অপর্ণা পেশায় জুয়েলারি ডিজাইনার। এই পেশাগত কারণে দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে কাজ করতে হয় তাকে। তাই অপর্ণা কিছুটা ওভার-ওয়েট। অতএব, বিয়ের আগে সেও কিছুটা চিন্তিত। তাই সাতপাঁচ ভেবে নিয়ে অপর্ণাও জিম জয়েন করে এবং নিয়মিত মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধীরে ধীরে নিজের ওজন অনেকটাই কমাতে চেষ্টা করল। অবশ্য শুধু জিমে গিয়ে শরীরচর্চা-ই নয়, শোভন এবং অপর্ণা দু’জনেই সঠিক মাত্রায় খাদ্যগ্রহণ করে নিজেদের ফিট রাখার চেষ্টায় সফল হল বিয়ের আগেই।
জিমে যাওয়ার সুফল কী?
জিমে গিয়ে লাভবান হয়েছেন এমন একজন প্রসঙ্গত জানালেন, ‘প্রত্যেকেরই শারীরিক গঠন আলাদা হয়। কারও বুকের ছাতি ঠিক থাকে না, আবার কারও নিতম্ব থাকে ভারী। এছাড়া হাইট অনুযায়ী ওজন ঠিক থাকে না অনেকের। আর এসব বাড়িতে নিজের মতো শরীরচর্চা করে কিংবা খাবার খেয়ে ঠিক করা যায় না। এর জন্য ট্রেন্ড কারও-র পরামর্শ ও সাহায্য চাই। জিম-ই এর জন্য অন্যতম উপযুক্ত জায়গা যেখানে ট্রেনার আপনাকে সঠিক ভাবে গাইড করবে। প্রয় সব জিমেই জিম ইন্সট্রাক্টর থাকেন,আর থাকেন ডিগ্রি-হোল্ডার ডায়েটিশিয়ান। তাদের থেকে সঠিক গাইডেন্স-এ ব্যায়াম করলে কিংবা খাবার গ্রহণ করলে নিজেকে ফিট এবং ফাইন রাখা যায়।”
বিবাহপূর্ব শরীরচর্চার অন্যান্য সুফল
শুধু বিয়ের দিন সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল থাকাই নয়, হনিমুন থেকে শুরু করে পরিবার পরিকল্পনা পর্যন্ত দারুণ কাজে আসে বিবাহপূর্ব শরীরচর্চা। কারণ, নিজেকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল এবং সুন্দর রাখলে নিজের শরীর- -মন যেমন ভালো থাকবে। আপনি কম অসুস্থ হলে পরিবারের বাকিদেরও খুশি রাখা যাবে। এর ফলে পুরো পরিবারটাই থাকবে আনন্দে উচ্ছল। শুধু তাই নয়, বিয়ের কয়েকবছর পর যখন দেখবেন বিয়ের দিনের মতো তখনও প্রায় একই রকম আছেন, তখন বেশ ভালো লাগবে। বিয়ের ফোটো কিংবা ভিডিয়ো অ্যালবাম দেখে যখন নিজের বর্তমান ফিগার মেলাবেন, তখন যদি দেখেন স্বাস্থ্য কিংবা সৌন্দর্য আগের থেকে খুব বেশি বদলায়নি, তখন তা আপনাকে আনন্দে ভরিয়ে রাখবে।
এ প্রসঙ্গে একটা কথা মনে রাখবেন, স্বামী-স্ত্রীর শরীর-স্বাস্থ্যের উপরই অনেকটা নির্ভর করে পরবর্তী প্রজন্মের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য। আপনারা যদি সুস্থ, সুন্দর এবং নীরোগ থাকেন— তাহলে আপনাদের সন্তানের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। অতএব, বিয়ের আগে সঠিক মাত্রায় পুষ্টিকর খাবার খান এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করুন।