অনেকেই আছেন যারা মুখ গুঁজে কাজ করে যান, অথচ তারা বাহবা পান না। তাদের কাজের মূল্যায়ন বা সমাদর কোনওটাই হয় না। আবার কেউ কেউ ওয়ার্কপ্লেসে খুব সহজেই প্রশংসিত হন, জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।

বাড়তি সময় অফিসে থাকা, কম্পিউটার বা ফাইলে মুখ গুঁজে কাজ করা, ব্যাগের ভিতরে রাখা মোবাইল চেঁচিয়ে গলা ফাটিয়ে ফেললেও তাকে স্রেফ উপেক্ষা করা— এই সবই নিশ্তিত ভাবে একজন সুদক্ষ কর্মীর লক্ষণ। কিম্তু শুধু ভালো কর্মী হলেই যে সহকর্মীদের সঙ্গে আপনার সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে তেমন নয়৷ দিনের একটা বড়ো অংশ আপনাকে হয়তো অফিসেই কাটাতে হয়৷ ফলে অফিসই এক সময় হয়ে ওঠে আপনার বৃহত্তর পরিবার৷ তাই সেখানে সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি আপনাকে হয়ে উঠতে হবে জনপ্রিয়৷

কী করবেন ভেবে যখন আপনি দিশাহারা, তখন আমরা এগিয়ে দিচ্ছি সাহায্যের হাত৷নতুন সংস্থায় চাকরিতে ঢুকে সকলেই ‘গুডবয়’ ইমেজ তৈরি করতে ব্যস্ত থাকেন। সেটাই স্বাভাবিক। খোলস ছে়ড়ে বেরনোর পর্ব শুরু হয় লাঞ্চটাইম দিয়ে।  নতুন অফিসে কলিগদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতানোর সুযোগ মেলে লাঞ্চ টাইমেই। সকলের সঙ্গে মেশার ও আলাপ করার পক্ষে কিন্তু মধ্যাহ্নভোজের সময়টাই উপযুক্ত।

আপনি যদি কোনও সংস্থায় টিমলিডার হয়ে জয়েন করেন, তাহলে টিম পরিচালনা করার কারণেও আপনাকে সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে৷ অনেক সময় টিম লিডারের খারাপ আচরণের কারণে কোম্পানি বড়োসড়ো ক্ষতির শিকার হয়৷গবেষণায় দেখা গেছে, সংস্থা বা সংস্থার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ নন, টিম-লিডার বা বসের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়েই অধিকাংশ কর্মী চাকরি ছাড়েন। একজন কর্মী তাঁর পেশায় উন্নতির লক্ষ্যেই চাকরি করেন। যখনই তাঁর বস বা টিম-লিডার তাঁর উন্নতির পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান, তখন বাধ্য হয়েই চাকরি ছেড়ে নিজের উন্নতি বজায় রাখতে চান কর্মীরা। তাই আপনার জনপ্রিয়তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল, অধস্তনদের প্রতি আপনার ব্যবহার ও মনোভাব৷

আপনার কাজের দক্ষতার পাশাপাশি কিছু বিশেষ গুণাবলি থাকা আজকের দুনিয়ার ক্ষেত্রে ‌বিশেষ ভাবে জরুরি৷সেটা হল আপনি কীভাবে নিজেকে প্রোজেক্ট করছেন, সেই ভাবমূর্তি৷ সময়মতো কাজ সুষ্ঠু ভাবে সম্পাদন করার পাশাপাশি, বিনয়ী, মিশুকে এবং ঠান্ডা মাথার মানুষদের সবাই পছন্দ করে৷ আপনিও কী ভাবে সকলের পছন্দের তালিকায় নিজের নামটি রাখতে পারবেন, জেনে নিন৷

  • রোজ সকালে সেদিনের কাজ কতটা শেষ করবেন, তার একটা ব্যক্তিগত টার্গেট সেট করুন
  • ডেডলাইনের আগে প্রোজেক্ট শেষ করলে বা বিশেষ কিছু অ্যাচিভ করলে, সেদিন নিজেকে একটা ট্রিট বা গিফ্ট দিন
  • ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স বজায় রাখার চ্যালেঞ্জটা সফল ভাবে মেনটেন করুন। অর্থাত্ অফিসের কাজ বাড়ি বয়ে আনবেন না। বাড়িতে রিফ্রেশড থাকলে তবেই অফিসের আউটপুট ভালো হবে
  • অফিসেও শুধু কাজ আপনাকে বোরডম-এর দিকে ঠেলে দেবে। কাজের ফাঁকে উঠে একটু হেঁটে আসুন বা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন বা দশ মিনিট ব্রেক নিয়ে গান শুনুন
  • নিজের মূল্যায়ন নিজে করুন। আপনি বাকিদের থেকে কোথায় এগিয়ে বা পিছিয়ে আছেন, সেটা বুঝলে, আপনার পারফর্মেন্স উন্নত হবে
  • সহকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখুন, কাজের পরে কিছুটা সময় আড্ডা দিন। ওদের কাজেও সাহায্য করুন। অতিরিক্ত দাম্ভিক হয়ে উঠবেন না।
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...