যেসব মহিলারা খাওয়াদাওয়া ও রান্নাবান্না নিয়ে কোনও উদ্যোগ গড়ার স্বপ্ন দেখেন, তাদেরও উৎসাহ প্রদান করা উচিত। এতে ওরা যেমন অনুপ্রাণিত হবেন, ঠিক তেমনই ওরা খুশি থাকলে সংসার সুখের হবে এবং পরিবারের সদস্যরাও খুশি থাকবেন।
একটা সময় ছিল যখন রান্নার বিষয়টি সীমাবদ্ধ ছিল শ্বশুরবাড়ির হেঁসেলে। অর্থাৎ, বিয়ের আগে মেয়েদের রান্না করার বিষয়টি শিখতে হতো শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে রান্না করতে হবে বলে। কিন্তু এখন ছবিটা বদলে গেছে। নিজের সংসারে রান্না করা কিংবা না-করা এখন মেয়েদের নিজস্ব সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। কেউ যদি না চান তাহলে তিনি রান্নার লোক রেখে রান্না করিয়ে নিতে পারেন কিংবা রেস্তোরাঁ থেকে খাবার আনিয়ে নিতে পারেন। আর এটা এখন সম্ভব হচ্ছে কারণ মেয়েরাও এখন উপার্জন করেন, তাই তাদের সংসার এখন অনেকটাই আর্থিক ভাবে সচ্ছ্বল। তাছাড়া, রান্না কিংবা সংসারের কাজে এখন স্বামীরাও অনেকটাই সাহায্য করেন। তাই, মেয়েরাও এখন ঘরে-বাইরে সমান তালে কাজ করার সুবিধে পাচ্ছেন।
আবার যারা নানারকম পদের রান্নায় পারদর্শী, তারা তাদের এই গুণটিকে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করার কথা ভাবতে পারেন। অবশ্য শুধু ভাবনার স্তরেই আটকে নেই বিষয়টি। এমন অনেকে আছেন, বিশেষ করে যারা ভালো রান্না করতে পারেন কিংবা শিখেছেন, অর্থাৎ রান্নার কাজটি বেছে নিয়েছেন প্যাশনেটলি, তারা এটিকে পেশায় পরিবর্তন করে নিয়েছেন কিংবা নিতে উদ্যোগ নিয়েছেন। কেউ বড়ো হোটেলের হেঁসেল সামলাচ্ছেন, কেউ আবার রান্না করে বাড়িবাড়ি খাবার পাঠিয়ে আয় করছেন কিংবা রেস্তোরাঁ খুলে নিয়েছেন। মোটকথা, রান্না করার বিষয়টির মধ্যে এখন কোনও লজ্জার বিষয় নেই, বরং এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান হচ্ছে, ব্যবসায়িক ভিত শক্ত হচ্ছে।
সম্প্রতি একটি বিষয় নজরে এসেছে, এখন কুকিং কম্পিটিশন বেশ চলছে। কোথাও এই ধরনের রান্নার প্রতিযোগিতা হলেই দেখা যাচ্ছে হাজার-হাজার আবেদনপত্র জমা পড়ছে। এই যেমন চলতি বছরে সারা পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২০ হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে আইটিসি সানরাইজ পিয়োর কুকিং কম্পিটিশন-এ। ‘আজকের অন্নপূর্ণা সিজন থ্রি’ শিরোনামে চলছে এই কুকিং কনটেস্ট। শুধু তাই নয়, আরও বেশি মানুষকে অংশগ্রহণে আগ্রহী করে তুলতে এ বছর হোয়াটসঅ্যাপ-কেও রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যম করেছে এরা এবং দারুণ সাড়াও পাচ্ছে। প্রতিযোগিতায় থাকছে ৯০০-র বেশি কাস্টমাইজড রেসিপি। অংশগ্রহণকারীরা এই সব রেসিপির সাহায্যে তাদের পছন্দের পদ রান্না করে তার ছবি শেয়ার করতে পারেন। রান্না করা প্রতিটা পদের জন্য একজন প্রতিযোগী পাবেন কয়েন। যত বেশি কয়েন জমবে, পরের পর্বের যোগ্যতা অর্জনের সম্ভাবনা ততই বাড়বে।
রান্নাবান্নার এই জমজমাট অনুষ্ঠানটি জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি-ফাইভ-এ সম্প্রচার করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন সানরাইজ আইটিসি লিমিটেড-এর বিজনেস হেড পিয়ূষ মিশ্র। দু বছরের চমকপ্রদ এবং একটানা সাফল্যের পর আজকের অন্নপূর্ণা ফিরছে রান্নাবান্না নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের আবেগ এবং তাদের উদ্যোগী মানসিকতাতে পুনরুদ্দীপ্ত করতে।