আধুনিক জীবনযাত্রার সব থেকে বেশি প্রভাব পড়ে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর। বেশি কাজের চাপ নিলে টেনশন হয়ে ওঠে নিত্য সঙ্গী। আর টেনশনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বহু অসুখ। আজকালকার দিনে যে সব রোগ দেখা যায়, সেগুলির বেশিরভাগের পিছনেই এই টেনশন মুখ্য কারণ। তাই ৪০ ছুঁলেই শরীরস্বাস্থ্যের আর একটু বেশি যত্ন নেওয়া শুরু করুন। বদলে ফেলুন জীবনচর্যা বা লাইফস্টাইল। জেনে নিন খাদ্যতালিকায় কী কী যোগ করবেন। আর দৈনন্দিন অভ্যাসে রাখবেন কোন কোন কাজ।জেনে নিন  Lifestyle secrets for healthy life!

লেবু-কে করুন নিত্যসঙ্গী

বয়স কমাতে চাইছেন? স্য়ালাডে লেবুর রস বা খাওয়ার পরে এক গেলাস লেবুর জল আপনার মুখ থেকে বয়সের দাগছোপ সফলভাবে মুছে দিতে পারে ৷ লেবুর ভিটামিন সি আর অ্যান্টি-অক্সিডান্টের গুণ শুধু হজমশক্তিকেই সাহায্য করে না, উপরন্তু ত্বকের বলিরেখা ও শুষ্কভাবও কমায় যা ত্বক বয়স্ক দেখানোর দুটি মূল কারণ ৷

পুষ্টিগুণে ভরপুর ঘি 

আপনার বাড়িতে তৈরি অথবা ভালোমানের অর্গানিক ঘি নানারকম পুষ্টিগুণে ভরপুর৷ ঘি ও তার সমস্ত জরুরি ফ্যাটি অ্যাসিড হজমে সাহায্য করা থেকে শুরু করে ত্বক আর্দ্র ও উজ্জ্বল রাখতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যরক্ষায় সাহায্য করে ৷

আমন্ড খাওয়া জরুরি

ভিটামিন ই ও অ্যান্টি-অক্সিডান্টের ভাঁড়ার আমন্ড ৷ চটজলদি সুন্দর হয়ে উঠতে ব্যাগে সারাক্ষণ রেখে দিন আমন্ডের মতো ম্যাজিক খাদ্য!

ডাবের জল ও শাঁসে স্বাস্থ্যরক্ষা

অনেকেই মনে করেন ডাবের শাঁস ওজন বাড়িয়ে দেয়৷ কিন্তু এই ধারণা ভুল৷ ডাবের শাঁস বরং বিপাকীয় ক্রিয়া জোরদার করে তুলে ওজন কমাতেই সাহায্য করে৷ ডাবের অ্যান্টি-অক্সিডান্ট টিস্যুর ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে তুলে ত্বক সুস্থ রাখে৷ ডাবের জল শরীরের আর্দ্রতা ধরে রেখে আপনাকে উজ্জ্বল ত্বক উপহার দেয় ৷ এমনকী, বয়সের দাগছোপ দূরে রাখতেও ডাবের জল খুবই কাজের!

নিয়মিত হাঁটুন

আয়ুর্বেদে হাঁটাকে শ্রেষ্ঠ ব্যায়াম বলে মনে করা হয় কারণ এর ফলে গোটা শরীরেই সঞ্চালন হয় অথচ কোথাও বেশি চাপ পড়ে না ৷ প্রকৃতির মধ্যে কিছুক্ষণ হাঁটলে আপনার ইন্দ্রিয়গুলো শান্ত হয়, হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত হয় এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে ৷ মর্নিং ওয়াক অত্যন্ত জরুরি, হাড় ভালো থাকে। আর তার সঙ্গে যদি কিছুটা ব্যায়াম করতে পারেন, তা আরও ভালো।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন

সারাদিনে কাজের ফাঁকে ফাঁকে শরীরকে বিশ্রাম দেওয়া খুবই দরকার। এতে স্ট্রেস কমে, মনোযোগ ধরে রাখা যায় এবং শরীরও ঠান্ডা থাকে। আপনি অফিসেই থাকুন বা বাড়িতে, কিছুক্ষণের জন্য ফোন, টিভি ও কম্পিউটার বন্ধ করে দিন। আরামদায়ক অবস্থায় বসে চোখ বন্ধ করুন। এবার গভীরভাবে শ্বাস নিন। প্রতিটি শ্বাসে অনুভব করুন কীভাবে আপনার শরীরে বাতাস ঢুকছে ও বেরোচ্ছে। প্রতিদিন তিনবার দশ মিনিটের জন্য এই অভ্যাসটা করলেই আপনার সার্বিক ভালো থাকা ও মনোযোগে চোখে পড়ার মতো উন্নতি দেখতে পাবেন।

টাটকা খাবার খান

আজকের মাইক্রোওয়েভের যুগে প্যাক করা লাঞ্চ আর ফ্রিজে রাখা ডিনারে অভ্যস্ত হয়ে পড়া খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু আয়ুর্বেদ বলছে, টাটকা তৈরি করা গরম খাবার শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছে দেয় এবং শরীরকে আরাম দেয়। টাটকা গরম খাবার খাওয়া সব সময় সম্ভব নয় ঠিকই, কিন্তু প্রক্রিয়াজাত এবং প্যাক করা খাবার আর প্রক্রিয়াজাত মিষ্টি খাবার তো বাদ দেওয়াই যায়, তাই না? তাতেই শরীরে ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমাতে পারবেন।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...