অনেক সময় পার্লারে সঠিক পদ্ধতিতে স্টেপস ফলো না করার ফলে ফেসিয়ালের উপকারিতা মুখে বোঝা যায় না। আপনি পার্লার বদল করে দেখতে পারেন। মুখে গ্লো ফিরিয়ে আনতে কোনও ভালো কসমেটিক ক্লিনিক থেকে এএইচএ ফেসিয়াল করান। আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড অর্থাৎ এএইচএ, ফল থেকে বার করা হয়। এটি ত্বককে রিজেনারেট করে ত্বক উজ্জ্বল করে। এছাড়াও ত্বক হাইড্রেট করে ত্বকের ড্রাইনেস দূর করে। বাড়িতেও আপনি অলিভ অয়েল এবং আমন্ড অয়েলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা অরেঞ্জ অয়েল মিশিয়ে মুখে মাসাজ করুন। রোজ এটা করতে পারলে ত্বকের রুক্ষতা কমে যাবে এবং রং-ও উজ্জ্বল দেখাবে।

মুখে রোমের সমস্যা এবং সমাধান

সাধারণত মুখে রোম হওয়ার কারণ হল হরমোনের ভারসাম্যহীনতা। সেজন্য সর্বপ্রথম আপনি হরমোন পরীক্ষা করান। ভালো কোনও এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট-এর পরামর্শ নিন। মুখে কখনও লেডিজ রেজার ব্যবহার করবেন না। এর ফলে চুলের গ্রোথ হার্ড হয়ে যায় এবং ত্বকও কালো হয়ে যায়। সেজন্য ভালো উপায় হল পারমানেন্ট রোম তুলে ফেলার জন্য পল্স লাইট ট্রিটমেন্ট-এর সিটিং নিন। এটি সব থেকে সহজ এবং সুরক্ষিত উপায়। এতে দাগ থেকে যাওয়ারও ভয় থাকে না এবং কোনওরকম কষ্টও হয় না।

হেয়ারফল এবং খুশকির সমস্যা কীভাবে দূর করা সম্ভব?

হেয়ারফল বা চুল পড়ার অনেক কারণ হতে পারে। চুলের খুশকি দূর করতে এবং স্ক্যাল্পের ত্বক সুস্থ রাখতে সারা রাত মেথিদানা জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেটি ভালো করে পিষে গাঢ় দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে সারা চুলে এবং স্ক্যাল্পে ভালো করে লাগান। ২ ঘন্টা পর চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। মেথিতে নিকোটিনিক অ্যাসিড এবং প্রোটিন থাকে। এগুলি চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়। এছাড়া খুশকি দূর করে চুলের গ্রোথও বাড়ায়।

মুখের ত্বক রুক্ষ হয়ে গেলে কী করা উচিত?

শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় মুখের ত্বক বেশি স্পর্শকাতর হয়। সুতরাং ত্বকের ধরন দেখে উপযুক্ত ফেস ওয়াশ ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। আপনি ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। ৪ বড়ো চামচ বেসনের সঙ্গে ১ ছোটো চামচ টাটকা দুধের সর মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এটি সারা মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর হালকা গরমজলে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

পিগমেনটেশন মার্কস দূর করার উপায়ঃ

সাধারণত পিগমেনটেশন দাগ দূর করার জন্য যে ওষুধগুলি ব্যবহার করা হয় তাতে স্টেরয়েডস থাকে। যে-কারণে এগুলো ব্যবহার করলেই দাগ তৎক্ষণাৎ দূর হয়ে যায়। কিন্তু যেই এর ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়, দাগ আবার ত্বকে ফুটে ওঠে। এখন এই দাগ দূর করার জন্য ওষুধ বা ক্রিম ব্যবহার করার বদলে ভালো কসমেটিক ক্লিনিক থেকে লেজার অথবা মাইক্রোডার্মা অ্যাব্রেজার-এর সিটিং নিতে পারেন। লেজারের সাহায্যে ত্বকে নতুন কোশ রিজেনারেট করা হয়। এর ফলে আপনার সমস্যাও দূর হওয়ার আশা রয়েছে।

ব্রণর দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় কী?

মুখে ব্রণ হলে চেষ্টা করবেন সেটা কোনওভাবে না খোঁটার। সেই সময় কোনও প্রসাধনীও ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ প্রসাধনী তোলবার সময়ও ব্রণর উপরের ত্বকে র‍্যাপচার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ব্রণর দাগ দূর করার জন্য রোজ সকাল-সন্ধে মুখ ধুয়ে এএইচএ সিরাম দিয়ে ফেস মাসাজ করতে পারেন। এছাড়াও দাগের উপর নিম এবং তুলসীর প্যাক লাগান। টাটকা পাতা পিষে নিয়ে নিজেই এই প্যাক বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন। অ্যালোভেরার জুস বার করেও মুখে লাগাতে পারেন। এতেও আপনি প্রচুর উপকার পাবেন। ব্রণ, দাগছোপ দূর হবে।

ত্বকে ইনস্ট্যান্ট গ্লো আনার জন্য পিল অফ মাস্ক কতটা কার্যকরী?

আপনি হনিমুনে গিয়েও পিল অফ মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। বহু ভালো কোম্পানির পিল অফ মাস্ক বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। সাধারণত এগুলি ফলের খোসা, গাছ-গাছড়া দিয়ে তৈরি হয়। সেই কারণে এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস প্রাকৃতিক উপায়ে ফ্রি র‍্যাডিকল্স – -এর সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। এর ফলে ত্বকে বলিরেখা সহজে পড়ে না এবং অনেক বয়স পর্যন্ত যৌবন ধরে রাখা যায়। পিল অফ মাস্ক মুখের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে মুখের রং-ও উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। সূর্যের রশ্মির কারণে হওয়া ত্বকের ট্যানিং-ও দূর করে পিল অফ মাস্ক। রাফ এবং ড্রাই স্কিনকে স্মুদ বানাতেও পিল অফ মাস্ক সাহায্য করে।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...