ক্যালিফোর্নিয়ার Almond বোর্ড-এর পক্ষ থেকে ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে সম্প্রতি। জানানো হয়েছে, মধ্যবয়সী কয়েকজন পুরুষ এবং মহিলা প্রতিদিন ৫৭ গ্রাম (দুই আউন্স) কাঁচা Almond খাওয়ার আট সপ্তাহ পরে, ৩০ মিনিটের ডাউনহিল ট্রেডমিল রান পরীক্ষা করে ভালো ফল পেয়েছেন। ব্যায়ামের পর পেশীর উপর কতটা এবং কী প্রভাব পড়ে, তা দেখার জন্য ট্রেডমিল পরীক্ষাটি করা হয়েছিল। এই পরীক্ষায় দেখা গেছে, ব্যায়ামের পর Almond খেলে পেশী এবং কর্মক্ষমতা স্বাভাবিক হয় খুব দ্রুত।
পেশীর কার্যকারিতা এবং রক্তের সঞ্চালন ব্যায়ামের আগে, ব্যায়াম চলাকালীন এবং ব্যায়ামের পরে কেমন থাকে, এই বিষয়টি তিনটি টাইমপয়েন্টে একটি ভিজ্যুয়াল স্কেল ব্যবহার করে পরীক্ষা করেছিলেন গবেষকরা। সেইসঙ্গে, ব্যায়ামের পরে Almond খাওয়ার পর পেশী এবং কর্মক্ষমতা কেমন থাকে তাও পরীক্ষা করে দেখেছিলেন তাঁরা। এই পরীক্ষাটি গবেষকরা একটানা চালিয়েছিলেন আট সপ্তাহ এবং তাঁরা দেখেছেন যে, ব্যায়ামের পর প্রতিদিন ৫৭ গ্রাম Almond খেলে কার্ডিওমেটাবলিক স্বাস্থ্য, মেজাজ, খিদে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। গবেষকরা প্রসঙ্গত আরও জানিয়েছেন, যারা ধুমপান করেন না, তারা ব্যায়ামের পর Almond খেলে আরও ভালো ফল পাবেন।
কিংস কলেজ অফ লন্ডন-এর এক্সারসাইজ মেটাবলিজম অ্যান্ড নিউট্রিশনের সিনিয়র লেকচারার ড. অলিভার সি উইটার্ড জানিয়েছেন, ‘Almond প্রাকৃতিক ভাবে প্রোটিন, গুড ফ্যাট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন-ই প্রভৃতি পুষ্টিকর উপাদানে সমৃদ্ধ। এগুলি ফিটনেসের জন্য উপযুক্ত উপাদান হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।’
ড. অলিভার আরও জানিয়েছেন, ‘এক আউন্স (২৮ গ্রাম) Almond ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৪ গ্রাম ফাইবার এবং ৭৬ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম (২০% ডিভি), ৭.৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন-ই (৫০% ডিভি) এবং ২১০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম (৪% ডিভি) সহ ১৫টি প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।’
ম্যাক্স হেলথ কেয়ার-এর আঞ্চলিক প্রধান-ডায়েটেটিক্স রিতিকা সমাদ্দার এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘বছরের পর বছর ধরে, নিয়মিত ভাবে আমার রোগীদের প্রতিদিন Almond খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। কারণ, ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যালমন্ডস বোর্ড-এর করা নতুন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রতিদিন Almond খাওয়া পেশীর ব্যথা কমাতে পারে এবং পেশীর কার্যকারিতা বাড়াতে পারে। যারা ব্যায়াম করতে অভ্যস্ত নন, তাদের উৎসাহিত করার জন্য Almond খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এখন। তাছাড়া, একজন ডায়েটিশিয়ান হিসাবে আমি সুপারিশ করছি, ডায়েটে Almond অন্তর্ভুক্ত করার। কারণ, প্রোটিন, হেলদি ফ্যাট, ভিটামিন-ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ অত্যাবশ্যক পুষ্টি সরবরাহ করে Almond এবং ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে।’
পুষ্টিবিদ রোহিনী পাতিল জানিয়েছেন, ‘নিয়মিত Almond খেলে পেশীর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। এটি যে একটি নিরাপদ এবং কার্যকর খাদ্য উপাদান, তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে।’