আসছে পয়লা বৈশাখ ৷বাঙালির নববর্ষ৷ এই সময়ে ঘরের সাজসজ্জা বদলে নিলে বেশ একটা নতুন নতুন অনুভূতি হয়৷ পুরোনো ঘরটাকেই আনকোরা নতুন লাগে৷আপনাদের সুবিধার কথা ভেবে আমরা দিচ্ছি কিছু Home decoration Tips ৷
শুরু করুন বসার ঘর দিয়ে৷ বসার ঘরের মেঝেতে কার্পেট বিছিয়ে নিলে সৌন্দর্য আরও খানিকটা বেড়ে যায়। তবে এই কার্পেট বিছিয়ে রাখতে চাইলে তার জন্য কিছু নিয়ম মেনে করাই ভালো। যেমন ঘরের মধ্যভাগে কার্পেট পাতা, বড়ো আকারের কার্পেট যাতে হয় সেটা খেয়াল রাখবেন৷এতে ঘর বড়ো মনে হবে। তবে শুধু নানা ডিজাইনের কার্পেট বিছালেই হবে না, নিয়মিত পরিষ্কারও করতে হবে।
এছাড়া ওয়াল ক্যাবিনেটে মাটি, বেত, ধাতব বা অন্য উপকরণের তৈরি শো-পিস বা অ্যান্টিক পিস রাখতে পারেন। এছাড়াও কিছু সজীব গাছও রাখা যেতে পারে। ঘরের কোণে ফুলদানী রাখতে পারেন। ঘরের সিলিং সাজাতে পারেন ঝাড়বাতি দিয়ে। ঘরের মাঝে একটি ঝাড়বাতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেই। কারো মাছের শখ থাকলে সেক্ষেত্রে একটি অ্যাকোয়ারিয়াম রাখতেই পারেন। অ্যাকোয়ারিয়ামের নানা ধরনের মাছ সবার নজর কাড়বে। বিশেষ করে ঘরের ছোটো বাচ্চাদের।
বসার ঘরে নতুনত্ব আনতে সোফার কভারগুলো পরিবর্তন করে নিতে পারেন। সোফার টেবিল স্টিলের বা কাচের 'ওয়াটার পন্ড' দিয়ে সাজান। সোফার পাশে কর্নার টেবিলে ফুলদানি বা ইনডোর প্লান্টস রাখুন। সেন্টার টেবিলে রাখতে পারেন বাঁশ, বেত বা মাটির শোপিস। ঘরের কর্নারে পটারিতে বড়ো গাছ, অন্য কর্নারে টেবিল ল্যাম্প, শতরঞ্জি, দেয়ালে আলোকচিত্র এবং নকশিকাঁথার ওয়ালম্যাট ঝুলিয়ে দিন।
ঘরে একটি বড়ো কিংবা অনেকগুলো ছোটো ছোটো রট আয়রনের মোমবাতির স্ট্যান্ড রাখুন । এগুলো একদিকে যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়াবে, অপর পক্ষে লোডশেডিংয়ে কাজে দেবে। তবে বাতিগুলো যেন অবশ্যই দেয়াল থেকে দূরে থাকে। নইলে কালি পড়ে যাবে। যদি ঘরে কোন কস্টিউম কর্নার থাকে (অ্যাকোয়ারিয়াম , ফোয়ারা কিংবা কৃত্রিম গাছের বাগান) সেখানে রঙিন বাতি ব্যবহার করা যেতে পারে।