শরীরটাকে ফিট রাখতে দরকার Fitness exercise। সুস্থভাবে বাঁচার ও Healthy lifestyle-এর জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা জরুরি বলে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ব্যায়াম সেরে ফেলতে পারলে সারাদিন ভাবনা থাকে না৷ একটা নিয়ম তৈরি হয়ে যায়৷ ভোরের মনোরম পরিবেশে হাঁটলে বা ব্যায়াম করলে, শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে। শরীরের নানা অংশে ব্যথা থাকলে সেটাও কমে যায়। পাশাপাশি ওজনকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
যতই ব্যস্ততা থাক, রুটিন করে নিলে সহজেই প্রয়োজনীয় Daily workout সেরে নেওয়া যায়৷ সুস্থ জীবনযাপন করার জন্য এটা খুব জরুরি।ঘুম থেকে ওঠার আধা ঘণ্টা পর হালকা জগিং বা মর্নিং ওয়াক করুন। তবে অবশ্যই হাঁটার সময় আপনাকে সঠিক গতি বজায় রাখতে হবে। কারণ সঠিক ভাবে না হাঁটলে কোনও উপকারই পাওয়া যাবে না শরীরে।
হাঁটার আছে অনেক উপকারিতা- এর ফলে পেশী সুগঠিত হয়, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুরক্ষিত থাকে ও মেরামত হয়, হজমে সাহায্য করে, এবং মস্তিষ্ককেও সতেজ রেখে বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।
এর পাশাপাশি হাঁটার ফলে মানুষের চিন্তার সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়, মেজাজ বা মুড ভালো রাখে এবং স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে।
নিয়মিত হাঁটার সুফল
- হাঁটার ফলে হাড় মজবুত হয়। জয়েন্ট ও মাসল্স টোনড হয়, শরীরে এনার্জি উৎপন্ন
হয় - রক্ত চলাচল মসৃণ হয়, ফলে হৃদযন্ত্র ভালো ভাবে কাজ করতে পারে
- পাচনতন্ত্র মজবুত হয়
- রক্তে শর্করার পরিমাণ যাতে যথাযথ থাকে, তার জন্যও হাঁটা জরুরি
- মেদ ঝরে গিয়ে শারীরিক সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পায়, আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে এর ফলে
- মগজ ক্রিয়াশীল থাকে, সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
- চারপাশের স্নিগ্ধ সবুজ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে, মনে প্রশান্তি আনে।
- প্রাতর্ভ্রমণের সামাজিক সুফল
- হাঁটতে বেরোলে আপনি নিজেও যেমন নিজের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারবেন, তেমনই হয়ে উঠতে পারবেন অন্যের আদর্শ
- প্রকৃতির সংস্পর্শে আসার সুযোগ বাড়বে, মন কলুষতাহীন হয়ে মানুষের জন্য ভালো কিছু করার তাগিদ বাড়বে
- বহু নতুন বন্ধু পাবেন, যারা আপনার মতো স্বাস্থ্যসচেতন। আপনার সামাজিক পরিমণ্ডল বৃদ্ধি পাবে এবং একটা স্বেচ্ছাসেবার মনোভাব তৈরি হবে
- আপনি আপডেটেড থাকতে পারবেন নানা বিষয়ে এই মেলামেশার ফলে
- মতামতের আদানপ্রদান হবার ফলে আপনার দৃষ্টিকোণে স্বচ্ছতা আসবে, সংগঠিত হয়ে কিছু করার ইচ্ছে জাগবে
- আপনার নানা সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসবেন বহু মানুষ, মনের কথা বলার ও শোনার সঙ্গী হবেন অনেকে
- জানাশোনার পরিধি বাড়বে, ছোটো ছোটো কূটকচালি বা অশান্তির ঊর্ধ্বে উঠে আধ্যাত্মিক চেতনা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পাবেন
- আপনি নিয়মিত হাঁটলে আপনার মস্তিষ্ক দীর্ঘদিন সক্রিয় থাকবে। নানা আইডিয়া আপনি হাঁটার সঙ্গীদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারবেন এবং মিলিত ভাবে কোনও উদ্যোগে সামিল হতে পারবেন৷
তবে ফিটনেস এক্সারসাইজ করারও একটা নির্দিষ্ট নিয়ম আছে৷ ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরটাকে অ্যাকটিভ হওয়ার জন্য অন্তত তিন ঘণ্টা সময় দিন। শরীরের এনার্জি লেভেল স্বাভাবিক অবস্থায় পৌঁছলে তবেই ব্যায়াম করা শুরু করবেন।