বিনোদনের বাংলা চ্যানেল ‘আকাশ আট’-এর জনপ্রিয় বিভাগ ‘সাহিত্যের সেরা সময়’। এই বিভাগে শুরু হল নতুন সিরিজ ‘যার যেথা ঘর’। আশুতোষ মুখোপাধ্যায়-এর উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি এই সিরিজ-টি গত ৮ মে থেকে সম্প্রচারিত হচ্ছে সোম থেকে শনি প্রতিদিন সন্ধে সাড়ে সাতটার সময়। ‘সাহিত্যের সেরা সময়’ বিভাগের ষষ্ঠ এই সিরিজ-টির কাহিনি বিন্যাস, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা করেছেন রাকেশ ঘোষ। ‘যার যেথা ঘর’ সিরিজটি পরিচালনা করছেন সজল বোস।
‘যার যেথা ঘর’ কাহিনির কেন্দ্রীয় চরিত্র আরতি। জীবনের অনেকগুলো দিন পার করে আসার পর আরতি এই সত্য উপলব্ধি করে যে, মেয়েদের জীবনে একটা সূর্যের দরকার, যে আলো দেবে।
বড়োলোক অ্যাটর্নির সাহিত্যিক মেয়ে আরতির জীবনটা জুড়ে যায় নিতান্তই অপছন্দের পুরুষ প্রতিবেশী সুনন্দর সঙ্গে। সুনন্দ প্রেমিক, দায়িত্বশীল কিন্তু রোমান্টিক নয়। আরও বড়ো সত্য হল, সুনন্দ নিম্ন-মধ্যবিত্ত। সাতের দশকের উত্তাল কলকাতা শহরে পরস্পরের বিপরীতে অবস্থান করা দুই বাড়ির দুই ভিন্ন মেরুর নারী-পুরুষ সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ হয় ঠিকই কিন্তু তাদের বৈবাহিক জীবনে অনুপস্থিত থাকে প্রেম। এই ঘর, এই সংসার তাই আরতির নিতান্তই অপছন্দের, আরতি তাই তার সূর্যের তেজে শুধুই জ্বলে। জ্বলে পুড়ে খাক হয়। আলো পায় না। বরং তার জীবনের একমাত্র আলো তার মেজো জামাইবাবু মনোতোষ, যাকে আরতি মনে করে পুরুষ-শ্রেষ্ঠ। আরতির অজান্তেই বড়ো ভুল হয়ে যায় তার বিশ্লেষণে। দায়িত্ববান, কর্তব্যপরায়ণ, তন্নিষ্ঠ সুনন্দর অন্তর্লীন প্রেমের আবেগকে সে স্পর্শ করতে পারে না, অন্যদিকে বহিরঙ্গে রোমান্টিক, ভদ্রলোক মনোতোষের ছদ্ম-প্রশস্তিতে সে বুঁদ হয়ে থাকে।
আরতি জীবনভর বহু পুরুষ দেখেছে, তার বাবা তপনজ্যোতি, দাদা চঞ্চল, বড়ো জামাইবাবু অমরেন্দ্র, মেজদির প্রেমিক রমেশ, নিজের স্বামী সুনন্দ - সবাইকে ছাপিয়ে মনোতোষকেই তার মনে হয় সূর্য, মনে হয় আলো।
একদিন জালিয়াতির ব্যবসায়ী মনোতোষের মুখোশ খুলে যায়, নখ-দাঁত নিয়ে পুরুষ-শ্রেষ্ঠর আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে দানব। একই সঙ্গে অর্থ ও সম্মানের গুণগারের কিনারায় এসে দাঁড়ায় আরতি। জেরবার আরতিকে বরাবরের মতো তীব্র জ্বলনের হাত থেকে উদ্ধার করে আলো দেয় সুনন্দই। আরতি উপলব্ধি করে আসল আলো কোথায়, প্রকৃত সূর্য কে, সত্যের ঘর কোনখানে।