এই কোভিড পরিস্থিতে যখন সারাদিনই টিভি আর সোশাল মিডিয়ায় মন খারাপ করা খবর, নিরন্তর  ডিপ্রেশন বাড়ছে মানুষের৷ কাজ করার ইচ্ছে, ভালো থাকার ইচ্ছে দুই-ই চলে যাচ্ছে ৷ সবকিছু থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা, বেশি আরামপ্রিয় হয়ে পড়া, অতিরিক্ত ঘুম প্রভৃতি হল অলসতার লক্ষণ। এসব লক্ষণ দেখা দিলেই, প্রথমে এর প্রকৃত কারণ খোঁজার চেষ্টা করুন এবং আলস্য দূর করুন।

অনেকে হয়তো ভাবছেন এটা সাময়িক আলস্য৷ কিন্তু এখনই এই কর্মবিমুখতা থেকে না বেরোলে, বড়সড়ো ডিপ্রেশনের শিকার হবেন৷ তাই চনমনে থাকুন৷ ইতিবাচক মানসিকতা থেকে আলস্য কাটিয়ে উঠুন৷

> নিজে যদি আলস্যের কারণ খুঁজে না পান, তাহলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। রক্ত, মল, মূত্র, কফ, থুতু ইত্যাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে একমাত্র চিকিত্সকই দেখে বুঝবেন, আপনার শরীরে কোনও রোগ-জীবাণু বাসা বেঁধেছে কিনা। মনে রাখবেন, অলসতার প্রথম এবং প্রধান কারণ কিন্তু শারীরিক রোগ-ব্যাধি। আর যদি তাই হয়, তাহলে অবশ্যই উপযুক্ত চিকিত্সা করান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব

> শারীরিক দুর্বলতা বা অসুস্থতা ছাড়া যদি সাধারণ আলস্যের শিকার হন, তাহলে অবশ্যই প্রথমে বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করুন। বন্ধুদের সঙ্গে ফোনে কথা বলুন, বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রযোজন হলে নিছক আড্ডা দিয়ে শারীরিক এবং মানসিক জড়তা কাটান

> রাতে ১১টার মধ্যে ঘুমোতে যান এবং ভোরবেলা উঠুন। যোগ ব্যাযাম অভ্যাস করুন অথবা, বাড়ির বাইরে বেরিয়ে অন্তত তিরিশ মিনিট হেঁটে আসুন

>  ঘরদোর, নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখুন। কারণ, অগোছালো পরিবেশ আলস্য বাড়িয়ে দেয়

>  ধূমপান বন্ধ করুন। কারণ, ধূমপান মস্তিষ্ক কোশের সক্রিয়তা নষ্ট করে এবং রক্তবাহী নালী ব্লক করে দেয়। ফলে, আলস্য গ্রাস করে

> পেট পরিষ্কার রাখুন। এর জন্য টাটকা শাক-সবজি, ফলমূল প্রভতি ফাইবার-যুক্ত খাবার খান

>  নিজেকে সারাদিন কর্মব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন। নিজের শখ-আহ্লাদ পূরণ করার কথা ভাবুন। ডিপ্রেশনকে মনে ঠাঁই দেবেন না।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...