প্রতিদিন বাতাসে মিশে থাকা দূষণের শিকার আপনার ত্বক। ত্বকের গভীরে তা পৌঁছে গিয়ে বড়োসড়ো ক্ষতি হতে পারে। তাই সচেতন হোন আজই। ফেসিয়ালই সেই পন্থা, যা কিনা ত্বকের গভীরে গিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে। ত্বককে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায়। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে। ফেসিয়াল করার সময় ক্লিনজিং, টোনিং,স্ক্রাবিং, মাসাজ–- এই চার ধরনের প্রক্রিয়ায়, ত্বক পরিষ্কার হয়ে যায়। অন্যদিকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ার ফলে, ত্বকে টানটান ভাব আসে।
ফেসিয়াল করার আগে শুধু কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখুন
- ক্লিনজিং-এর পর ত্বকের সংবেদনশীল অংশ, যেমন চোখ ও ঠোঁটের আশপাশের অংশে তেল লাগাতে পারেন। এছাড়া গোলাপজলে ডোবানো তুলোর প্যাড বোজা চোখের উপরে রাখতে পারেন
- ফেসিয়ালের সময় মাসাজ আবশ্যিক
- মাসাজ করার আগে অল্প গরম জলে টাওয়াল ডুবিয়ে মুখটা একটু স্পঞ্জ করে নিতে পারেন। এতে মাসাজের সময় রক্ত সঞ্চালন আরও ভালো হবে
মিনারেল ফেসিয়াল - শুষ্ক ত্বকের জন্য এই ফেসিয়াল একেবারে অব্যর্থ। এর দ্বারা ত্বকের মিনারেল-এর ঘাটতি খানিকটা পূরণ করে দেওয়া হয়। ত্বক প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়।
প্রথমে স্ক্রাবিং ও পরে ডিপ ক্লিনজিং করার পরে ত্বকে জেট মেশিন দ্বারা মিনারেল প্রবেশ করানো হয়। এই ফেসিয়ালে ত্বক ঝলমলে হয়ে ওঠে।
অ্যালোভেরা ফেসিয়াল - এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য আরও একটি অপরিহার্য ফেসিয়াল। এই ফেসিয়ালের মাধ্যমে অ্যালোভেরা পাল্প ত্বকের উপর মাসাজ করা হয়। এটি ত্বকে পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি, ত্বকে আর্দ্রতাও ফিরিয়ে আনে।
ত্বকের নিষ্প্রাণ ভাব দূর করতে এই দুটি ফেসিয়ালের জবাব নেই। ত্বকের ক্ষতি হয়ে গিয়ে থাকলে, ত্বকের পরিচর্যায় আজই যত্নবান হোন।
ফলের ফেসমাস্ক
শুষ্ক ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। পেঁপে, কলা, মধু, অ্যাভোক্যাডো ও দুধ দিয়ে তৈরি করতে পারেন এই ফেসমাস্ক। এর নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের শুষ্কভাব উধাও হবে।
ডিমের ফেসমাস্ক
১টা ডিমের কুসুমের সঙ্গে ১চা-চামচ মধু মিশিয়ে, কয়েকফোঁটা লেবুর রস ও গোলাপজল দিয়ে তৈরি করুন এই ফেসমাস্ক।