ভালোবেসে বিয়ে করেও অনেক সময়, কিছুদিন পর থেকেই ভালোবাসা ফিকে হতে শুরু করে। শেষমেশ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতেই হিমশিম খেতে হয়।Marital Relationship যত্ন ও মনোযোগের অভাবে ক্লিশে হতে শুরু করে৷ এটি হতে পারে মেয়েটির প্রতি তার স্বামীর উদাসীনতা বা যোগাযোগ কমে যাওয়ার কারণে।কী এর কারণ জানতে হলে, মেয়েদের মন বুঝতে হবে৷ জেনে নিন, কখন মেয়েরা স্বামীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন-
অন্তরঙ্গ বোধ না করলে
নারীর আগ্রহ না থাকার একটি সম্ভাব্য কারণ হল, পুরুষটির সঙ্গে তার যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা বোধ না করা।অস্বীকার করার উপায় নেই, যৌনতা এক্ষেত্রে একটা বড়ো ভূমিকা পালন করে৷অর্থাৎ Sexual Compatibility না থাকাটা একটা বড়ো কারণ৷ পরস্পরের যৌনতার ভাবনা একরকম না হলে, এটি একটি বিশাল টার্ন অফ হতে পারে।
ছোটোখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া
যখন সম্পর্কের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি খুব ঘনঘন হয়, তখন সেটা ইগনোর করা উচিত নয়৷ একটা সময়ের পর মেয়েরা আর নিজের জন্য লড়াই করার প্রয়োজন অনুভব করে না। ঝগড়া ও মানসিক চাপ সঙ্গিনীর পক্ষে খুব বেশি কঠিন হতে পারে এবং এটি তাকে স্বামীর প্রতি পুরোপুরি অনাগ্রহী করে তুলতে পারে।
সম্পর্কটি খুব দ্রুত তৈরি হলে
অনেক সময় দ্রুত সঙ্গী চয়ন করার ফলে, পরে গিয়ে অনুভব হয় ভুল মানুষকে নির্বাচন করা হয়েছে জীবনসঙ্গী হিসাবে৷ কোনও মেয়ে যখন মনে করে যে সে খুব দ্রুত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ভুল করেছে, তখন সে সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে।
আরও আকর্ষণীয় কাউকে খুঁজে পেলে
স্বামীর প্রতি আর আগ্রহ না থাকার সম্ভাব্য কারণ হতে পারে, মেয়েটির এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যে তার পছন্দ, চাহিদা এবং মতামতের সঠিক মূল্যায়ন করে। মেয়েটি হয়তো সেই দিকগুলো বিবেচনা করে মনে করতে শুরু করে যে, এই মানুষটিই তার পক্ষে বেশি উপযুক্ত। যে কারণে সে আর আগের মতো আগ্রহ বোধ করে না তার স্বামীর প্রতি।
আসল কথা হল বিয়ের প্রথম ছয় মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ এই সময়কালের পরিধিতে যদি বুঝতে পারেন সম্পর্কটা টেনে নিয়ে যাওয়া অনর্থক, তাহলে আর না এগোনোই ভালো৷ সন্তান হলে সব ঠিক হয়ে যাবে, এমন ভাবনার বশবর্তী হয়ে শিশুটির জীবন নষ্ট করবেন না৷ যখনই অনুভব করবেন, এই সম্পর্কে থাকা ঠিক নয়, তখনই কঠিন সিদ্ধান্তটা নিন৷। তবে হ্যাঁ, শেষবারের মতো একবার ভেবে দেখুন, আপনি সঙ্গীর তুলনায় নিজের প্রতি বেশি মনোযোগী হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না তো? নিজেকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে নতুন করে ভুল করে বসছেন না তো? সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিন, কারণ জীবনটা আপনারই৷