সকলেই গ্লোয়িং, অ্যাট্রাক্টিভ ত্বকের যেমন আকাঙ্ক্ষা করেন, তেমনি সমস্যা থেকেও নিজের ত্বককে মুক্ত রাখার জন্য পরিশ্রম করতে হয় বিস্তর। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও সকলের ত্বক সমস্যামুক্ত হয় না কারণ ত্বক একটি প্রোটেক্টিভ লেয়ার দ্বারা তৈরি হয়। জলবায়ু পরিবর্তনে, স্কিন কেয়ার পণ্যে অতিরিক্ত কেমিক্যাল ব্যবহারে, ধুলোময়লা দূষণের সংস্পর্শে যখনই আমাদের বেশি থাকতে হয়, তখনই ত্বক এগুলোর কারণে স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে আর ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়। এর জন্য ত্বকের যেমন সঠিক যত্নের প্রয়োজন তেমনি সঠিক স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টসও ব্যবহার করা উচিত যাতে ত্বকের গ্লো সর্বদা বজায় থাকে।

এই ক্ষেত্রে বাজারে নানা ধরনের নামি ব্র্যান্ডের Cleanser পাওয়া যায়। জেল ক্লিনজার, ফোম ক্লিনজার, ক্রিম ক্লিনজার, লিকুইড ক্লিনজার, অয়েল বেসড ক্লিনজার, মাইমেলার ক্লিনজার, ক্লে ক্লিনজার। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লিনজার বেছে নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।

কী কারণে ত্বক স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে

পণ্যে থাকা ক্ষতিকারক উপাদান: দীর্ঘ সময় ধরে এমন প্রোডাক্ট আপনি ব্যবহার করছেন যাতে রয়েছে মিনারেল অয়েল, সিলিকোনস, যা ত্বকের ক্ষতি করবে এমন সব উপাদান। এর ফলে পোরস বন্ধ হয়ে যাওয়া থেকে ত্বকে অ্যাকনে, জ্বালা ভাব ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য দরকার, স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট। এটি কেনার সময় কী কী উপাদানে সেটি সমৃদ্ধ সেটা ভালো করে দেখে তবেই প্রোডাক্টটি কেনা উচিত। প্রাকৃতিক উপাদানে সমৃদ্ধ মাইল্ড প্রোডাক্টস-ই ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া রাতে শোওয়ার আগে মেক-আপ সম্পূর্ণ পরিষ্কার করে শুতে যাওয়া উচিত।

দূষণ: বাড়িতেই থাকি অথবা বাড়ির বাইরে কোথাও বেরোই, আমরা সর্বক্ষণ দূষণ দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকি। এর ফলে ত্বক নোংরা হয় এবং দূষণের কারণে কিছু কিছু কেমিক্যাল্স আমাদের ত্বকের পরতের মধ্যে ঢুকে যায় এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস উৎপন্ন করে। এর ফলে আমাদের ত্বকের প্রোটেকটিভ ব্যারিয়ার দুর্বল হয়ে পড়ে। ফুলে যাওয়া, এজিং ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে। H2O ক্লিনজার এই ক্ষেত্রে ত্বককে পুরো সুরক্ষা দিতে সক্ষম।

ত্বকের নোংরা: ত্বক সাধারণত কেমিক্যালস এবং দূষণের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ব্যারিয়ার হিসেবে কাজ করে। যদি ত্বকের প্রপার হাইজিন মেনে চলা হয় অর্থাৎ রোজ ত্বক পরিষ্কার করা হয়, তাহলে ত্বকের মৃত কোশ, নোংরা, রোগজীবাণু দূরে রাখতে সক্ষম হব আমরা।

কলের জল: কলের জলে ক্যালশিয়াম, ব্যাকটিরিয়া এবং আরও নানা ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে। এগুলি ত্বকে বাইরের পরত এপিডার্মিস-এর ক্ষতি করে। এর ফলে ত্বক জ্বালা করা, অ্যালার্জি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। সুতরাং ত্বকের উপযুক্ত সঠিক ক্লিনজার চয়ন করে এই সমস্যাগুলির সঙ্গে লড়বার শক্তি অর্জন করতে পারেন।

ফেস মাস্ক: কোভিড ১৯ ভাইরাস-এর কারণে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে মাস্ক-এর ব্যবহার জরুরি হয়ে পড়েছিল ঠিকই কিন্তু এর ফলে ত্বকেরও ক্ষতি আমাদের স্বীকার করতে হচ্ছে। কারণ মাস্ক ব্যবহারের ফলে মুখের নীচের অংশে ব্রন, মেচেতা ইত্যাদির সমস্যা দেখা দিয়েছে। যাদের ত্বক খুবই স্পর্শকাতর তাদের ত্বকে লাল ফুসকুড়ি, জ্বালা ভাব এমনকী এগজিমার মতো সমস্যা এখনও হচ্ছে। এজন্য সবসময় ত্বক পরিষ্কার রাখাটা একান্ত জরুরি, যাতে ত্বকে ঠান্ডা ভাব বজায় থাকে। •

স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য কিছু নিয়ম

  • দিনেরবেলায় পরিবেশ দূষণ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে ত্বক সুরক্ষামূলক ভূমিকা গ্রহণ করে। এর জন্য সারারাতের জমা ময়লা দূর করতে ত্বককে জেন্টল ক্লিনজার ব্যবহার করে পরিষ্কার করুন। একই ভাবে সারাদিনের জমা নোংরা মুখ থেকে দূর করা প্রয়োজন, নয়তো মুখে জমে থাকা সারাদিনের ময়লা ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। এজন্য দিনে এবং রাত্রে Cleanser-এর সাহায্যে ত্বক পরিষ্কার রাখা একান্ত জরুরি।
  • যাদের ত্বক স্পর্শকাতর তাদের মনে রাখা উচিত কোনও প্রোডাক্ট দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর ত্বকে টাইটনেস ফিল করলে বুঝতে হবে প্রোডাক্টটি ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয়।
  • সানস্ক্রিন, মেক-আপ বা ক্রিম সারারাত মুখে লাগিয়ে রেখে শুয়ে পড়বেন না বরং ক্লিনজারের সাহায্যে মুখ পরিষ্কার করে ত্বককে ডিটক্স করুন।

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...