বিয়ের কার্ড অর্থাৎ আমন্ত্রণপত্রের ডিজাইন কেমন হবে, তা ঠিক করুন দু’জনে মিলে। এর জন্য সাহায্য নিতে পারেন গুগল- এরও কিংবা শিয়ালদা বৈঠকখানা বাজারে গিয়ে বেছে নিতে পারেন কার্ড। কোনও আর্টিস্ট বন্ধু থাকলে তারও সাহায্য নিতে পারেন এই বিষয়ে। এই বিষয়ে উল্লেখ্য, এখন ই-কার্ড-এরও প্রচলন আছে। তাই যদি আমন্ত্রণপত্র হাতে হাতে পৌঁছে দিতে না পারেন কিংবা যদি দূর-দুরান্তে থাকা কোনও আত্মীয়স্বজনকে আমন্ত্রণ করতে হয়, তাহলে তা মেইল বা হোয়াটস অ্যাপ কিংবা ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে একবার ফোন করে দেবেন অমন্ত্রিত অতিথিদের।
বিয়ের অনুষ্ঠানের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল-পোশাক। গায়েহলুদ, বিয়ের দিন, বউভাতের দিন ভিন্ন পোশাকের প্রচলন আছে আমাদের ভারতীয় বিয়েতে। তাই পোশাক কেনার ব্যাপারেও আগাম পরিকল্পনা দরকার। দু’জনের রুচি এবং পছন্দ এবং বাজেট অনুযায়ী কিনে রাখুন এইসব প্রয়োজনীয় পোশাকগুলি। এক্ষেত্রে পরস্পরের পছন্দকে গুরুত্ব দিন।
শপিংমল কিংবা ফ্যাশন ডিজাইনার-এর থেকেও সংগ্রহ করতে পারেন বিয়ের পোশাক। আর আত্মীয়স্বজনদের জন্য অপরিহার্য পোশাকগুলি কেনার আগে গুরুজন এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া ভালো। শুধু তাই নয়, যাকে পোশাক উপহার দেবেন, প্রয়োজন মনে করলে তার সঙ্গে কথাপ্রসঙ্গে আলোচনা করে নিয়েও কিনতে পারেন পোশাক। যদি অনেক শাড়ি কিনতে হয়, তাহলে নদিয়া জেলার ফুলিয়া থেকেও কিনতে পারেন শাড়ি, কারণ ওখানে কম দামে ভালো শাড়ি পাওয়া যায়।
বিয়ের দিন কিংবা বউভাতে কী মেনু হবে তা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অলোচনায় বসতে পারেন দু’জনে। এক্ষেত্রে সাহায্য নিতে পারেন কোনও ভালো ক্যাটারার-এরও। ভেজ এবং ননভেজ এমন ভাবে রাখুন মেনুতে, যাতে সবাই খেয়ে তৃপ্তি পান এবং কারওর কোনও অসুবিধা না হয়।
কেমন হবে বিয়ের সময় দু’জনের লুকস, তা পরস্পরের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করুন। অর্থাৎ একে অপরের পছন্দকে গুরুত্ব দিন এবং সেইমতো রূপচর্চা করে নিজেদের আকর্ষণীয় করে তুলুন বিয়ের আগে। মনে রাখবেন, এই বিষয়টাও কিন্তু বিয়ের প্রস্তুতির মধ্যে পড়ে৷ এছাড়া, মেডিকেলি উভয়ে ফিট কিনা তাও যাচাই করে নেওয়া উচিত। এর জন্য যাবতীয় ব্লাড টেস্ট করে ফিট সার্টিফিকেট নিন। কারণ মেডিকেল ফিটনেস যেহেতু সারা জীবনের বিষয় এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভালো-মন্দের বিষয়ও নির্ভর করছে, তাই বিয়ের প্রস্তুতির মধ্যে ব্লাড টেস্টও বাধ্যতামূলক।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
- প্রত্যেকের জীবনের একটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে, তাই আপনার সম্মিলিত জীবন শুরুর অনুষ্ঠানও কীভাবে করা উচিত, সে সম্পর্কে উভয়ে আলোচনা করে নিন।
- একজন হয়তো বিয়ের অনুষ্ঠানকে একসঙ্গে বসবাস করার নিছক সামাজিক স্বীকৃতি ভাবতে পারে, আর অন্যজন হয়তো এটাকে দুটি পরিবারের একত্রিত হওয়া এবং ভরপুর আনন্দ উপভোগ করা মনে করতে পারে
- বিয়ের জন্য প্রস্তুত করার জিনিসগুলি আগামী দাম্পত্য সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময়, আপনি এবং আপনার সঙ্গী কী ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন চান, তা কথা বলে ঠিক করুন
- কত বড়ো বা কত ছোটো বিয়ের অনুষ্ঠান করতে চান এবং অতিথি তালিকায় কাকে অন্তর্ভুক্ত বা বাদ দিতে চান, সেই বিষয়ে গুরুত্ব দিন
- বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাবের সঙ্গে আপনার ক্যাটারার, পোশাক, মেনু, আমন্ত্রণের তালিকা ইত্যাদি ঠিক করুন
- হবু স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের মতামতকে গুরুত্ব দিন।