে্চারাইজ করার পর ত্বককে Sun protection দেওয়াও জরুরি। তা না করলে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মিগুলি ত্বকে পিগমেন্টেশন করার সঙ্গে সঙ্গে, ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্যকেও ম্লান করে দেবে। তাই আপনার স্কিন টাইপ অনুযায়ী, Sun protection ব্যবহার করুন। এটা খেয়াল করুন যে, আপনি বাড়ির বাইরে কতক্ষণ সময় কাটান। সান এক্সপোজার-এর উপর ভিত্তি করেই এসপিএফ নির্বাচন করুন, যাতে ত্বক সুরক্ষা কার্যকরী হয়। এর জন্য আপনি হার্বাল সান ট্যান-ও ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে আপনার ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি পাবে।
CTM রুটিন-এ স্কিন রিল্যাক্সিং : সিটিএম অর্থাৎ দৈনিক Cleansing, Toning ও Moisturising-এর রুটিন মেনে চললে স্কিন রিল্যাক্স করার সুযোগ পাবে। এর ফলে অতিরিক্ত গরমে ধুলোময়লা, দূষণের কারণে স্কিন-এর নানা সমস্যা দূর হবে। CTM রুটিন মেনটেইন করা তাই এত জরুরি। এটা স্কিনে ডিপ মাসাজ করে ত্বক পরিষ্কার করে। এর ব্যবহারে ত্বক প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। আপনার ম্লান সৌন্দর্যে লাগে নতুন প্রাণের ছোঁয়া। এর জন্য আপনাকে কিনতে হবে সেই প্রোডাক্ট যাতে আছে নিম, চারকোল, পেঁপের মতো উপাদান, যা খুব অল্প সময়ে মধ্যেই ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম।
পোরস টাইট করে : ক্লিনজিং-এর কারণে ত্বকে হারানো আকর্ষণ বাড়ে ঠিকই কিন্তু স্কিন Skin Pores খোলা থাকে। এটা আপনার সৌন্দর্য বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে এবং ত্বকের জন্য ক্ষতিকারকও বটে। তাই ক্লিনজিং-এর পর টোনিং-এর জন্য অবশ্যই Skin toner ব্যবহার করা উচিত। এটা ত্বকে গোলাপি আভা আনার পাশাপাশি, পোরসগুলি সংকুচিত করার কাজটাও করে দেয়। স্কিন মসৃণ হয়ে ওঠে। এর পর ত্বকের উপর হার্বাল মযে্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই আপনার ত্বকের তারুণ্য আর সতেজতা আবার ফিরে আসবে।