বাংলা তথা সারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে, হ্যান্ডলুম পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। আসলে, হাতে তৈরি পোশাকের সৌন্দর্য এবং মর্যাদা-ই আলাদা। তাই, এমন পোশাক নির্বাচন করুন, যা হাতে তৈরি এবং আধুনিক। শুধু চাই সঠিক ড্রেসিং সেন্স, যা আপনার পরিধানে আনবে পরিপূর্ণতা।
মনে রাখবেন, তরুণী থেকে পূর্ণবয়স্কা— সকলেই চান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের ফ্যাশনেবল রাখতে। কিন্তু, ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার মিশেলে কীভাবে হট লুক বজায় রাখবেন, সেই বিষয়ে জ্ঞান থাকা জরুরি।
জানেন তো, ভারতে হ্যান্ডলুম শিল্প একটি বড়ো কুটির শিল্প এবং এই শিল্প দেশের অর্থনীতি ও সংস্কৃতির অন্যতম অংশ। তাই, তাঁত কিংবা যে-কোনওরকম হাতে তৈরি পোশাকে নিজেকে ফ্যাশনেবল করে তুলতে পারলে, ভারতের এই হ্যান্ডলুম শিল্পও বেঁচে থাকবে এবং আপনিও রুচিশীল মানুষ হিসাবে বিশেষ মর্যাদা পাবেন।
যারা শাড়ি পরতে ভালোবাসেন, তাদের জানিয়ে রাখি, বিখ্যাত কিছু হ্যান্ডলুম শাড়ির মধ্যে রয়েছে- – বেনারসি শাড়ি, টাঙ্গাইল শাড়ি, বালুচরি শাড়ি, ধনেখালি শাড়ি, চিকনকারি শাড়ি, জামদানি শাড়ি প্রভৃতি। আর এইসব শাড়ি পরে স্টাইল-এ আনুন পরিবর্তন এবং গ্রহণযোগ্যতা। তবে, প্রত্যেক ঋতুর সঙ্গে মানানসই পোশাক চয়ন করা আবশ্যক।
তরুণ প্রজন্ম ইচ্ছেমতো যেমনটা পছন্দ পোশাক পরে এবং বয়স অল্প হওয়ায় মানিয়েও যায়। কখনও আবার তাদের ব্যবহার করা পোশাক-ই ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হয়ে ওঠে। কিন্তু বয়স বাড়লেও, ‘নিজেকে আর ফ্যাশনেবল রাখা সম্ভব নয়’— এমনটা ভাববেন না। পছন্দের পোশাক পরে যে কোনও বয়সে আপনিও হয়ে উঠতে পারেন ফ্যাশন ডিভা।
ফ্যাশনের বহতা স্রোতে আপনিও যদি গা ভাসান — তাহলে আপনাকেও মাঝেমধ্যে ওয়ার্ডরোব-টিতে বদল আনতে হবে। তাহলেই ফিরে আসবে ফ্যাশনের জোয়ার।
হ্যান্ডলুম শাড়ির পাশাপাশি, একটু লম্বা ঝুলের হ্যান্ডমেড কুর্তি এখন ফ্যাশনে ইন। কিনে ফেলুন রাউন্ড শেপড কুর্তি। ওই পোশাকের সঙ্গে পরুন লেগিংস বা সিগারেট প্যান্ট। পরতে পারেন পালাজোও। কানে থাকুক একটু বেশি ঝুলের কানের দুল। কে বলতে পারে এই লুকেই হয়তো কতজনের মন চুরি করে ফেলবেন আপনি।
আবার স্লিভলেস ব্লাউজের সঙ্গে শাড়ি পরে আয়নার সামনে দাঁড়ালে নিজেকে চিনতে পারবেন না আপনি। শাড়ি পরার সময়ে বিশেষ কয়েকটি টিপস মাথায় রাখা প্রয়োজন, নয়তো সাজটাই মাটি হবে। পেটিকোটের রং এবং ফিটিংস-এ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। ব্লাউজের ফিটিংসের দিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখুন। শাড়িতে মাত্রাতিরিক্ত সেফটিপিন লাগাবেন না। এতে সাজটাই নষ্ট হয়। এসব টিপস সঙ্গে রাখুন, আপনাকে শাড়িতে এতটাই সুন্দর দেখাবে যে, কেউ আপনার থেকে চোখে ফেরাতে পারবে না।
অনেকেই পশ্চিমি পোশাক পরতে পছন্দ করেন। আপনারও কি সেরকমই প্ল্যান রয়েছে? সেক্ষেত্রে কয়েকটি দিকে খেয়াল রাখুন। পোশাকের সঙ্গে মানানসই অন্তর্বাস পরুন। সেইসঙ্গে সঠিক অ্যাকসেসরিজ দিয়ে লুককে পারফেক্ট করে তুলতে হবে।
প্রয়োজনে নিজের ডিজাইন সেন্স থেকেই অদলবদল করে নিতে হবে পুরোনো হয়ে যাওয়া পোশাকগুলির মলিন চেহারা। এক কথায় ‘শ্রী’ ফিরিয়ে আনতে হবে ওয়ার্ডরোব এবং নিজের।
পুরোনো শাড়ি দিয়েও করতে পারেন ফ্যাশন মেকওভার। পুরোনো শাড়ি যা বহুবার পরেছেন অথচ সেটি খুব প্রিয় বলে বাতিল করতেও পারছেন না— তা দিয়ে কিন্তু নতুন স্টাইলের ড্রেস বানিয়ে নিতে পারেন। তাহলে বাজেটের মধ্যেই ফ্যাশন মেকওভার করতে পারেন।
ওয়ান-পিস গাউন সবাই পরতে ভালোবাসেন আর এখন এটা ফ্যাশন ট্রেন্ডেও ইন। একরঙা গাউন হোক কিংবা হ্যান্ডপেইন্টেড অথবা প্যাচওয়ার্ক করা, যেরকমই হোক না কেন, আপনি কিন্তু আপনার পুরোনো শাড়ি দিয়ে দিব্যি একটা ওয়ান-পিস গাউন তৈরি করে নিতে পারেন এবং সেটাও কম খরচে।
ফিউশন স্কার্ট খুব ভালো লাগে দেখতে। আপনার পছন্দ মতো যে-কোনও টপের সঙ্গে আপনার এই স্কার্ট কিন্তু দারুণ লাগবে দেখতে। আর এতে বেশি খরচও নেই।
এক রঙের কোনও শাড়ি আর তাতে পাড় বসানো থাকলে, তা থেকে আনারকলি বানিয়ে নিন। আনারকলি বানানোর অনেক কাপড় লাগে, যেহেতু আনারকলিতে অনেক কুঁচি হয়। আর সেই কাপড়টা আপনি আপনার পুরোনো শাড়ি থেকে খুব সহজেই পেয়ে পেয়ে যাবেন।





