মাতৃত্বের অনুভবের চেয়ে আনন্দদায়ক আর কিছু হতে পারে না৷কিন্তু শারীরিক যত্নের পাশাপাশি নিজেকে আনন্দে রাখাও খুব জরুরি৷ মাতৃত্ব একটি দারুন অনুভূতি এটা যেমন বাস্তব, তেমনি  মনে রাখতে হবে এই সময় জীবনে অনেক বদলও আসে। মনে রাখতে হবে আপনি মানুষ, যার ভুল হওয়াটা খুব স্বাভাবিক৷ কিন্তু অনিয়ম করা এই সময় একেবারেই চলবে না৷গর্ভস্থ সন্তানের স্বার্থে সময়ে খাওয়া, সময়ে ঘুম –এগুলো মাস্ট৷ আনন্দের মুহূর্তের পাশাপাশি  Pregnancy period -এ থাকবে কিছু অসুবিধার মুহূর্তও। সব পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন।

সন্তানকে প্রথমবার দেখলে মায়ের প্রসব যন্ত্রণা মুছে যায়। সন্তান জন্মাবার পরে মায়ের শরীর সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ হতে বেশ কিছুটা সময় লাগে। এবং মাকে জীবনে বিভিন্ন ওঠাপড়াও মধ্যে দিয়ে যেতে হয় কিন্তু সন্তানের মুখের দিকে তাকালে সব কঠিন পরিস্থিতি ম্লান হয় যায়।

একজন মায়ের শারীরিক পরিবর্তন ছাড়াও বিভিন্ন মানসিক পরিবর্তনও ঘটে। বহু মহিলা মা হওয়ার পর অবসাদেও ভোগেন।Mental anxiety  বা দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকুন। মনে রাখবেন মা যদি হাসি-খুশী থাকে তাহলে সন্তানের বিকাশ ভালো হয়।জেনে নিন এই সময়ে কী করবেন, কী করবেন না৷

মনে রাখা জরুরি

একান্ত প্রয়োজন ছাড়া আল্ট্রাসনোগ্রাফি করবেন না, কারণ এর ক্ষতিকর রশ্মি সন্তানের শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলে।

দূরের পথে যতায়াত করা থেকে বিরত থাকুন, মনে রাখবেন প্রথম তিন মাস যাতায়াত করা গর্ভপাতের সবচেয়ে বড়ো কারণ।

প্রতিদিন একই রকম খাবার না খেয়ে কিছুটা ভিন্নতা আনতে পারেন, তবে খাবারের পুষ্টিমান যেন অক্ষুন্ন থাকে সে ব্যপারে খেয়াল রাখতে হবে।

কিছু কিছু খাবার গর্ভপাতে ভূমিকা রাখে (যেমন: কাঁচা পেপে) চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে সেগুলো পরিহার করুন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন এবং আরামদায়ক কাপড় পরিধান করুন।
গর্ভধারণের শেষ পর্বে যেকোন জটিলতা মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকুন।

সর্বোপরি পরিবারের সবার সহযোগীতায় সঠিক নিয়ম মেনে চলার মাধ্যমে সুস্থ সবল ভাবে আপনার ফুটফুটে সন্তানটি পৃথিবীর আলো দেখুক এটিই সবার কাম্য। তাই আপনার স্বপ্নপূরণের প্রস্তুতিতে যেন কোন ঘাটতি না ঘটে এটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব স্বামী-স্ত্রী সহ পরিবারের সবার ওপর।

যা যা করবেন না
 ধুমপান একেবারে বন্ধ।
 কোনওরকম অ্যালকোহল নেবেন না।
 কোনও ভারী জিনিস তুলবেন না।
 ভারী ব্যায়াম একেবারেই নয়।
 যথাসম্ভব খেয়াল রাখবেন, যাতে ঝাঁকুনি না লাগে।
 সওনা বা স্টিম বাথ নেবেন না।
 পেটে ফ্ল্যাক্সসিড অয়েল লাগাবেন না।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...