যখনই কোনও জিনিস কেনার কথা মনে হবে সেটি একটি ফর্দ-তে আপডেট করতে থাকুন।সময়ের আগেই কি আপনার সব টাকা খরচ হয়ে যায়? এখনও পর্যন্ত যদি আপনি কোনও টাকা বাঁচাতে পারেননি? তাহলে আমাদের দেওয়া এই সাধারণ টিপসগুলি আপনার দৈনন্দিন জীবনে মেনে চলুন। দেখবেন কিছু না কিছু আপনি বাঁচাতে পারছেন।
1) ভালো একটি প্ল্যান বানান
কি খুব আশ্চর্য হচ্ছেন তো? জেনে রাখুন শপিং করতে যাওয়ার ঠিক আগেই কখনও ডিসাইড করবেন না কী কিনবেন দোকান থেকে। বরং যখনই কিছু কেনার কথা মনে হবে একটি ফর্দ-তে সেটি আপডেট করতে থাকুন। দোকানে গিয়ে সেটি চোখে পড়লেই কিনে ফেলুন প্রয়োজন অনুযাযী।
2) কেনার কী কী আছে সেই হিসেবমতো লিস্ট বানান
যা যা কেনার আছে সেগুলি গ্রুপে ভাগ করে নিন। এতে বুঝতে পারবেন কোন দোকানে গেলে কোন জিনিস পাবেন এবং মোট কটা আলাদা আলাদা দোকানে আপনাকে যেতে হবে। এই প্ল্যানিং করা থাকলে আপনার টাকা ও সময় দুটোই বাঁচবে। যেমন মুদির দোকানের আলাদা, সবজির দোকানের আলাদা লিস্ট, এইভাবে চাহিদাটাকে গুছিয়ে নিন।
3) লিস্ট-টাকে এড়িয়ে যাবেন না
বিশেষ কারণের জন্যই আপনি লিস্ট-টা বানিয়েছেন, সুতরাং সেটাই ফলো করুন। ফর্দ অনুযাযী চললে আজেবাজে জিনিস কেনা আটকাতে পারবেন এবং অর্থেরও সাশ্রয় Save Money হবে।
4) একমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিসই একসঙ্গে অনেকটা কিনুন
বেশিরভাগই আমরা নানা অফার্স, ফ্রি গিফট বা একটার সঙ্গে আরেকটি ফ্রি ইত্যাদি লোভনীয় প্রস্তাব দেখে, কেনার সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিনিস কিনে ফেলি। বরং ভ্যারাইটি জিনিস কিনুন যাতে দু’দিন পরেই জিনিসটির প্রতি আপনার বিতৃষ্ণা না আসে এবং একসঙ্গে একই জিনিস একগাদা কেনার ফলে জিনিসটির অপচয়ও যেন না হয়।
5) এক সপ্তাহের প্রয়োজনের লিস্ট তৈরি করুন
রোজ কিছু না কিছু কিনতে দোকানে যাওয়ার বদলে আপনি পুরো সপ্তাহে কী কী লাগবে তার একটা লিস্ট তৈরি করুন এবং সেইমতো জিনিস কিনুন। নেক্সট কবে আবার শপিং করবেন সেটাও ঠিক করে নিন। এর ফলে বাড়িতে হঠাৎ কোনও জিনিস ফুরিয়ে যাওয়ার সমস্যায় আপনাকে পড়তে হবে না।
6) পিক আওয়ার্স-এ শপিং করবেন না
যখন ভিড়ভাট্টা কম হয়ে যায় তখনই শপিং করতে যান। এতে পেমেন্ট করার সময়ও সুবিধা হবে, ছোটো লাইনে দাঁড়াতে হবে। সাধারণত সন্ধের পর থেকে কিংবা রবিবারের দুপুরে শপিং করাটা এড়াতে পারলেই ভালো হয়। এই সময় বেশিরভাগ মানুষই দোকান বাজার করতে বেরোয় এবং ভিড়ের মধ্যে হামেশাই প্রয়োজনীয় জিনিসটাই আমরা কিনতে ভুলে যাই।
7) শপিং-এর লিস্ট সবসময় কাছে রাখুন
দোকানে পৌঁছে যাবার পর আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি লিস্ট-টা বাড়িতেই ফেলে এসেছি। তাই শপিং করতে যাওয়ার আগে মনে করে লিস্ট-টা সঙ্গে রাখুন। যখন আপনার হাতে শপিং-এর জন্য সময় কম থাকবে তখন দেখবেন লিস্ট-টার থাকাটা অত্যন্ত জরুরি।
8) এক্সপায়ারি ডেট চেক করুন
যখনই কোনও প্রোডাক্ট কিনছেন, এক্সপায়ারি ডেট অবশ্যই দেখে নিন। প্যাকিং-ও ঠিকঠাক আছে কিনা চেক করে নিন। যখন কোনও জিনিস সস্তাতে বিক্রি করা হচ্ছে দেখবেন তখন হয়তো এমনও হতে পারে খুব শিগগিরি জিনিসটির এক্সপায়ারি ডেট ফুরোতে চলেছে। এই ক্ষেত্রে প্যাকিং-এও অনেক সময় ফাটা ছেঁড়া থাকে। স্পষ্ট কথায় জিনিসটির কোয়ালিটি নিয়ে সংশয় থেকেই যায়।
9) বন্ধুর সঙ্গে শপিং-এ যান
সম্ভব হলে এমন বন্ধু বা প্রতিবেশীর সঙ্গে শপিং করতে যান যিনি খুবই স্বাস্থ্য সচেতন। শপিং করতে গিয়ে জাংক ফুড খাওয়ার একটা ইচ্ছা মনের মধ্যে জাগে। বিশেষ করে যখন জাংক ফুডের সঙ্গে ‘বাই ওয়ান গেট ওয়ান’ অফার দেওয়া থাকে। সেই মুহূর্তে স্বাস্থ্য সচেতন বন্ধুটিই এই ধরনের খাওয়া থেকে আপনাকে বিরত করতে পারে।
10) প্রোডাক্ট-এর লেবেলটা পড়তে ভুলবেন না
অনেক প্রোডাক্টস-এর লেবেলে লো-ফ্যাট-এর মতো শব্দ লেখা থাকে। বেশিরভাগই আমরা এগুলো বুঝতে পারি না। লো-ফ্যাট ফুডে সাধারণত প্রচুর পরিমাণে শর্করা কিংবা লবণ থাকে যা কিনা স্বাদ বাড়াবার জন্য মেশানো হয়। খাওয়ার জিনিস কেনার সময় তাতে কতটা পরিমাণে ক্যালোরি আছে জানার জন্য নিউট্রিশনাল লেবেল অবশ্যই পড়ুন। কোনও জিনিসে ক্যালোরি কম থাকা মানে সেটি হেলদিও হবে এমন কোনও অর্থ নেই। ক্যালোরি নয় বরং কোয়ালিটি দেখে খাবার খান।