বাঙালির নানা রকম মিষ্টি তৈরি হয় নারকেল অর্থাৎ coconut দিয়েই। কখনও নারকেল নাড়ু আবার কখনও নারকেলের তৈরি সন্দেশ। ঝাল থেকে মিষ্টি- সব রকম রান্নায়ই নারকেল ব্যবহার করা যায়। নারকেল যেমন কাঁচা খাওয়া যায়, তেমনই তৈরি করা যায় পিঠে, পায়েস, নাড়ু, সন্দেশ ইত্যাদি। নারকেল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। তাই তো আমরা নারকেল গাছকে ট্রি অফ লাইফ বলি। এর খাদ্যগুণ যেমন বেশি সে রকমই চিকিত্সা শাস্ত্রে এর অবদান অনন্য। সাবেকি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় সারা পৃথিবী বিখ্যাত এই নারকেল৷
বদ হজমের ক্ষেত্রে বা যে কোনও পেটের রোগে নারকেলের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অনেক বেশি। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে পিত্তঘটিত যে কোনও রোগের নিরাময়ে প্রথম সারিতে রাখা হয়েছে নারকেলকে। যে কোনও গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যায়, পেট ফোলা ও ফাঁপায়, গ্যাস্ট্রিক আলসারে, গ্যাস্ট্রোরাইটিস, জলবাহিত পেটের রোগ সারিয়ে তোলে নারেকেল।
এমনই খাদ্যগুণ সম্পন্ন ফল থেকে আমরা মিষ্টি তৈরি করি৷ আজ জেনে নিন নারকেলের তৈরি দুটি সুস্বাদু মিষ্টির রেসিপি৷
নারকেল–বাদাম শাহি মিষ্টি
উপকরণ: ৩/৪ কাপ নারকেলকোরা, ১ ছোটো চামচ বাদাম চর্ণ, ১/৪ কাপ চিনি, ২ বড়ো চামচ ঘি।
সাজানোর জন্য: ২ বড়ো চামচ পেস্তাকুচি, ২ বড়ো চামচ চিরঞ্জী।
প্রণালী: একটা ননস্টিক প্যানে, নারকেলকোরা, বাদাম চর্ণ আর বাদামকুচি ভালো ভাবে নাড়াচাড়া করে একটু শুকনো করে নিন। তুলে আলাদা পাত্রে রাখার পর, ওই প্যানেই দুধ ও চিনি দিয়ে ফুটতে দিন। এবার একটু গুঁড়ো দুধ আলাদা করে গুলে, প্যানের ফুটন্ত দুধে মিশিয়ে দিন। এতে নারকেলকোরা আর বাদামের মিশ্রণটাও দিয়ে দিন। ৩-৪ মিনিট ঢিমে আঁচে ঘন করুন। দুধ উথলে উঠলে ঘি ঢেলে দিন। একটু নাড়াচাড়া করুন তারপর নামিয়ে নিন। একটি থালায় ঘি বুলিয়ে এই মিশ্রণ চারিয়ে দিন। ওপর থেকে পেস্তা, চিরঞ্জী ছড়িয়ে বরফি আকারে কেটে পরিবেশন করুন।
নারকেল বরফি
উপকরণ: ২০০ গ্রাম নারকেলকোরা, ২৫০ গ্রাম চিনি, ১৫০ মিলি জল, ঘি প্রযোজনমতো, অল্প পেস্তা।
প্রণালী: চিনি আর জল আঁচে বসিয়ে আগে রস তৈরি করে নিন। এতে নারকেলকোরা দিন আর নাড়তে থাকুন। বেশ নরম ভাব এলে নারকেল পাক দেওয়া থামান। এবার একটা প্লেটে ঘি বুলিয়ে নিন। এর উপর নারকেল ভালো ভাবে চারিয়ে দিন। এলাচগুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। ইচ্ছে হলে তবকও দিতে পারেন। পেস্তাকুচি দিয়ে সাজিয়ে বরফির আকারে কেটে পরিবেশন করুন।