নিজের বাড়ি ছোটো হলেও তা সবারই প্রিয়৷সেটাকে মনের মতো করে সাজিয়ে তুলতে কে না চায়!অনেকেই ফার্নিচার থেকে জানালার পর্দা, ফটো ফ্রেম থেকে শোপিস, অনেকেই এগুলি খুব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে এবং খুঁজে খুঁজে কেনেন৷ নতুন বাড়ি হলে তো কথাই নেই, পুরোনো ফ্ল্যাটেরও মাঝে মাঝে সাজবদল দরকার।আমরা দিচ্ছি কিছু Home decoration ideas যা কাজে লাগবে অনায়াসেই৷

এখনকার দুকামরার ফ্ল্যাট-বাড়িতে দরজা দিয়ে ঢোকার পর অনেক সমই একটা সরু পথ পেরোতে হয়৷ এই পথ সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাড়ির এই অংশ আকারে তুলনামূলক ভাবে ছোটো হওয়ার কারণে খুব সহজেই সাজানো যায়।এখানে একটা সুন্দর দরি এবং কিছু পাতাবাহারের টব, জায়গাটার রূপ খুলে দেবে৷বাড়িতে ঢোকার পথে একটি আয়না রাখলে বাইরে যাওয়ার সময় নিজের পোশাক ঠিক আছে কিনা চটজলদি দেখে নেওয়া যাবে।

প্রবেশদ্বার কীভাবে সাজাচ্ছেন, সেখান থেকেই আপনার রুচির সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন অতিথি।কিন্তু বসবার ঘরটি সাজানোর বিষয়টিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়৷ বিশেষ করে ছোটো ফ্ল্যাটে ড্রয়িং রুম তেমন বড়ো হয় না, কিন্তু সেখানেই একপাশে খাবার জায়গাও বের করে নিতে হয়৷ Drawing Room interior সুন্দর হলে অতিথি রা তারিফ না করে পারবেন না৷

এখানে সুন্দর বসার ব্যবস্থাও রাখতে পারেন। সেটা মোটা গদি পেতে ফ্লোরেই হোক, বা ছিমছাম কাঠ বা রট আয়রনের আসবাব-ই হোক, একটা ছোটো টেবিল রাখুন৷ এখানে জিনিস রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় টুকিটাকি গুছিয়ে রাখতে পারবেন।

ধরা যাক আপনার বাড়িতে পুরনো দিনের একটি ট্রাঙ্ক আছে। সেই ট্রাঙ্কটি রং করে সুন্দর একটি স্ট্যান্ডে বসিয়ে দিন। এটাও দারুণ কাজে দেবে৷ ভেতরে পুরে ফেলুন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। বেশিরভাগ ফ্ল্যাটবাড়িতে জায়গা সীমীত। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনও কিছুই রাখা সম্ভব নয়। আর তাই যেটুকু রাখবেন, তা যেন অবশ্যই ব্যবহারযোগ্য হয়ে ওঠে সেদিকেও খেয়াল রাখুন।চেষ্টা করুন ফোল্ডিং আসবাব কিনতে, যাতে যখন সেটা ব্যবহার করছেন না য়েটা ভাঁজ করে তুলে রাখুন৷

এখন অনলাইনেই পেয়ে যাবেন এমন নানা ধরনের ইউটিলিটি ফার্নিচার৷এর সুবিধা হল এগুলি মাল্টি পারপাসও৷ ড্রেসিং টেবিলের আয়নার পেছনেই রয়েছে স্টোরেজ এর  ব্যবস্থাও৷  ঘর সাজানোর এমনই সব মনের মত জিনিসপত্র পাবেন, ডামরো, পেপারফ্রাই,  ফ্যাব ফার্নিশ ডট কম, বা উডেন স্ট্রিট-এর মতো সাইটে। এভাবেই খোলনোলচে বদলে ফেলতে পারবেন আপনার সাধের ‘বাসা’র।

বাড়ির বিশেষ অংশকে উজ্জ্বল ও রঙিন করে তুলতে ব্যবহার করতে পারেন ওয়াল স্টিকার। এই ধরনের স্টিকার আপনার ঘরের দেয়ালকে এক আকর্ষণীয় লুক দেবে। এখন নানা রকম স্টিকার পাওয়া যায় অনলাইনেই। আর এই স্টিকারে দেওয়ালের কোনও ক্ষতি হয় না। বরং দেখতেও সুন্দর লাগে।

বাড়ির একটা কোনায়  করুতে পারেন সিটিং স্টোরেজ। সেখানে একদিকে যেমন আরামে বসা যাবে অন্যদিকে বসার জায়গার নীচে বিভিন্ন জিনিস সযত্নে রাখতেও পারবেন। এছাড়াও এই আসবাব আপনার বাড়িকে সম্পূর্ণ নতুন লুক দেবে। এমন কিছু রাখবেন যা আপনার ঘরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

বাঁধানো ছবি ঝোলানোও একটা আর্ট৷ ‌বসার ঘরে ওয়াল ফ্রেম কিন্তু সবার নজর টানবে।ভীষণ সুন্দর তিনটি কালার কম্বিনেশন করে একই ধরণের তিনটি ছবি ঝোলাতে পারেন৷অনলাইনে পাবেন খুব হালকা ওয়েট আর ওয়াটার রেসিস্টেন্ট পেন্টিং।এগুলি ভিজে কাপড় দিয়ে সহজেই পরিষ্কার করতেও পারবেন।

বাড়ির নানারকম চাবি বা অন্যান্য কিছু ঝুলিয়ে রাখার জন্য,সুন্দর দেওয়ালে পেরেক পুঁতবেন নাকি!তাহলে আপনার সাধের রুমের সব সৌন্দর্য গেল বলে।তাই কিনে নিন এরম একটা কী হোল্ডার।বাড়ির নানা জায়গার চাবিও ঝুলিয়ে রাখতে পারবেন।তাহলে দরকারের সময় এদিক ওদিক চাবি খুঁজতে হবে না৷

পুরনো ফ্যাশন খুব পছন্দ হলে,ঘরে রাখতেই পারেন এরম একটা হ্যান্ডমেড গ্রামাফোন।আজকাল ঘর সাজানোর ফ্যাশনে,মারাত্মক চাহিদা রয়েছে গ্রামাফোনের।বেশ একটা আর্টিস্টিক ছোঁয়া,সঙ্গে আভিজাত্যপূর্ণ ফ্যাশন।অনেকেই আজকাল বাড়ির এক কোণে গ্রামাফোন সাজিয়ে রাখেন।আপনিও ট্রাই করে দেখতেই পারেন।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...