অফিসে ঢোকা মানেই কাজের অন্ত নেই৷ মিটিং, ক্লায়েন্ট সার্ভিসিং, প্রোজেক্ট প্ল্যানিং– এমন কত শত ঝামেলা রোজ সামলাতে হয় আপনাকে৷ কিন্তু আপনার ব্যক্তিত্বের অনেকটাই নির্ভর করে আপনার পোশাকের উপর৷ কথায় বলে না, পহেলে দর্শনধারী পিছলে গুণবিচারি৷
মহিলাদের ক্ষেত্রে পোশাকের অপশন একাধিক। শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, ওয়েস্টার্ন স্কার্ট, প্যান্টস, স্যুট– যাই পরুন, পোশাকটি ক্যারি করুন কনফিডেন্সের সঙ্গে। আপরা দিচ্ছি কয়েকটি পরামর্শ যা আপনার Working women look -কে ডিফাইন করবে সার্থকতার সঙ্গে৷ জেনে নিন৷
- ট্রেন্ডি বা পারম্পরিক, যে-ধরনের পোশাকই পরুন, রঙে তা যেন সোবার হয়। খাদি, সুতি বা সিল্কের পোশাক পরাই শ্রেয়। প্যান্ট বা শার্ট পরলে তা ব্র্যান্ডেড ও well fitted হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
- শাড়ি বা সালোয়ার যেন অতিরিক্ত এমব্রয়ডারি করা বা জমকালো জরি বসানো না হয়।
- স্কার্ট বা প্যান্ট-এর সঙ্গে টি-শার্টের বদলে শার্টই পরুন।
- কর্পোরেট প্যান্ট পরলে, তা অতিরিক্ত টাইট না হওয়াই ভালো।
- স্লিম-ফিট কোট যদি কোমরের সঠিক মাপ অনুযায়ী কেনেন, তবেই তা মানানসই হবে। লো-কাট স্কার্ট পরলে, স্কার্টের নীচে অবশ্যই ক্যামিসোল পরুন। ঋতু অনুযায়ী স্টকিংসও পরতে পারেন, তবে তা যেন টাইট হয়।
- আপনার ফিগার ব্যালান্স করতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় রং। আপনার শরীরে যে-জায়গাটি অনুন্নত তা চোখে পড়ার মতো সুন্দর করতে হালকা রং পরুন। শরীরের যে-অংশ বিসদৃশ রকমের ভারী, তা ঢাকতে গাঢ় রং পরাই ভালো। অর্থাৎ যদি নিতম্বের অংশ ভারী হয় তাহলে গাঢ় রঙের স্কার্ট, প্যান্ট আর হালকারঙা টপ পরুন। টপের নীচে শোল্ডার প্যাডিং করা সেট-ইন স্লিভ্স পরুন, তা আপনার ভারী নিতম্বের সঙ্গে সাযুজ্য আনবে।
- পুরোনো টপ বা জ্যাকেটে একটু প্যাচ ওয়ার্ক বা বাটন লাগিয়ে নতুন লুক দিতে পারেন।
- যদি নিতম্বের অংশ অনুন্নত হয়, প্লিটেড স্কার্ট প্যান্টস্ পরুন।
- হাত বা পিঠের অংশে মেদ থাকলে ডিপ নেক লাইন আর লং স্লিভ্স-যুক্ত টপ পরুন।
- সলিড কালারের উপর সিম্পল লাইন্স-যুক্ত শার্ট পরলে আপনাকে লম্বা দেখাবে। শার্টের স্ট্রাইপ যত সরু হবে ততই তন্বী দেখাবে আপনাকে।
- ভারী নিতম্ব দৃষ্টিনন্দন দেখাবে যদি সলিড কালারের স্ট্রেট ফিট-এর পোশাক পরেন। স্ট্রেট কাট স্কার্ট অথবা ফুল লেংথ প্যান্ট ভারী থাই আড়াল করতেও সহায়ক।
- ব্লেজার পরার ইচ্ছে হলে, সেটির রং স্কার্ট বা প্যান্টের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে চয়ন করুন। গ্রে-চারকোল, ক্রিম, ট্যান, ব্লু প্রভৃতি রং সব কিছুর সঙ্গেই মানায়।
- যদি লাল, হলুদ, সবুজ, নীল বা গোলাপি রং পছন্দ করেন, তাহলে ব্লেজার বা শার্টের নীচে স্প্যাগেটি বা পাতলা কোনও লাইনিং-এর পোশাক পরুন।
পোশাকি দস্তুর
- স্লিভলেস পরলে, ভিতরে পাতলা জ্যাকেট পরুন
- বেশি শর্ট আর অতিরিক্ত টাইট পোশাক পরবেন না
- অতিরিক্ত চকচকে নেলপলিশ এবং চড়া মেক-আপ ওয়ার্কপ্লেস-এ এড়িয়ে চলুন
- স্মাজি মেক-আপ বা ধেবড়ে যাওয়া নেলপলিশ মুছে ফেলুন, নাহলে সেটি আপনার ইমেজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। লোকে বুঝবে আপনি সমস্ত কাজেই কেয়ারলেস
- ঝমঝম করে শব্দ হওয়া গয়নাগাটি পরে অফিস যাবেন না
- ট্রান্সপ্যারেন্ট বা যৌনতা উদ্দীপক পোশাক পরবেন না
- নিজের বয়সটা মাথায় রাখুন পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে। অন্যের কম্পলিমেন্ট পেলেও চল্লিশে, টিন-এজ ড্রেসিং করতে যাবেন না। আবার বয়সের তুনলায় বেশি ভারিক্বি পোশাকেরও দরকার নেই
- অতিরিক্ত ছোটো টপ বা শার্ট পরবেন না যাতে বসার সময় নিতম্বের অংশ প্রকাশ হয়ে পড়ে
- আপনার চেহারা যদি মেদবহুল হয়, এমন টপ বা কামিজ পরবেন যা আপনার নিতম্বের বিসদৃশ লুক ঢেকে রাখে।
- যদি আপনার পিয়ার শেপড্ ফিগার হয়, লুজ জিন্স বা বুটকাট এড়িয়ে চলুন।
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...
গৃহশোভা থেকে এবং