হোয়াটস অ্যাপ এবং ট্যুইটারে যা খুশি লিখে দিলে এখন আর রেহাই নেই। ঘৃণ্য বক্তব্য এবং ভুয়ো খবর দেওয়ার আগে সতর্ক থাকুন। আগে এই মাধ্যমের অপপ্রয়োগ এতটাই ছিল যে, অন্ধ ভক্তদের বশে রাখা, জাতিবাদ, ধর্মবাদ কিংবা পৌরুষত্ব ফলানোর সুযোগ করে নেওয়া হতো। কিন্তু এখন এসবের সুযোগ কমেছে।

এখন কেউ যদি হোয়াটস অ্যাপ এবং ট্যুইটারে আপত্তিকর কোনও মন্তব্য করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে পুলিশ-প্রশাসন। উল্লেখ্য, এক সময় বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের কারণে ফেসবুক, ইউটিউব সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছিল।

বাস্তবে দেখা গেছে যে, নিজেদের মধ্যে যদি ৪ জন লড়াই শুরু করে, তাহলে তা উপভোগ করে প্রায় ৪০ জন। কাউকে নিয়ে মজা, নিন্দামন্দ কিংবা কারওর বাড়ির ঝগড়া নিয়ে হাসি-তামাশা করে সময় কাটানোর সুযোগও রয়েছে সোশ্যাল মাধ্যমে। কিটি পার্টিতেও কী হল, তা নিয়েও চর্চা চলে সোশ্যাল মাধ্যমে। কিন্তু এখন বেফাঁস মন্তব্য করলেই দুয়ারে বিপদ।

হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুক, ট্যুইটার, ইনস্টাগ্রাম প্রভৃতির মাধ্যমে টকঝাল তথ্য কিংবা ভুয়ো খবর প্রচারের পিছনেও বড়ো উদ্দেশ্য আছে। আসলে পূজাপাঠ করানোয় উৎসাহিত করা, মন্দিরে আহ্বান, ভক্তিভাব জাগরিত করে প্রণামি আদায়, চাঁদা তোলা, তীর্থযাত্রায় শামিল করানো, স্বামী কিংবা শাশুড়ির অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য ব্রত করানোতে উৎসাহ জোগানো প্রভৃতির প্রচার করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর ফলে মন্দির, মঠ, আশ্রমে যেমন জনসমাগম বাড়ছে, ঠিক তেমনই ভণ্ড বাবাদের দৌরাত্মও বাড়ছে।

আপত্তিকর মন্তব্য করার জন্য এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনায়, পুলিশ গ্রেফতার করে ওই ব্যক্তিকে। কিন্তু এরপর আদালত সবকিছু যাচাই করে গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়। শুধু তাই নয়, অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধেও মামলা করার আদেশ দেওয়া হয়। আসলে ওই ব্যক্তিকে চাইল্ড অ্যাবিউস অ্যাক্ট অনুযায়ী পুলিশ গ্রেফতার করেছিল কিন্তু আদালত ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়ার পর পুলিশই জানিয়েছে যে, কোনও অপরাধ ঘটেনি। তাহলে এখন প্রশ্ন, যদি অপরাধ না-ই ঘটে থাকে, ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল কেন?

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...