সারা বছর-ই কিছু-না কিছু উৎসব-অনুষ্ঠান চলতেই থাকে। তবে শারদোৎসব থেকে বড়ো উৎসবের সূচনা বলেই আমরা ধরে নিতে পারি। এই সময় থেকেই আমরা সবচেয়ে বেশি আনন্দে মেতে থাকি। বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনদের আগমনও ঘটে এই সময় থেকেই। কিন্তু ভালোবাসার মানুষকে উপহার দেওয়ার বিষয়টি এসে পড়ে ঠিক দীপাবলির সময়ই।

মনে রাখবেন, দীপাবলিতে উপহার দেওয়া মানেই আনন্দ এবং সুখের আলো ছড়িয়ে দেওয়া। কিংবা বলা যায়, পরিবার ও বন্ধুদের মধ্যে ভালোবাসা ভাগ করে নেওয়া। তাই দীপাবলি-র উৎসবকে উপহার প্রদানের প্রতীক বলে মনে করা হয়। আর সেই আলোর উৎসব এখন দরজায় প্রায় কড়া নাড়াচ্ছে। তাই এখন থেকেই পরিকল্পনা করে রাখুন কী উপহার দেবেন ভালোবাসা-র মানুষজনকে। সাধারণ কিছু উপহার দেবেন, নাকি দেবেন সোনা-হিরের অলংকার? পকেটের ওজন বুঝে কী উপহার দিলে আপনার ভালোবাসা-র মানুষকে খুশি করতে পারবেন, এই বিষয়ে রইল উপযুক্ত পরামর্শ।

উপহার দেওয়ার আগে যে বিষয়টি মনে রাখতে হবে, তা হল—যাকে উপহার দিচ্ছেন, তাকে খুশি করা। তাই আগে থেকেই জেনেবুঝে নিতে হবে, যাকে উপহার দেবেন তার রুচি এবং পছন্দের বিষয়টি। আর তা যদি না পারেন, তাহলে আপনার পছন্দের এমন কিছু উপহার দিন, যা প্রাপক মনে রাখবেন দীর্ঘদিন।

দিতে পারেন ড্রাই-ফ্রুট অথবা শুকনো মিষ্টি ভর্তি ডেকোরেটেড ঝুড়ি। এছাড়া, ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট যেমন স্মার্টওয়াচ, ফিটনেস ট্র্যাকার, পোর্টেবল ব্লুটুথ স্পিকার, হেডফোন, ফোন অ্যাডাপ্টার, পাওয়ার ব্যাংক ইত্যাদি উপহার সামগ্রী। দিতে পারেন ফ্যান সহ ল্যাপটপ টেবিল।

প্রিয় মানুষটির ছবি সহ ফটো ফ্রেম এবং কফি মগ হতে পারে দুর্দান্ত দীপাবলি উপহার।ছোটো ব্যাগ, স্টেইনলেস স্টিলের জলের বোতল, পুনঃব্যবহারযোগ্য স্ট্র, থার্মাল কফি মগ, নোটবুক, ডেস্ক প্ল্যান্ট এবং ডেকোরেটেড মাটির প্রদীপও দিতে পারেন আপনি।

নিজের হাতে তৈরি চকোলেট এবং কুকিজও হতে পারে ভালো গিফট। ইউ টিউব-এ চকোলেট বানানোর পদ্ধতি দেখে নিয়ে ট্রাই করতে পারেন নিজেই। সুন্দর শাড়ি, কুর্তি, ফরমাল স্যুট, জ্যাকেট, সোয়েটার ইত্যাদির মতো পোশাক যা আপনার কাছের মানুষ যেমন মা, বোন বা স্ত্রীকে খুশি করতে পারে, এমন কিছুও দিতে পারেন উপহার হিসাবে।

ছেলেদের দিতে পারেন শার্ট কিংবা টি-শার্ট। আপনার পরিবারের সদস্য বা বন্ধুদের উপহার হিসাবে দিতে পারেন ভালো মানের কেক। এই কেক যদি নিজের হাতে বানিয়ে দিতে পারেন, তাহলে আরও ভালো। এটি অনেক ধরনের হতে পারে যেমন বাটারস্কচ, ব্ল্যাক ফরেস্ট, চকোলেট, ডিমবিহীন কেক প্রভৃতি।

আপনার প্রিয়জনকে দীপাবলির সময় তাদের বাড়ি সাজানোর জন্য উপহার হিসাবে দিতে পারেন মোমবাতি। এটি অনেক ধরনের হতে পারে যেমন জেল মোমবাতি, ট্রেন্ডি মোমবাতি, সুগন্ধি মোমবাতি ইত্যাদি।দিতে পারেন ঝুলন্ত বৈদ্যুতিক আলোও।  আবার ইচ্ছে হলে দিতে পারেন যে-কোনও বিপনীর গিফট-ভাউচার।

বডি-স্প্রে, পুরুষদের জন্য ফেসিয়াল ক্লিনজারও দিতে পারেন উপহার হিসাবে। ক্রোকারিজ সেট যেমন কাচের পাত্র, কফি সেট, ওয়াইন গ্লাস, ডিনার সেট, ককটেল শেকার, চায়ের পাত্র, চা সেট, বার সেট, থার্মো-ফ্লাস্ক ইত্যাদি এবং ফুলদানি, ল্যাম্প, কোস্টার, ভাস্কর্য, ইত্যাদিও রাখতে পারেন উপহারের তালিকায়।

আপনি যদি আপনার বন্ধু এবং পরিবারের জন্য দীপাবলির উপহারের সঙ্গে অতিরিক্ত আনন্দ পেতে চান, তাহলে যে-কোনও অলংকার হতে পারে আদর্শ উপহার। আপনার পকেটের ওজন বুঝে দিতে পারেন যে-কোনও অলংকার। আর যদি সামর্থ্য থাকে, তাহলে অতি প্রিয়জনকে দিতে পারেন হিরেযুক্ত অলংকার। কারণ, হিরে আমাদের শত শত বছর ধরে মুগ্ধ করেছে।

ইতিহাস জুড়ে হিরে সম্পদ, মর্যাদা, শৈলী এবং গ্ল্যামারের প্রতীক হয়ে আছে। এক্ষেত্রে মনে রাখুন, হিরে সবচেয়ে টেকসই পদার্থগুলির মধ্যে একটি। প্রকৃতির এই অনন্য সৃষ্টিকে প্রেমের চিরন্তন প্রতীক করে তুলেছে। তাছাড়া, হিরেতে উজ্জ্বলতা বজায় থাকে, তাই দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্যও উপযুক্ত। আর ঠিক এই কারণে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ব্যবহার করা যেতে পারে হিরের গয়না। এমনকি খুব উচ্চ তাপমাত্রা, অ্যাসিড বা অন্যান্য ক্ষয়কারী উপাদান সহ্য করার বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে হিরের। ডি বিয়ার্স ফরএভারমার্ক-এর ‘অবন্তী’ কালেকশন এর মধ্যে অন্যতম। হাতের চুড়ি থেকে শুরু করে কানের দুল, পেন্ডেন্ট, নেকলেস, চেইন প্রভৃতি রাখতে পারেন আপনার উপহারের তালিকায়।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...