মুখের আদল অনুযায়ী যথাযথ হেয়ারকাট, হেয়ার স্টাইল এবং হালকা মেক-আপের টাচেই বয়সটা খানিকটা কমিয়ে ফেলতে পারেন। আজ্ঞে হ্যাঁ, একটা ইয়ং লুক আনতে এই নিয়েম মেনে চলুন৷সেই সঙ্গে মেক-আপ-এও কিছু টুকিচাকি পরিবর্তন আনুন৷হেভি মেক-আপ, যেমন সৌন্দর্য হ্রাস করে,তেমনি বয়সটাও বাড়িয়ে দেয় অনেকটা।
মেক-আপ করার আগে মুখ পরিষ্কার করে নিন৷ ময়েশ্চারাইজার-এর ব্যাপারটা এড়িয়ে যাবেন না। এরপর কয়েকফোঁটা টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার হালকা হাতে মুখের নীচ থেকে উপরের দিকে ব্লেন্ড করে নিন।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক চাপ, ঘুম কমে যাওয়া, অসময়ে খাবার খাওয়া, ফাস্ট ফুড গ্রহণের বদ অভ্যাস, অতিরিক্ত কাজের প্রেশার— ডাক সার্কলস বাড়িয়ে দেয়।
ব্লু টোন ডার্ক সার্কল্স হলে, ইয়োলা আর পিচ টিন্টেড কনসিলার ব্যবহার করুন। আর লাইট অর্থাৎ হালকা সার্কলস থাকলে স্কিন টোনের তুলনায় খানিক হালকা শেড, ব্রাশ নয়তো আঙুলের ডগা দিয়ে লাগান। দীর্ঘক্ষণের জন্য কোথাও যেতে হলে পাউডার দিয়ে লক করে দিন।
বয়স যৌবনের প্রান্তে এসে দাঁড়ালে ঠোঁটের চারপাশের ত্বক শিথিল হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক৷ এতে ঠোঁট পাতলা হয়ে যায়৷ এক্ষেত্রে ডার্ক কালারের পেন্সিল দিয়ে ঠোঁট আঁকবেন না। ডার্ক লিপস্টিক লাগানোর ফলে পাতলা ঠোঁট আরও প্রমিনেন্ট হয়ে পড়ে। ঠোটে প্লামপিং এফেক্ট দেওয়ার জন্য আউটলাইনার দিয়ে পুরো ঠোট ভরে সুন্দর আকার দিন। পরে হালকা করে লিপগ্লস লাগান।
পাউডার ব্লাশার-এর বদলে, আপনার স্কিন টোন (লাইট, মিডিয়াম, ডার্ক) অনুযায়ী ক্রিমি ব্লাশার বেছে নিন। এটা ন্যাচারাল গ্লোয়িং চিকস্ এফেক্ট দেবে।
বয়সের ছাপ সর্বদা চোখ আর তার আশপাশের ত্বকেই বেশি লক্ষ্য করা যায়। হরমোনের অসামঞ্জস্যতার ফলে আই ল্যাশেস হালকা হয়ে যাওয়া, বলিরেখার কারণে আইব্রোজ শিথিল হয়ে যাওয়া, ডার্ক সার্কল্স ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে থাকে।
চোখের মেক-আপ করার আগে আইব্রো দুটিকে পয়েন্ট আর্চ-এর শেপ দিন। আইব্রো যতটা সম্ভব মোটা রাখার চেষ্টা করবেন, যাতে আপনাকে আপনার বয়সের থেকে কম বয়সি মনে হয়।