অন্যের অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকবেন না
আপনি নিজেকে সবচেয়ে বেশি চেনেন। তাই আপনি ঠিক না ভুল সেটা অন্য লোকে বলবে সেই অপেক্ষায় থাকবেন না। আপনি সর্বাঙ্গীণ ভাবে সুন্দর। ভেতরে এবং বাইরে। তাই অন্য কারও মুখ থেকে আপনার সম্পর্কে তার মতামত শোনার বদলে, নিজের জাজমেন্ট-এর উপর ভরসা রাখুন।
বাইরে আনন্দের উপকরণ খুঁজবেন না
আমরা অনেক সময়ই মনে করি যে, আনন্দে থাকার জন্য আমাদের বাহ্যিক কোনও কারণ দরকার। এর ফলে কোনও ব্যক্তি বা নেশার প্রতি নির্ভরতা তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু মনে রাখুন, প্রকৃত আনন্দ নিজের ভেতরেই সঞ্চিত থাকে, এর জন্য বাহ্যিক কোনও খুশিকে আঁকড়ে ধরতে যাবেন না। মনের ভেতরে ভাবনার সৌন্দর্য না থাকলে, আনন্দে থাকা মুশকিল। একমাত্র হেলদি মাইন্ড-ই আপনাকে অনাবিল আনন্দ দিতে পারে।
নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেরোন
চোরা ছিদ্র দিয়ে জল না ঢুকলে কোনও নৌকোই ডোবে না। তাই মেনে নিতে চেষ্টা করুন আপনার প্রেম ভেঙে যাওয়ার মূলে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা নিশ্চয়ই ছিল। সে ঘটনার জন্য কে দায়ী ভেবে সময় নষ্ট করবেন না। যা ঘটেছে তা নিশ্চয়ই আপনাকে ভালো কিছুর দিশাই দেখাবে। অভিজ্ঞতা- তা সে ভালোই হোক বা খারাপ, সবসময় সেগুলো থেকে শিক্ষা নিন। অপ্রীতিকর ভুলগুলো এড়িয়ে চলুন। মানুষ আমাদের তাদের ব্যবহার দিয়ে আঘাত করে। তার মানে এই নয় যে, হতাশা আঁকড়ে আপনি দিন কাটাবেন। মনে রাখুন আপনার যোগ্য নয় সেই মানুষটি, যে আপনাকে আঘাত দেওয়ার কথা ভেবেছে। মানুষ চেনার এর চেয়ে বড়ো সুযোগ আর হয় না।
নিজের সঙ্গ উপভোগ করুন
যে-কোনও সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরেই, চোট আঘাত ভুলতে আবার একটা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা ঠিক নয়। নিজেকে সময় দিন। নিজেকে ভালোবাসুন। নিজের প্যাশনকে আমল দিন। এর ফলে নেতিবাচক ভাবনাগুলো থেকে আপনি বেরোতে পারবেন এবং একসময়ে দেখা যাবে আপনি নিজের কম্প্যানি উপভোগ করা শুরু করেছেন। কাউকে আর আপনার প্রয়োজান হবে না ইমোশনালি নির্ভর করার জন্য।
একা সিনেমা দেখতে যাওয়া বা গানের প্রোগ্রামে যাওয়া যতই অস্বস্তিকর ঠেকুক, প্রাথমিক জড়তা কাটিয়ে এটা করতে পারলেই দেখবেন নিজের সঙ্গ আপনার আর খারাপ লাগবে না।
হারিয়ে যাওয়া প্যাশন
আপনার হারিয়ে যাওয়া শখগুলোকে নতুন করে আমল দিন। বই পড়ুন, নাচের ক্লাস অ্যাটেন্ড করুন। ভালো গান শুনুন, রান্না করুন, রেস্তোরাঁয় খেতে বেরোন। এক নতুন ‘আপনি’কে আবিষ্কার করবেন শিগগিরি।