অনেকেরই মনে হতে পারে বাচ্চার ঘর আলাদা করে সাজাবার কী আছে? কিন্তু বড়োদের মতো বাচ্চারাও নিজস্ব একটা ব্রিদিং স্পেস খোঁজে যেখানে সে আরাম করবে, নিজের জিনিসপত্র নিজের মতো করে রাখবে। বাড়িতে বন্ধুরা এলে সেখানে আলাদা করে তাদের সঙ্গে খেলা করতে পারবে।
এখন সব পরিবারেই বাচ্চাদের একটা আলাদা ঘর থাকেই। সুতরাং পুরো বাড়ির সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চার ঘরটিকেও মনের মতো সাজিয়ে তোলার এটাই ভালো সুযোগ।
প্ল্যানিং করার আগে ভেবে নিন বাচ্চার জন্য বেডরুম আর স্টাডিরুম একসঙ্গে হবে, না আলাদা? একটির বেশি সন্তান হলে আলাদা আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করার পরিস্থিতি আপনার আছে কিনা, ইত্যাদি ইত্যাদি। বাচ্চার জন্য ঘর সাজাতে গিয়ে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখুন।
বাজেট : বাজেট অনুযাযী প্ল্যানিং করুন।
বেড : দুটি সন্তান হলে বেড একটাই রাখবেন, না ঘরের আকার অনুযাযী দুটো রাখবেন সেটা চিন্তা করতে হবে। দুটো বেডের মধ্যে ছোটো র্যাক বা সাইড টেবিল রাখতে পারেন। মধ্যে পর্দারও ব্যবস্থা করে দিতে পারেন, তাতে দুটো আলাদা ঘর বলে মনে হবে।
খোলা স্পেস : দেয়ালের গা ঘেঁষে বেড রাখলে ঘরের ভিতর কিছুটা ওপেন স্পেস থাকবে বাচ্চার খেলার জন্য।
বাঙ্ক বেড : দুটো বেড অথবা একটি বড়ো বেড রাখা না গেলে বাঙ্ক বেডের ব্যবস্থা করতে পারেন। অনেক ডিজাইনের পাওয়া যাবে।
দেয়ালের রং : বাচ্চার ঘরের দেয়ালের রং সাদা না করে নীল, গোলাপ, হলুদ কিছুও করতে পারেন।
পছন্দের স্টিকার : দেয়ালে বাচ্চার পছন্দের স্টিকার লাগিয়ে দিন। দেয়াল খারাপ হয়ে যাবে মনে হলে বড়ো একটা বোর্ড লাগিয়ে দিন। বাচ্চা বোর্ড পিন দিয়ে নিজের পছন্দের ছবি বা স্টিকার লাগাতে পারবে।
ওয়ার্ডরোবস : দুটো বাচ্চা থাকলে আলাদা আলাদা ওয়ার্ডরোড রাখুন। এছাড়াও স্টোরেজ বিন্স বা বাস্কেট রাখুন, যাতে বাচ্চা পছন্দের খেলনাগুলো রাখতে পারবে।
টেবিল : একই ঘরে স্টাডি টেবিল রাখতে হলে, যেখানে সবথেকে বেশি আলো সেখানটায় ব্যবস্থা করুন।
খেলনা : বাচ্চার পছন্দ অনুযাযী আলাদা আলাদা খেলনা কিনে দিন। এক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়ে পছন্দ সম্পূর্ণ আলাদাই হয়।