যাদের ইমিউনিটি শক্তি বেশি, তাদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। বড়ো কোনও অসুখে পড়লেও তাদের সুস্থ হয়ে উঠতে বেশি সময় লাগে না। অবসাদ দূরে রেখে যোগ-ব্যায়াম এবং মেডিটেশনের মাধ্যমে ইমিউনিটি বাড়ানো সম্ভব। এছাড়াও ইমিউনিটি শক্তি বাড়াতে সুষম এবং পুষ্টিকর আহার অত্যন্ত প্রযোজনীয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে একমাত্র বাঁচার উপায় হল শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়িয়ে নিজেকে মজবুত করে তোলা।

ইমিউনিটি বাড়াবার জন্য কী খাবেন?

সবুজ শাকসবজি : পালংশাক, মেথিশাক, সরষেশাক ইত্যাদি সবুজ পাতা-যুক্ত সবজি রাখুন খাদ্য-তালিকায়। এগুলি আয়রন, অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগ্নেশিয়াম, কপার, ফসফেট ইত্যাদি তত্ত্বে ভরপুর।

ভিটামিন সি : কমলালেবু, আমলকী, পাতিলেবু, কিউযি, পেয়ারা, ব্রোকোলি, পালংশাক ইত্যাদি ফল ও সবজি ভিটামিন সি-তে ভরপুর। শরীর সুস্থ রাখতে ভিটামিন সি খাওয়া খুবই জরুরি। এগুলো ইমিউনিটি শক্তি বাড়ায় এবং অসুখের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা প্রদান করে।

ভিটামিন এ : কমলা বা লাল রঙের ফল আর সবজি যেমন পেঁপে, গাজর, রাঙাআলু, তরমুজ, লাল আঙুর, আম ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। এটা আমাদের ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়াতে সাহায্য করে।

ক্যালসিয়াম : হাড় শক্ত করতেই যে শুধু দরকার ক্যালসিয়ামের এমন নয়, শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। দুধ, দই, ঘি, ছানা, চিজ, ছাছ, ভিন্ডি, পালং, ব্রোকোলি, বিনস এবং ফলের মধ্যে কমলালেবু, কিউইয়ি, ব্ল্যাকবেরি, পেঁপে ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে।

ফাইবার : ফাইবার-যুক্ত আহার আমাদের হজম প্রক্রিয়া মজবুত করতে সাহায্য করে। ফাইবার-যুক্ত সবজি, ফল, ব্রাউন ব্রেড, ডাল, গমের আটা, ড্রাইফ্রুটস, ওটস, কড়াইশুঁটি, ভুট্টা ইত্যাদি ইমিউনিটি শক্তি বাড়াতে খুবই কার‌্যকরী। এগুলি নানা ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ আটকাতে সাহায্য করে মানুষের শরীরে।

তুলসী : তুলসী অ্যান্টিবাযোটিকের কাজ করে। রোগপ্রতিরোধক হিসেবেও কাজ করে, সঙ্গে শরীরের ইমিউনিটি শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। রোজ সকালে খালি পেটে ৪-৫টি তুলসীর পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও মধুর সঙ্গে তুলসীপাতা সেবন করলে সর্দি, কাশির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

হলুদ : মশলার মধ্যে সবথেকে উপকারী বলা হয় হলুদকে। ইমিউনিটি বাড়াবার সঙ্গে সঙ্গে, হলুদ অ্যান্টিবাযোটিক হিসেবেও কাজ করে। এছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টি ফাংগাল এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি গুণ, যা শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে সহায়তা করে। খাবার তৈরির সময় হলুদের ব্যবহার করা এবং দুধের মধ্যে হলুদ দিয়ে খাওয়া এই সময় খুবই প্রযোজন।

মাল্টি ভিটামিন ক্যাপসুল : যদি উপরে দেওয়া খাবারগুলি কোনও কারণে খাওয়ার অসুবিধা থাকে, তাহলে মাল্টি ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে। ইমিউনিটি বাড়াবার জন্য ক্যালসিয়াম, মাইক্রো নিউট্রিযে্টস যেমন জিংক, কপার, ম্যাঙ্গানিজ এবং ভিটামিন ডি থ্রি বেশি মাত্রায় খাওয়া বাঞ্ছনীয়।

প্রচুর পরিমাণে পানীয় : জল শুধু তেষ্টা মেটায় না, শরীরে ওষুধের মতো কাজ করে। শরীরের বর্জনীয় বিষাক্ত তত্ত্ব বাইরে বার করে দিতেও সাহায্য করে। এতে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। সারাদিনে অন্ততপক্ষে তিন লিটার জল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...