সারাদিন মোটামুটি ভারী খাওয়াদাওয়া করা সত্বেও বিকেলের দিকে আবার ক্ষিদে পেয়ে যাচ্ছে? তাতে অবাক হওয়ার কারণ নেই৷ আমরা যে সময়ে দুপুরের খাবার খাই, তার চেয়ে অনেকটা দেরিতে রাতের খাবার পায় শরীর।নুন, চিনি, তেল যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে পারবেন ততই কিন্তু ভালো। বিকেলের স্ন্যাক্স ক্ংবা সন্ধ্যায় মুখরোচক কিছু খেতে সকলেরই ইচ্ছে করে। এতে কাজেও এনার্জি পাওয়া যায়। তাই এই সময়টা প্রবল খিদে পায়, আর সেই ফাঁকেই অনাহুতের মতো ঢুকে পড়ে কেক-পেস্ট্রি, রোল, ন্যুডলস বা মুড়ি-তেলেভাজা। কিন্তু এর কোনওটাই স্বাস্থ্যকর অপশন নয়, তাই হাতের কাছে এমন কিছু রাখুন যা খিদেও মেটাবে, স্বাস্থ্যও ভালো রাখবে।মুখ বদলাতে এগুলি খেতে পারেন৷ তবে বিকেলে যাই খান না কেন, তাতে যেন অতিরিক্ত নুন না থাকে তা দেখবেন। বাড়তি নুন শরীরে জল ধরে রাখে। তা স্বাস্থ্যের পক্ষেও খুব ভালো নয়৷
স্পাইসি রামদানা
উপকরণ: ২ কাপ রামদানা বা রাজগিরা, ১০-১২টা বাদাম, ১০-১২টা কাজু, ২ ছোটো চামচ কিশমিশ, ১ ছোটো চামচ হলুদগুঁড়ো, ১/ ছোটো চামচ তরমুজের বীজ, ১/৪ কাপ শুকনো নারকেল গ্রেট করা, ১ কাপ ভাজা বাদাম, ১ ছোটো চামচ সরষে, ১ চিমটে হিং, ১০-১২টা কারিপাতা, ১ ছোটো চামচ রিফাইন্ড তেল, লংকাগুঁড়ো, নুন ও চাটমশলা স্বাদমতো।
প্রণালী: তরমুজের বীজ শুকনো খোলায় ভেজে আলাদা করে রাখুন। তেল গরম করে বাদাম ভেজে নিন। এবার কাজু আর বাদাম একসঙ্গে ভেজে তুলে নিন। প্যানে অবশিষ্ট তেলে সরষে, হিং ও কারিপাতা দিয়ে ফোড়ন দিন। রামদানা দিন ও অল্প হলুদ ছড়িয়ে দ্রুত নাড়াচাড়া করতে থাকুন। সমস্ত বাদাম ও বীজ দিয়ে দিন। কিশমিশ দিন। ঢিমে আঁচে ৫ মিনিট নাড়াচাড়া করুন। নুন, লংকাগুঁড়ো ও চাট মশলা দিন। মিশ্রণটা ঠান্ডা হতে দিন, তারপর এয়ারটাইট কন্টেনারে ঢেলে রাখুন। এটা চায়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
কেসরি লাড্ডু
উপকরণ: ২০০ গ্রাম কনডেন্সড মিল্ক, ৩/৪ কাপ মিল্ক পাউডার, ১/৪ কাপ নারকেল পাউডার, ১ ছোটো চামচ কাজুগুঁড়ো, ১/২ ছোটো চামচ এলাচগুঁড়ো, ১/৪ কাপ দুধ, ১/৪ কাপ দই, ১৫-২০টা কেশরের শিরা, ১/২ ছোটো চামচ গোলাপজল, ২ ছোটো চামচ পেস্তাকুচি।
প্রণালী: ননস্টিক প্যানে দুধ ফুটতে দিন। এতে দই মিশিয়ে নাড়াচাড়া করুন। দুধ ছানা কেটে গেছে বুঝলে এতে কনডেন্সড মিল্ক মিশিয়ে দিন। মিল্ক পাউডার, কাজুগুঁড়ো ও নারকেল পাউডার দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। ঢিমে আঁচে ঘন হতে দিন, তারপর গোলাপজল ও কেসরের মিশ্রণ ঢেলে দিন। মিশ্রণ শুকনো হয়ে কমে এলে, একটা প্লেটে তুলে নিয়ে চারিয়ে দিন। এলাচগুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। একটু ঠান্ডা হলে লাড্ডু গড়ে নিন।