একসময় আড্ডাপ্রিয় বাঙালির বড়ো সাধের জায়গা ছিল তার বৈঠকখানা বা আড্ডাঘর৷ অভ্যাগতদের ভিতরমহলে যাওয়ার প্রয়োজন যাতে না পড়ে এবং বাড়ির মহিলাদের যাতে আব্রু রক্ষা হয়, তাই বাড়ির কর্তারা বন্ধু বান্ধবদের জন্য বসার ঘরে ফরাস পেতে আড্ডার আয়োজন করতেন৷
এখন সেই কনসেপ্ট বদলে গেছে৷দিন দিন ব্যস্ত শহরে ফ্ল্যাটের ঘরগুলো ছোটো হচ্ছে।এখন নামমাত্র লিভিংরুমই ভরসা৷ বিশেষ করে অতিথিদের জন্য এ রুম ছাড়া বিকল্প নেই বললেই চলে। আবার পরিবারের সবাই মিলে টিভি দেখা, আড্ডা, বই পড়া, বাইরে থেকে এসে বিশ্রামের জন্য এ ঘরেই সময় কাটিয়ে থাকেন। তাই এ ঘরের সাজ হওয়া চাই একটু আরামদায়ক ও রুচিশীল৷।
ঘর সাজানোর কথা ভাবলে প্রথমেই সবার মাথায় আসে বসার ঘর কিংবা লিভিংরুম।ফলে ঘরের সাজের শুরুটা করতে পারেন বর্ণিল নান্দনিক নকশার কার্পেট কিংবা শতরঞ্জি দিয়ে। বাজারে দুই ধরনের কার্পেট রয়েছে- একটি পিস কার্পেট, অন্যটি ওয়াল টু ওয়াল কার্পেট। মূলত পিস কার্পেট গৃহের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। নান্দনিক বাহারি রঙ ও কারুকার্য করা দরি কিংবা কার্পেট, দুই-ই ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে। আপনার সুবিধামতো বিভিন্ন পিসের কার্পেট কিনতে পারবেন ১ হাজার ৮০০ থেকে ১২ হাজার টাকায়।
আপনার ঘরের স্পেস অনুযায়ী আসবাবপত্র বাছাই করা শ্রেয়। যেমন- আপনার লিভিংরুম যদি একটু বড়ো হয়, তা হলে একপাশে উঁচু সোফা ব্যবহার করতে পারেন এবং অন্যপাশে মেঝেতে ফোম বিছিয়ে নানা ছোটো-বড়ো কুশন রাখতে পারেন। তা আপনার লিভিংরুমকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।
তবে খেয়াল রাখুন বয়স্ক ব্যক্তিরা যেন আরামে বসতে পারেন। নিচু জায়গায় তাদের সমস্যা হতে পারে। তাই বসার জন্য পরিবারের সদস্যদের শারীরিক অবস্থা খেয়াল রেখে উঁচু-নিচু দুটি অপশনই রাখতে পারেন।
একটা টি টেবল অবশ্যই রাখুন৷ অতিথি আপ্যায়নে কাজে লাগবে৷ সোফার সঙ্গে সংযুক্ত কর্নার টেবিলের ওপর ফুল বা কৃত্রিম ক্যান্ডেলের সুবাস আপনার ঘরকে মায়াময় করে তুলবে।