ফরসা রং, মসৃণ এবং ইভেনটোন ত্বক সব বয়সি মেয়েদেরই ফার্স্ট প্রায়োরিটি। এগুলি পেতে হলে সবথেকে কমন বিউটি ট্রিটমেন্ট হল ‘Bleaching’। ব্লিচ মুখের রোমের রং হালকা করে, ফলে রোম ৱুঝতে পারা যায় না এবং ত্বকও সুন্দর ও ফরসা লাগে দেখতে। বাজারে নানা ধরনের ব্লিচ দেখতে পাওয়া যায়। সুতরাং ব্যবহারের আগে ব্লিচ সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্য জেনে রাখা একান্ত দরকার।

ত্বকের উপযুক্ত ব্লিচ

সংবেদনশীল ত্বক : এই ধরনের ত্বকে প্রোটিন হাইড্রা, হার্বাল, হাইড্রেটিং বা রেডিযে্ট গ্লো ব্যবহার করুন।

তৈলাক্ত ত্বক : তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ, মেচেতা ইত্যাদি সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। এই ধরনের ত্বকের জন্য এক্সট্রা অয়েল কন্ট্রোল, অ্যামোনিয়া ফ্রি ব্লিচ, ডি ট্যান, ফ্রুট ব্লিচ উপযুক্ত।

শুষ্ক ত্বক : এই ধরনের ত্বকের জন্য অয়েল বা ময়েশ্চার বেসড ব্লিচ ব্যবহার করুন, যেমন হাইড্রেটিং ব্লিচ, হোয়াইটনিং ব্লিচ ইত্যাদি।

ম্যাচিওর স্কিন : এই ধরনের ত্বকে এজিং অক্সিজেন ব্লিচ উপযুক্ত। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে হলে হাইড্রেটিং ব্লিচ ব্যবহার করুন। এছাড়াও ত্বকের মেলানিন স্তর কম করার জন্য প্রোটিন হাইড্রা অক্সি ব্লিচ ব্যবহার করতে পারেন।

ব্লিচ করার সময় খেয়াল রাখুন

  • থ্রেডিং, ওয়্যাক্সিং, স্টিম অথবা স্ক্রাবিং-এর পর ব্লিচ করবেন না।
  • Bleaching করার আগে প্রি ব্লিচ লোশন বা লাইট ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন বিশেষ করে যাদের ত্বক শুষ্ক এবং স্পর্শকাতর।
  • ব্লিচ লাগাবার পর যদি জ্বালা ভাব অনুভূত হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন এবং বরফ লাগান।
  • প্যাচ টেস্ট করেই তবে ব্লিচ ব্যবহার করুন।
  • কেটে গেলে অথবা ফাটা ত্বকে ব্লিচ লাগাবেন না।
  • ব্লিচের ব্যবহার ১৫-২০ দিনের আগে দ্বিতীয়বার করবেন না।
  • ১৫ মিনিটের বেশি ত্বকে ব্লিচ লাগিয়ে রাখবেন না।
  • ব্লিচ ক্রিমের সঙ্গে অ্যাক্টিভেটার মিক্স করার সময় মেটাল চামচ বা মেটালের বাটি ব্যবহার করবেন না।
  • মুখের ব্লিচ শরীরে আর শরীরের জন্য তৈরি ব্লিচ মুখে লাগাবেন না।
  • মুখে ব্লিচ লাগিয়ে টিভি দেখা অথবা বই পড়া উচিত নয়। এতে চোখের ক্ষতি হতে পারে।
  • ব্লিচ করার ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত সাবান বা ফেস ওয়াশ ব্যবহার করবেন না।
  • রোদ থেকে এসেই ব্লিচ করবেন না। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হতে দেবেন।
  • শরীরের তাপ যার বেশি থাকে তার উচিত ত্বকের পরীক্ষা করিয়ে অনুরূপ ব্লিচ করানো। ব্লিচ করার পর সানগার্ড লাগিয়ে তবেই বাইরে বেরোবেন।
  • ফেসিয়াল করার পর ব্লিচ লাগানো উচিত নয়, নয়তো ফলাফল ভযংকর হতে পারে।

ব্লিচ করানোর উপকারিতা

  • ব্লিচ করলে, ফেসিয়াল হেয়ার স্কিনটোন ভালো ভাবে ম্যাচ করে ত্বককে ইভেন ও ফেয়ার গ্লো দেয়।
  • ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই ত্বক ফরসা এবং রেডিযে্ট লাগে দেখতে।
  • ব্লিচ, ত্বকের মৃত কোশ সরিয়ে দিয়ে ত্বকের ব্রাইট লুক ফিরিয়ে নিয়ে আসে।
  • পোস্ট ব্লিচ প্যাক ত্বককে হাইড্রেট করে ফরসা দেখাতে সাহায্য করে।
  • সানট্যান রিমুভ করে এবং মেলানিন লাইট করে, স্কিনটোনকে লাইটার এবং ফেয়ার বানায়।

ব্লিচ করাবার অসুবিধা

  • ব্লিচে পারদ থাকে, যা ত্বকের ক্ষতি করে। তাই প্রয়োজন ছাড়া ব্লিচ ব্যবহার করবেন না।
  • ব্লিচ করাবার পর ত্বক লাল হয়ে গেলে, রোদে যাবেন না বা আগুনের কাছাকাছি আসবেন না।
  • রং শ্যামলা হোক বা ফরসা, সকলেরই ব্লিচ করাবার দরকার পড়ে। কিন্তু ত্বকের উপযুক্ত ব্লিচ বেছে না নিলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে।
  • ব্লিচ করাবার পর যদি ব্যথা হয় বা ছাল উঠতে থাকে অথবা দাগছোপ বা কোথাও ফুলে ওঠে তাহলে ৱুঝতে হবে সেটা ব্লিচেরই রিয়্যাকশন।
  • কেমিক্যাল পিলিং করাবার পর ৪ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত ব্লিচ করানো উচিত নয়।

এক্সপার্টকে দিয়ে Bleaching করানো উচিত এবং ভালো ব্র‌্যান্ডের ব্লিচ ব্যবহার করা উচিত।

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...