শুধু নিজেকেই প্রেজেন্টেবল এবং ট্রেন্ডি লুক দিলে জীবনের সুখের অনুভব সম্পূর্ণ হয় না। প্রিয়জনকে উপযুক্ত উপহার দিয়েও খুশি থাকা যায়। কারণ, অন্যকে খুশি দেখার উপলব্ধি অমূল্য। অতএব, পোশাক-পরিচ্ছদের পাশাপাশি, নজর দিতে হবে রত্নালঙ্কারের উপরেও। সারা বছর উৎসব-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি, টুকটাক অফিস পার্টিও আজ নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং ট্র্যাডিশনাল বা ওয়েস্টার্ন, পোশাক যাই পরুন না কেন, সঙ্গে চাই মানানসই অলঙ্কার। আর তা যদি ভালোবাসার মানুষের থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া যায়,তাহলে মন্দ কি! তাই প্রিয়জনের থেকে সেরা উপহার পাওয়ার জন্য ভরিয়ে রাখুন ভালোবাসায়।
কলেজ-স্টুডেন্ট থেকে শুরু করে কর্মরতা মহিলা– সব প্রিয়জনের জন্য বেছে নিতেই পারেন কানের জন্য ছোট্ট দুটি টপ, হাতে একটি ব্রেসলেট এবং গলার জন্য একটি সরু চেনের সঙ্গে হার্ট শেপের পেনডেন্ট। আর সেটা যদি হয় ছোট্ট ছোট্ট হিরে দিয়ে সাজানো– তাহলে তো কথাই নেই! এই হিরের দ্যুতি-ই ব্যক্তিত্বে এনে দেবে মেধাবী বিচ্ছুরণ। বিবাহিত মহিলাদের উপহার দেওয়ার জন্যও ওই একই ফ্যাশন ট্রেন্ড অনুসরণ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র ফ্যাশন স্টেটমেন্টে যোগ হবে হালফ্যাশনের ডিজাইন করা নোয়া। যা স্টাইলিশ করার পাশাপাশি, পরম্পরা মানতেও সাহায্য করবে।
এছাড়া ডেলি ইউজের জন্য মোহনমালা আর অনামিকার জন্য কাট ডায়মন্ড দিয়ে বানানো একটি সুন্দর আংটি হলেই সাজ পুরোপুরি কমপ্লিট।
‘ডি বিয়ার্স ইন্ডিয়া’-র এমডি সচিন জৈন রত্নের গুণাগুণ তুলে ধরতে গিয়ে হিরের ঐতিহ্য এবং মহত্ব তুলে ধরেছেন। তাঁর মতে, ভালোবাসা, সুখ এবং শক্তির প্রতীক—হিরে। জীবনের বিশেষ মুহূর্তগুলিকেও মনে করিয়ে দেয় এই রত্ন। এমনকি মহামারী চলাকালীন, লোকেরা তাদের প্রিয়জনের সঙ্গে পুনরায় সংযোগ স্থাপনও করছে হিরেকে মাধ্যম করে।
বহু শতাব্দী ধরে চিরন্তন প্রেম এবং প্রতিশ্রুতির সর্বজনীন প্রতীক হিসাবে ব্যাপকভাবে পরিচিত হিরে। একটা সময় ছিল যখন বাগদান, বিয়ে কিংবা শিশুর জন্মের মতো বিশেষ মুহূর্তগুলিকে স্মরনে রাখার জন্যই শুধু হিরে কেনা হতো কিন্তু এখন এটা যে-কোনও উৎসব-অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে, যেমন-- হাই স্কুল বা কলেজের স্নাতক বা প্রথম বেতন পাওয়ার পর কাউকে উপহার হিসেবে দেওয়ার জন্যও কেনা হয়। এছাড়া হিরের ব্যবহার নারী-পুরুষ প্রত্যেকের ব্যক্তিগত জীবনের গল্প বলে।