সব বয়সেই Vaginal Infection হতে পারে, শিশু থেকে বৃদ্ধাবস্থা পর্যন্ত। কোনও কোনও মহিলা বেশ কয়েকবারও এই ধরনের সংক্রমণের শিকার হতে পারেন। মহিলাদের যৌনাঙ্গে ভ্যাজাইনাল ইস্ট সংক্রমণ খুবই সাধারণ ঘটনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সংক্রমণের তীব্রতার উপর এর চিকিৎসা নির্ভর করে। সংক্রমণ হলে সেটি এড়িয়ে যাওয়ার পরিণাম অনেক সময় বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। এমনকী বন্ধ্যাত্বর শিকার হওয়াও আশ্চর্যজনক কিছু নয়। গর্ভাবস্থায় ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন হলে যৌনরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যেটা কিনা গর্ভের শিশুর উপরেও প্রভাব ফেলতে পারে।

Vaginal Infection-এর কারণ লিকোরিয়ার সমস্যাও হতে পারে। এর ফলে ভ্যাজাইনা থেকে দুর্গন্ধ-যুক্ত সাদা স্রাব নির্গত হয়। এর থেকে পেটে এবং কোমরে ব্যথাও হতে পারে। জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে মেয়েদের মধ্যে দুর্বলতাও দেখা দিতে পারে। যোনির সংক্রমণের মুখ্য কারণ হল পার্সোনাল হাইজিন মেনে না চলা। সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণগুলি হল অতিরিক্ত যৌন সক্রিয়তার কারণে সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ-এর শিকার, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিজ এবং অ্যান্টিবায়োটিক্স-এর ব্যবহার। কিন্তু সর্বাগ্রে মেনে চলতে হবে পার্সোনাল হাইজিন।

আসুন জেনে নিই কীভাবে—

পরিষ্কার জল ব্যবহার করুন: ভ্যজাইনা নিজেই শরীরকে পরিষ্কার রাখার কাজ করে। পার্সোনাল হাইজিনের জন্য বাথরুম ব্যবহার করার আগে টয়লেট-এর ফ্লাশ আগে টেনে দিন। কোনও অসুস্থ ব্যক্তি যদি আপনার আগে টয়লেট ব্যবহার করে থাকে তাহলে আপনারও সংক্রমণ হওয়ার ভয় থাকবে। টয়লেট ফ্লাশ করার পর পরিষ্কার জল দিয়ে যোনি ভালো করে ধুয়ে ফেলুন এবং নরম কাপড় দিয়ে ওই অংশে লেগে থাকা জল শুকিয়ে নিন। এই প্রক্রিয়া মেনে চললে সংক্রমণ এড়ানো সহজ হবে।

ঋতুস্রাবের সময় বিশেষ খেয়াল রাখুন: ঋতুস্রাবের সময় সংক্রমণ হওয়ার ভয় বেশি থাকে। এই সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিশেষ খেয়াল রাখুন। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ভালো কোয়ালিটির স্যানিটারি প্যাড্স ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়। প্রয়োজন অনুসারে প্যাড বদলাতে দেরি করা উচিত নয়। ট্যাম্পুন লাগাবার আগে ভ্যাজাইনা ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে দিতে বলুন এবং ৫ ঘন্টার বেশি সময় এটি লাগিয়ে রাখবেন না।

সুতির পোশাক ব্যবহার করাই সঠিক: প্যান্টি ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই সুতির প্যান্টি বাছুন। খুব টাইট ফিটিংস-এর প্যান্টি পরা উচিত নয়। সিন্থেটিক প্যান্টি ব্যবহার না করাই বাঞ্ছনীয়। কারণ এতে ঘাম হয়। ঘামের জন্য যোনির আশেপাশের ত্বকে সংক্রমণ হওয়ার ভয় বেড়ে যায়। প্যান্টি কাচার সময় শিওর হন, যাতে প্যান্টিতে সাবান না লেগে থাকে। ধোয়ার সাবান সুগন্ধী-যুক্ত না হওয়াই শ্রেয়।

নোংরা টয়লেট এড়িয়ে চলুন: সংক্রমণ থেকে বাঁচতে নোংরা টয়লেট ব্যবহার করবেন না। যে টয়লেটে বহু মানুষের আনাগোনা, সেই টয়লেট খুব সাবধানে ব্যবহার করতে হবে। কারণ এরকম জায়গা থেকে ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন হওয়ার বিপদ খুব বেশি থাকে।

নিজের চিকিৎসা নিজে করবেন না: যদি যোনিতে বা তার আশেপাশের অংশে চুলকানি হয় তাহলে সেখানে রগড়াবেন না এবং চুলকানি না কমলে ডাক্তার দেখান। নিজের ইচ্ছেমতো কিংবা কেমিস্ট-এর পরামর্শ মতো ওষুধ খাবেন না, তাতে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।

ডাক্তারের পরামর্শে ডাউচিং করুন: যোনির ভিতরের অংশ পরিষ্কার করার জন্য ডাউচিং করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে বিশেষ কিছু ওষুধ মেশানো থাকে কিন্তু নিজের ইচ্ছেমতন এটা করা উচিত নয়। যোনি-তে, ভালো এবং খারাপ দুই রকমেরই ব্যাকটেরিয়া উপস্থিত থাকে। কখনও কখনও ডাউচিং করালে খারাপ ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে ভালো ব্যাকটেরিয়া শেষ হয়ে যায়। এর ফলে সংক্রমণ শুরু হয়।

পিউবিক হেয়ার পরিষ্কার: পিউবিক হেয়ার অর্থাৎ প্রজনন অঙ্গের রোম যোনিকে সুরক্ষিত রাখে। এটি ইউরিন যাতে যোনিতে প্রবেশ না করে, সেই দিকটি সামলায়। সুতরাং খানিক বাদে বাদেই এটি পরিষ্কার করা একান্ত দরকার। এখানকার ত্বক খুবই সংবেদনশীল হয়। সুতরাং এখানকার রোম পরিষ্কার করতে হেয়ার রিমুভার এবং শেভিং ক্রিম ব্যবহার করা উচিত নয়। হেয়ার ট্রিমিং হল সবথেকে সুরক্ষিত উপায়।

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...