যে-কোনও মরশুমেই ত্বক ময়েশ্চারাইজ করাটা একান্ত জরুরি যাতে ত্বক ভিতর থেকে হাইড্রেটেড থাকে। এতে যেমন ত্বকে ড্রাইনেস-এর সমস্যা রোধ করা যাবে, তেমনই ত্বকের ঔজ্জ্বল্যও অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। ত্বকে যদি হাইড্রেশন-এর অভাব থেকে থাকে, তাহলে শুষ্ক ত্বক এবং অ্যাকনে, ট্যানিং, র‍্যাশ ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। ত্বক নিয়মিত ময়েশ্চারাইজ করলে হেলদি স্কিন সেল্স প্রমোট করাও হবে।

অনেক ক্ষেত্রেই আমরা ত্বককে বেশি হাইড্রেট করার চাহিদায়, Skin-কে ওভার ময়েশ্চরাইজ করা শুরু করি। এর ফলে ত্বকের নিজস্ব ময়েশ্চার তৈরির কাজ ব্যাহত হয়। যে কারণে স্কিনের নীচে থাকা ত্বকের লেয়ার ড্রাই হওয়া শুরু হয়। সুতরাং মনে রাখতে হবে, ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করা জরুরি ঠিকই কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত নয়।

ত্বক দরকারের বেশি ময়েশ্চারাইজ করলে কী কী ক্ষতি হতে পারে –

পোরস বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা

ত্বকের শুষ্কতা রোধ করতে যখনই আমরা বেশি পরিমাণে ময়েশ্চারাইজার ত্বকে লাগাই, এটি ত্বকের পোরস-এর মুখ বন্ধ করে দেয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ময়েশ্চারাইজার ত্বকের উপর জমে যায়। একই সঙ্গে এর হেভি টেক্সচার ত্বককে ঠিকমতো যখন নিঃশ্বাস নিতে দেয় না, তখন পোরস ব্লগ হয়ে যায়। ফলে ক্লগ পোরস থেকে অয়েল এবং ডেড স্কিন সেলস বাইরে বেরোতে পারে না। এই কারণে অ্যাকনে, ব্রেকআউটস এর সমস্যা হতে থাকে এবং সৌন্দর্যও ম্লান হয়ে যায়। সুতরাং Skin-এ বেস্ট কোয়ালিটির ময়েশ্চারাইজার লাগাবার সঙ্গে সঙ্গে কতটা পরিমাণে ব্যবহার করছেন সেটাও খেয়াল রাখা একান্ত দরকার।

শুষ্ক ত্বকের সমস্যা

ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগাবার পরেও ড্রাই স্কিন- -এর সমস্যা? অবাক হওয়ারই কথা। কিন্তু এটাই সত্যি যে অতিমাত্রায় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বকে ড্রাইনেস এর সমস্যা হয়। ত্বক নিষ্প্রাণ এবং সংবেদনশীল হয়ে পড়ে।

ত্বকে বেশি করে ময়েশ্চারাইজার লাগালে ত্বক নিজস্ব তেল উৎপাদনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। স্বাভাবিক ভাবেই Skin শুষ্ক হয়ে পড়ে। যতক্ষণ ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের পরত থাকে, ত্বক নরম ও মোলায়েম থাকে। কিন্তু ময়েশ্চারাইজার যখন আর থাকে না তখন আবার নতুন করে ত্বকের শুষ্কতা ফিরে আসে। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে ত্বকের প্রাকৃতিক অয়েলের উৎপাদন কমতে থাকা। এতে ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য চলে গিয়ে ত্বক সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। এছাড়াও নানারকম ত্বকের সমস্যাও উৎপন্ন হয়।

অ্যাকনের সমস্যা

হেয়ার ফলিকলস যখন অয়েল এবং ডেড স্কিন সেলস-এ ভরে যায় তখন ত্বকের সমস্যা বেড়ে যায়। অ্যাকনের সঙ্গে সঙ্গে জ্বালা, চুলকানি ইত্যাদিও বাড়তে থাকে। মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে হলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ময়েশ্চারাইজার কখনও ব্যবহার করবেন না।

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...