নিজের বাড়ি বা ফ্ল্যাট নিয়ে অনেকেরই একটা গর্ব থাকে। তাই, কিছুদিন পরপর নতুন নতুন সাজে নিজের বাসস্থানকে তারা সাজিয়ে তুলতে চান। New Look দেওয়ার বাসনাটা যদি একটু সিসটেমেটিক্যালি করতে চান, যাতে ব্যয়বাহুল্য কম করেও ইচ্ছেমতন বাড়িকে সাজিয়ে তোলা যায়-তাহলে একটু ভেবে চিন্তে বুদ্ধি করে উদ্যোগ নিতে হবে।
যারা ধনী, তারা বাড়ি সাজানোটা খুব সহজেই করে ফেলতে পারেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ এটাই একটু আলাদা করে বুদ্ধি খরচ করেও করতে পারেন। টাকা দিয়ে সব সময় সব কিছুর মূল্যায়ন করা চলে না। নিজের প্রাইজড পজেশন বেছে নিয়ে তাদের যোগ্য জায়গায় রাখতে হবে যাতে সকলেই সেগুলোর যথার্থ মূল্যায়ন করতে পারে।
পুরোনো আসবাব সারিয়ে নিয়ে
পুরোনো আসবাবের খোঁজ রাখুন এবং টুকিটাকি সারিয়ে নিয়ে বাড়িতে রাখতে পারেন। দামি আসবাব সস্তায় কেনার এটা একটা ভালো উপায়। পুরোনো কোনও ফার্নিচারের হয়তো একটা পা ভেঙে গেছে। কার্পেনটারকে দিয়ে অন্য পা-গুলোর সঙ্গে ম্যাচ করিয়ে ভাঙা পা-টা সারিয়ে নতুন একটা কাঠ দিয়ে পা তৈরি করিয়ে নিন। তাছাড়াও পুরোনো কাঠের কাজ করা ফোটো ফ্রেম কিনে নিয়ে এসে, কোনও নতুন আর্টওয়ার্ক সেই ফ্রেম দিয়ে বাঁধিয়ে নিতে পারেন।
পুরোনো পর্দার ব্যবহার
পুরোনো পর্দা যদি দেখতে খুব সুন্দর হয় তাহলে সেটা ডিসকার্ড করার কোনও দরকার নেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়তো কোথাও সামান্য ছিঁড়ে বা ফেটে গেছে— পুরো পর্দা ফেলে না দিয়ে পর্দার ফেব্রিকের সঙ্গে ম্যাচ করে নতুন ফ্লেবিক ওর সঙ্গে এমনভাবে জোড়া দিন, যাতে মনে হয় পর্দার নকশাটাই ওইরকম। ছেঁড়া জায়গাটা কেটে বাদ দিয়ে দিতে হবে। এইসব টুকরো টুকরো সারানো, ঠিক করার কাজগুলো খুব অল্প খরচেই সেরে নেওয়া যাবে।
নিজেকে এক্সপ্রেস করাটাই মডার্ন ট্রেন্ড। সুতরাং নিজের মনকে জানতে হবে। ঠিক কী চান, কোনটা আপনার পছন্দ। কী আপনার প্রায়োরিটি। কোন জিনিসের সঙ্গে আপনার সেন্টিমেন্ট জড়িয়ে আছে। সেগুলো ভালো করে বুঝে নিয়ে, সেই ভাবনাকেই রূপ দিতে হবে এবং সেটাই আপনার ‘হাউস’কে ‘বিউটিফুল হোম’ হয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
বাড়ি সাজাতে গেলে কোনও স্পেসিফিক সময়ের কালেকশন সংগ্রহ করবার দরকার নেই। কালচার স্পেসিফিক হওয়ার প্রয়োজন নেই। বংশ পরম্পরায় হয়তো আপনি একটা এলিগেন্ট এলিজাবেথান ডাইনিং টেবল ইনহেরিট করেছেন। সম্প্রতি হয়তো আপনার কোনও বন্ধু জাপান থেকে আপনাকে একটা পেপার ল্যাম্প এনে উপহার দিয়েছে। এই দুটো জিনিসই কিন্তু আপনি একসাথে ম্যাচ করিয়ে বাড়িতে রাখতে পারেন যদিও সময় এবং কালচারের ক্ষেত্রে দুটো জিনিসে মস্ত পার্থক্য। এছাড়াও বাড়ির দেয়ালে সবসময় নিউট্রাল শেড-এর পেইন্ট ব্যবহার করুন, যাতে জায়গা বেশি আছে বলে মনে হয় এবং ঘরগুলোও বড়ো লাগে দেখতে।
সুতরাং বাড়িকে New Look দিতে যেমন মস্তিষ্ক ব্যবহার করবেন, তেমনি যোগ করবেন প্রাণের স্পর্শ ।