বিয়ে মানে শুধু দুটি প্রাণ আর দুটি হূদয়ের মেলবন্ধনেই নয়, পুরুষ এবং নারী উভয়ের শরীরী মিলনও এর একটি অপরিহার্য অঙ্গ এবং দাম্পত্য সম্পর্কের ভিত্তি। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুস্থ, স্বাভাবিক জীবন নির্ভর করে স্বামী-স্ত্রীর সম্পূর্ণভাবে নীরোগ থাকার উপরে। এই কারণেই বিবাহপূর্বে পাত্র পাত্রী উভয়েরই কিছু শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি, যাতে সম্ভাব্য কিছু বিপদ এড়িয়ে চলা যায়।
আধুনিক মেডিকেল সায়েন্সের যুগে যেখানে ইউরোপ-আমেরিকা প্রগতির পথে অনেকখানি এগিয়ে রয়েছে, ভারত-ও সেখানে পিছিয়ে নেই। আধুনিক মনোবৃত্তির মানুষ আজ এগিয়ে আসছে নিজেদের সবরকম পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে শারীরিক পরিস্থিতি জেনে নেওয়ার জন্য, যাতে ভবিষ্যতে তাকে কোনওরকম ক্রাইসিস অথবা লজ্জার মুখে না পড়তে হয়। তাই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই নতুন জীবনের সূত্রপাত করা ভালো।
বিয়ের আগে এইসব Medical Check-up এর মূল উদ্দেশ্য, নিরাময় করা যায় না এমন কিছু দৈহিক সমস্যার দরুন যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষতি না হয়, তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা। তাই একান্ত জরুরি :
রক্তপরীক্ষা
– থ্যালাসেমিয়ার পরীক্ষা (হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফোরেসিস)।
– এডস -এর জন্য এইচআইভি (১ এবং ২)।
– হেপাটাইসিস(বি)-এর জন্য এইচবিএসএজি।
– এবিও গ্রুপিং।
– আরএইচ টাইপিং।
– মেয়েদের লোয়ার অ্যাবডোমেন আল্ট্রা সোনোগ্রাফি।
– ছেলেদের সিমেন অ্যানালিসিস।
এই পরীক্ষাগুলো ছাড়াও দরকার সেক্স সম্পর্কে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ মানসিকতার ছেলেমেয়েদের, প্রি-ম্যারিটাল কাউন্সেলিং। বিয়ের পরে যাতে সেক্স সম্পর্কে কোনও অসুবিধায় পড়তে না হয় তার জন্য প্রয়োজন বিয়ের আগেই ডাক্তারের কাছে গিয়ে সবকিছু বিশদে জেনে নেওয়া।
যে-শিশুটি এখনও পৃথিবীর আলো দেখেনি তাদের সুস্থ রাখার দায়িত্ব যতটা স্বামী-স্ত্রীর, ততটাই সমাজেরও। তাই পুরুষ, নারী নির্বিশেষে সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে প্রগতির পথ প্রদর্শকের ভূমিকায়।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার : ডা. শীলা কামরা