অনেকেই মনের মতো পোশাক বেছে নেওয়ার পরেও সাজ নিয়ে ঠিক সন্তুষ্ট হতে পারেন না একটাই কারণে – একথা ঠিক যে সাধারণ সাজও অন্য মাত্রায় পৌঁছে যায় সঠিক কন্ট্রাস্ট-এর ব্যবহারে।

ট্র্যাডিশনাল সাজ যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁদের কাছে কনট্রাস্ট করে পোশাক পরার কোনও বিকল্প নেই। তা দেখতেও নিশ্চিতভাবেই খুব ভালো লাগে। কিন্তু Contrast in fashion -এরও একটা ব্যাকরণ আছে, সেটা না মেনে চললে কিন্তু দেখতে ভালো লাগবে না।

প্রথম নিয়ম হচ্ছে, হালকা আর গাঢ় রঙে ভালো কনট্রাস্ট হয়। যেমন ধরুন সাদা আর কালো হচ্ছে খুব ভালো কনট্রাস্ট। সেই নিয়ম মেনেই সাদা আর লালও দারুণ কম্বিনেশন। তবে একটি শেডের লাইট আর ডার্ক টোন দিয়েও খুব ভালো বৈপরীত্য তৈরি করা সম্ভব – গাঢ় নীল আর হালকা নীল পাশাপাশি রেখে দেখতেই বুঝতে পারবেন ।

একটি কালার ফ্যামিলির একাধিক শেডের মধ্যেও কনট্রাস্ট করানো সম্ভব। যেমন ধরুন, হলুদ আর কমলার বৈপরীত্য সুন্দর। আবার কালার হুইলের একেবারে বিপরীত দিকে থাকা রং, যেমন সবুজ আর বেগুনি বা নীল আর গোলাপির কনট্রাস্টও ভালো।

কিছু শেড আছে, যেগুলি ‘শীতল’ তকমা পায় – Cool shades -এর মধ্যে পড়ে নীল, সবুজ। ‘ওয়ার্ম’ বা উষ্ণ হচ্ছে লাল-হলুদ-কমলা। নিউট্রাল হচ্ছে কালো, সাদা, গ্রে। আপনি চাইলে সাদা কালো শাড়ির ‘উষ্ণ’ টোনের কনট্রাস্ট করতে পারেন লাল ব্লাউজের সঙ্গে । তা দেখতে চমৎকার লাগবে। লাল লিপস্টিক আর টিপের সঙ্গে শাড়িটি পরলে তো দেখতে আরও সুন্দর লাগবে।

বিভিন্ন ধরনের জ্যামিতিক নকশা দিয়েও কনট্রাস্ট করা যায়, আবার ছোটো এবং বড়ো আকারের প্রিন্ট দিয়েও তা করা সম্ভব। যারা প্রথমবার কনট্রাস্ট করে পোশাক পরছেন, তারা রং দিয়েই এক্সপেরিমেন্ট শুরু করুন। তার পর না হয় অন্যগুলো ট্রাই করে দেখতে হবে।

আজকাল অনেকেই ইন্ডিগো বাগড়ুর সঙ্গে লাল আজরখ ব্লাউড দিয়ে বা সবুজ জংলা কলমকারীর সঙ্গে হলুদ ব্লক প্রিন্ট কন্ট্রাস্ট করেন।  আসল কথা হল ব্যালেন্সিং-এর সেন্স। কোন দুটি রঙে বৈপরীত্য আনবেন, যাতে তা দেখতেও এস্থেটিক লাগবে, সেটা কিন্তু আপনাকেই বুঝতে হবে। প্লেন শাড়ির সঙ্গে প্রিন্টেড ব্লাউজ, কুর্তির সঙ্গে কন্ট্রাস্ট রঙের স্ট্রেট প্যান্টে বা পালাজো -- যেটাই পরুন না, রঙের ব্যবহারে যেন থাকে একটা ভারসাম্য।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...