প্রঃ অমার স্বামী সারাক্ষণ নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা করেন ও বাড়ির সকলকে সেই মনোভাবের প্রতি প্রভাবিত করেন৷ এর ফলে আমরা পরিবারের সকলেই আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলছি৷ কী ভাবে ওর ইগো হার্ট না করে এই সমস্যা থেকে ওঁকে মুক্ত করতে পারি, তার পরামর্শ দিন৷

 

উঃ স্বামী যতই নেতিবাচক ধারণা মনে রাখুন না কেন, আপনাকে সদর্থক থাকতে হবে। আপনিই পারেন তার মধ্যে সঠিক চিন্তাধারা প্রবেশ করিয়ে দিতে। এখন থেকে তিনি নেগেটিভ কথা বললেই বিরোধিতা করুন। বরং তাঁকে সদর্থক কথা বলুন। দেখবেন কিছুদিন পরই তাঁর ভিতর পরিবর্তন এসেছে। আপনারা অনায়াসে ভালো থাকতে পারবেন। সংসারে নতুন আলোর কিরণ দেখতে পাবেন।

মানুষ কিন্তু এমনি এমনি নেগেটিভ হয়ে যায় না। বরং এমন ধারণা মনে বয়ে নিয়ে চলার পিছনে কিছু কারণ থাকে। তার জীবনে নিশ্চয়ই খারাপ কিছু ঘটেছে। সেই ঘটনার প্রভাবেই তিনি নেগেটিভ কথা বলেন। তাই সমস্যাটা ঠিক কোথায়, তা বোঝার চেষ্টা করুন।। তারপর অন্য কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে অনায়াসে। প্রয়োজনে এই বিষয়ে জানতে তাঁর পরিবারের মানুষদের  সঙ্গেও কথা বলুন।

এই ধরনের ভাবনা চিন্তা জীবনে বিপদ ডেকে আনে। তাই স্বামীকে এই মানসিক অবস্থায় একা ছেড়ে দেবেন না। দিনে দিনে তার মধ্যে নেগেটিভিটি বাড়তে পারে। তাই নিজেই তাঁর কাউন্সেলিং করুন। তাঁকে বলুন, এমন চিন্তা ভাবনা ক্ষতি করতে পারে। এমনকী ভবিষ্যতে খুবই খারাপ দিকে যেতে পারে। যখনই সময় পাবেন, এই ধরনের কথা বলুন। তাতেই আশা করা যেতে পারে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।

মনোবল তুঙ্গে থাকলে বহু কঠিন লড়াইও সহজে জেতা যায়। তবে কিছু মানুষ অহেতুক কনফিডেন্সের অভাবে ভুগতে থাকেন। মনোবলের অভাবেই তাঁরা সহজ থেকে সহজতর কাজ করতে পারেন না। এমনকী সবসময়ই নিজের কমফোর্ট জোনে থাকার কথা ভাবেন। এমন ধরনের মানুষদের নেতিবাচক চিন্তা থাকে। তাই দেখুন আপনার স্বামীর কনফিডেন্সের অভাব নেই তো? আর যদি এর অভাব থাকে তাহলে তা বাড়ানোর চেষ্টা করুন।

এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে চলাটাই হল বুদ্ধিমানের কাজ। নেগেটিভ কথাবার্তা যদি উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে, তাহলে আর অপেক্ষা করবেন না। বরং তাঁকে নিয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যান। কয়েক দফা কাউন্সেলিং করার পরই তাঁর সমস্যা কমতে পারে। তাই প্রথম থেকেই ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করুন। আশা করছি সব সমস্যা সহজেই মিটে যাবে।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...