সুস্থ এবং আকর্ষণীয় শরীর-ই উপভোগ্য করে তুলতে পারে দাম্পত্য-জীবনকে।বিয়ের আগে মানসিক প্রস্তুতির মতো শারীরিক প্রস্তুতিরও প্রয়োজন আছে। কারণ, দাম্পত্য মানেই স্বামী-স্ত্রী উভয়ের চাওয়া-পাওয়া কিংবা ভালোলাগার বিষয়টি প্রাধান্য পায়। অতএব নিজের শরীর ফিট রেখে অন্যকে খুশি করাটাও আপনার দাম্পত্য কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। আর বিয়ের আগে দ্রুত Physical Fitness-এর অন্যতম মাধ্যম Gym। এই জিম শুধু যে শরীরকে মেদমুক্ত রাখে তা নয়, রোগমুক্তিতেও সহায়ক ভূমিকা নিয়ে থাকে।
ফর অ্যাট্রাক্টিভ বডিঃ স্লিম ফিগার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সবার। তাই জিম-এ যান এবং শরীরকে আকর্ষক রূপ দিন। জিম করলে হাত এবং পায়ের মাসল স্ট্রং এবং অ্যাট্রাক্টিভ হবে। পেটের মেদও ঝরবে এবং কোমর পাতলা হবে। আর আপনার আকর্ষক শরীর আপনার লাইফ-পার্টনার-এর খুব পছন্দ হবে এবং উভয়ের সেক্স-লাইফ ভালো হবে।
স্ট্রেস ফ্যাক্টরঃ দাম্পত্য-জীবনে কিছু সমস্যা আসবেই। তাই Stress হওয়াটাও স্বাভাবিক। কিন্তু স্ট্রেস থাকলে এনার্জির ঘাটতি হয় শরীরে। ফলে, সেক্স-এর ইচ্ছে কমে যায় কিংবা সম্পূর্ণ আনন্দলাভ হয় না। কিন্তু জিম-এ নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে স্ট্রেস কমবে। আর স্ট্রেস কমলে জীবনকে উপভোগ করার এনার্জি বহাল থাকবে।
ব্যালেন্স ডায়েটঃ এক্সারসাইজ করার পাশাপাশি, Diet chart মেনে চলতে হয়। এক্সারসাইজ-এর ধরন এবং শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী ডায়েট চার্ট তৈরি করে দেন ট্রেনার। ওয়ার্কআউট-এর পর শরীরকে কী রকম পুষ্টি জোগান দিতে হবে, তা ঠিক করে নিতে হয় এক্সপার্ট-এর সাহায্যে। যেমন, মাসল তৈরির জন্য প্রোটিন এবং জিংক-যুক্ত খাবার লাগে, ঠিক তেমনই হেল্দি সেক্সলাইফ-এর জন্য Balanced Diet-এর প্রয়োজন।
ইস্টোস্টেরোন হরমোনের মাত্রাঃ অন্তরঙ্গ মুহূর্তকে উপভোগ্য করে তোলার জন্য ইস্টোস্টেরোন হরমোন-এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এই হরমোন যৌন ইচ্ছে জাগায় এবং যৌনতার স্থায়ীত্ব বাড়িয়ে তোলে। আর সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত এক্সারসাইজ করে, বিশেষ করে জিম, তাদের ইস্টোস্টেরোন হরমোন লেভেল বেড়ে যায় এবং সেক্স-লাইফ স্ট্রং হয়।
আত্মবিশ্বাস বাড়ায়ঃ স্থুলতা সেক্স-এর জন্য ক্ষতিকারক। মিলনকালে সহজেই ক্লান্তি আসে। লোকেরা নিজেও যৌনসুখ সম্পূর্ণ উপভোগ করতে পারেন না এবং সঙ্গীকেও সন্তুষ্ট করতে পারেন না। এর ফলে আত্মবিশ্বাস কমতে থাকে। যৌন ইচ্ছেও কমতে থাকে। কিন্তু জিম করে সমস্যা দূর করা যায় এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ানো যায়।
এনার্জি লেভেল ফ্যাক্টরঃ নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে এনার্জি লেভেল বাড়ে। জিম-এ এক্সারসাইজ করার পর দীর্ঘ সময় পর্যন্ত এনার্জি থাকে শরীরে এবং কাজ করা যায় সহজে। তাই, ক্লান্তি দূর করতে এবং এনার্জি লেভেল বাড়াতে নিয়মিত জিম করুন।
শ্বাসকষ্ট দূর হয়ঃ ধুলো, ধোঁয়া এবং আরও নানারকম কারণে অনেকেই এখন ব্রিদিং প্রবলেম-এ ভোগেন। আর ব্রিদিং প্রবলেম থাকলে যৌনসুখ লাভে ব্যাঘাত ঘটে। কিন্তু যদি নিয়মিত জিম করা যায়, তাহলে শ্বাসকষ্ট দূর হয় এবং স্বাভাবিক শরীরী সুখ পাওয়া যায়। অতএব, জিম করুন নিয়মিত।