অতিথি আপ্যায়নও আমাদের এই যাপিত জীবনেরই অঙ্গ। একে একধরনের সামাজিক বিনোদনও বলা যায়। এক সময় অতিথি বাড়িতে এলে, দোকান থেকে মিষ্টি বা রোল, চপ কাটলেট কিনে আনার চল ছিল না৷ কোনও অ্যাপ-এ খাবার অর্ডার দেওয়ার তো প্রশ্নই নেই৷ তখন বাড়িতেই তৈরি হতো এই স্পেশাল খাবারগুলি৷ চলুন ফিরে দেখা যাক সেই সব পদ৷
কেশরি সন্দেশ
উপকরণ : ১ কিলো ছানা, ২৫০ গ্রাম চিনি, এক চিমটে জাফরান, ৪-৫ চামচ গোলাপজল, পেস্তা সাজানোর জন্য, ৫০ গ্রাম খোয়াক্ষীর।
প্রণালী : ছানা ভালো করে চটকে নিন। চিনি মিশিয়ে আরও মসৃণ করে মাখুন তারপর একটি পাত্রে রেখে ঢিমে আঁচে গরম করুন। ১০ মিনিট পর ছানা দানা বাঁধা শুরু করলে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। গোলাপজলে ভেজানো জাফরান দিয়ে আবার ভালো ভাবে ছানা মাখতে থাকুন। মসৃণ মণ্ডটা সমান ভাবে একটি প্লেটে চারিয়ে নিয়ে উপর থেকে পেস্তা ও খোয়াক্ষীর ছড়িয়ে দিন। এবার সন্দেশ ইচ্ছেমতো আকারে কেটে পরিবেশন করুন।
ঘুঘনি
উপকরণ : ১ কিলো মটর, ৫০০ গ্রাম পেঁয়াজ, ৫০ গ্রাম আদাবাটা, ৫০ গ্রাম রসুন ও লবঙ্গ পেস্ট, ৫০০ গ্রাম টম্যাটো, নুন স্বাদমতো, ২ চা-চামচ হলুদগুঁড়ো, ২ চা-চামচ লংকাগুঁড়ো, ২ চা-চামচ জিরেগুঁড়ো, ১০ গ্রাম গরম মশলাগুঁড়ো, ৫০০ গ্রাম আলু, ২৫০ গ্রাম সরষের তেল, ৫টা তেজপাতা।
প্রণালী : মটর ঘন্টা ছয়েক জলে ভিজিয়ে রাখুন। এবার মটর ও আলুকুচি ২ লিটার জলে সেদ্ধ করে নিন। একটি প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি ছেড়ে দিন। বাদামি হলে এতে টম্যাটো, আদাবাটা, রসুন-লবঙ্গ বাটা দিয়ে ১০ মিনিট নাড়াচাড়া করুন। এবার হলুদগুঁড়ো দিন ও লংকাগুঁড়ো দিন। জিরেগুঁড়ো ও তেজপাতা দিয়ে আরও ৫ মিনিট কষতে থাকুন। সেদ্ধ মটর ও আলু এতে মিশিয়ে নুন ছড়িয়ে রান্না করুন। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
মাটন ঘুঘনি
উপকরণ : ২৫০ গ্রাম কাবলি মটর, ২৫০ গ্রাম মাংসের কিমা, ২টো বড়ো পেঁয়াজ, ৫০ গ্রাম আদা, ৪ কোয়া রসুন, ২টো টম্যাটো, প্রয়োজন অনুসারে লংকাগুঁড়ো, হলুদগুঁড়ো, এমডিএইচ মশলা, ধনেপাতা, জিরেগুঁড়ো, নুন ও তেল, অল্প গোটা জিরে।
প্রণালী: মটরগুলো আগের রাতে ভিজিয়ে রাখুন। একটি প্যানে তেল গরম করুন। জিরে ফোড়ন দিন। এবার কুচোনো পেঁয়াজ, আদা-রসুনবাটা ও টম্যাটো দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। পেঁয়াজ বাদামি হলে হলুদগুঁড়ো লংকাগুঁড়ো দিন। এবার কিমাটা দিয়ে দিন। নুন ছড়িয়ে ভালো করে কষতে থাকুন। এরপর ভেজানো মটরগুলো দিয়ে দিন ও নাড়তে থাকুন। এমডিএইচ মশলা ছড়িয়ে ও প্রয়োজনমতো জল দিয়ে ১ ঘন্টা রান্না হতে দিন। মটর ও মাংসের কিমা সেদ্ধ হয়েছে বুঝলে নামিয়ে, ধনেপাতাকুচি ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।