শীতের কড়া রোদ যতই আরামদায়ক হোক, বেশিক্ষণ এই রোদ ত্বকে লাগলে, ত্বক ঝলসে যাবে। যারা অতিরিক্ত খোলা জায়গায় কাজ করেন, তাদের ত্বকের পক্ষে এই রোদ ক্ষতিকারক। ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে কীভাবে হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দেবেন, রইল তারই কিছু পরামর্শ।
বরফে বাজিমাত
প্রথমে রোদে ঝলসানো ত্বকে একটা আইস কিউব নিয়ে ঘষুন। এতে ত্বকের পোড়া ও জ্বালা ভাব হ্রাস পাবে। আইস-এর কুলিং প্রপার্টিজ, ত্বকের অতিরিক্ত তাপ শুষে নেবে, যার ফলে আপনি ত্বকের ঝলসে যাওয়া অনুভতি থেকে আরাম পাবেন।
দইয়ের প্যাক
রোদে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে বাঁচাতে, দই হল অব্যর্থ। দইয়ের প্রোবায়োটিক্স এবং এনজাইম, স্কিন পরিষ্কার করে। ছোটোখাটো স্কিন ইনফেকশন রোধ করে। মুখে ১০-১৫ মিনিট দইয়ের প্রলেপ দিয়ে রেখে দিন স্নানের আগে। এরপর ধুয়ে নিলেই দেখবেন মুখের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে এসেছে। রোমছিদ্র খুলে ত্বক পরিষ্কারের কাজটাও করে দই। দইয়ের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুণ ত্বকের প্রদাহ থেকে মুক্তি দেয়। সপ্তাহে অন্তত ৪ বার এই প্যাক লাগান।
মধু-দুধে সমাধান
রোদে পোড়া ত্বকের হাল ফেরাতে, সঙ্গী করতে পারেন মধু ও দুধকে। একটি বাটিতে ১ বড়ো চামচ মধু, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস আর ১ চামচ দুধ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখের উপর সমান ভাবে লাগিয়ে অন্তত ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। লাগানোর সময় হালকা হাতে মাসাজও করতে পারেন। শুকিয়ে গেলে জলের ঝাপটায় মুখ ধুয়ে নিন। এটা নিয়মিত ভাবে করলে, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় থাকবে।
মধু অ্যান্টি ট্যান এজেন্ট হিসাবে অত্যন্ত সক্রিয়। অন্য দিকে দুধে রয়েছে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করার গুণ। ফলে ত্বকের সমস্যা নির্মূল করতে এই প্যাক দারুণ কার্যকরী।
রাইস ওয়াটার প্যাক
শীতের ঝলসানো ত্বকে রাইস ওয়াটার প্যাক প্রয়োগ করতে পারেন। ভাতের পাতলা মাড় ফ্রিজে রেখে দিন। এর মধ্যে এসেন্সিয়াল অয়েল কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে দিন। এবার টিশু পেপারের সাহায্যে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। এটা সানবার্ন সারাতেও অব্যর্থ।