আমার বয়স ৪০ বছর। রেলে চাকরি করি। কলেজে পড়ার সময় থেকেই চশমা পরতে শুরু করি। কিছু বছর ধরে কনট্যাক্ট লেন্স পরছি। ডান চোখের পাওয়ার ২.৫ আর বাঁ চোখে ৩.৫। অফিসে দেড়-দুঘন্টা কম্পিউটারে কাজ করলেই চোখে এবং মাথায় ব্যথা শুরু হয়ে যায়। খালি মনে হয় বমি পাচ্ছে। এখন আমার কী করা উচিত?

অধিকাংশ মানুষই এখন কম্পিউটারে কাজ করেন। মনিটারের সামনে বসে দীর্ঘসময় কাজ করার অনেক ঝুঁকি রয়েছে। অনেকেই কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম-এ আক্রান্ত হন। চোখের আর্দ্রতা কমে যায় ফলে চোখ লাল হয়ে ওঠে, চুলকোয়। দৃষ্টি আচ্ছন্ন ও ঘোলা হয়ে আসে। একটি বস্তুকে দুটি দেখায় (Double Vision)। এছাড়াও টানা মনিটার-এর দিকে তাকিয়ে কাজ করলে মাথাব্যথা, ঘাড় ও পিঠেও ব্যথা হয়।

আপনার চোখের সমস্যার জন্য উচিত সকাল-সন্ধ্যা রোজ চোখের ব্যায়াম করা। হাতে পেনসিল নিয়ে নাকের সামনে ধরুন। নাক বরাবর পেনসিল রেখে চোখের দৃষ্টি পেনসিলের উপর রাখুন। প্রথমে পেনসিল কাছ থেকে দূরে নিয়ে যান। চোখের দৃষ্টি পেনসিলের উপরেই নিবদ্ধ রাখুন। এরপর পেনসিল আবার কাছে নিয়ে আসুন। এই সোজা ব্যায়ামটি আপনার চোখের পেশিতে শক্তি জোগাবে। এছাড়াও কম্পিউটারে কাজ করতে করতে মাঝেমধ্যেই ব্রেক নেওয়াটা খুবই জরুরি।

কম্পিউটারে কাজ করতে করতে আমরা আশেপাশে সবকিছু ভুলে কম্পিউটারের মধ্যে নিজেদের হারিয়ে ফেলি। ফলে চোখ খোলা-বন্ধ করতেও ভুলে যাই। এর ফলে চোখে জমে থাকা জল চোখের সামনে একটা হালকা পর্দা তৈরি করে, যার জন্য দৃষ্টির পথে বাধা সৃষ্টি হয়। চোখের আর্দ্রতা কম হয়ে যায় এবং চোখ ড্রাই হয়ে যায়। এই Dry eye syndrome থেকে চোখকে বাঁচিয়ে রাখাটা খুব জরুরি। এটার জন্য কাজের মাঝেমাঝে চোখ খোলা-বন্ধ করা খুব দরকার।

দ্বিতীয়ত চোখের পাওয়ার মাঝেমাঝেই চেক করানো উচিত। চেক করানোর আগে অন্তত ৫দিন কনট্যাক্ট লেন্স না ব্যবহার করে চশমা পরে থাকুন। তারপর চোখ পরীক্ষা করান। পাওয়ার চেঞ্জ হলে লেন্স বদলে নিন। হিমোগ্লোবিনও চেক করিয়ে নেবেন। কখনও কখনও অ্যানিমিয়া হয়ে থাকলেও এই লক্ষণগুলি প্রকট হতে দেখা যায়।

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...