মেক-আপ করতে হলে কিছু কিছু বিষয়ে জেনে রাখাটা একান্ত প্রয়োজন নয়তো আপনার পুরো প্রচেষ্টাটাই বিফলে চলে যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে প্রসাধন সামগ্রীর সঠিক ব্যাবহার জেনে রাখাটা খুব দরকার।
ক) পুরো মুখে ফাউন্ডেশন লাগানো উচিত নয়। যে-জায়গাগুলোয় ত্বকের রঙের পার্থক্য রযে সেই জায়গায় শুধু লাগানো উচিত। ফাউন্ডেশনের শেড ত্বকের রঙের সঙ্গে মানানসই হওয়া একান্ত দরকার। নাকের দুই পাশ মুখের অন্য অংশের তুলনায় বেশি কালো। সেই ক্ষেত্রে ওই অংশে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে মুখের অন্য অংশেও চারিয়ে দিন, যাতে পুরো ত্বকের রং একরকম দেখতে লাগে
খ) ভুরু হালকা হলে তাকে স্পষ্ট করে তোলার জন্য আইব্রো পেনসিল ব্যবহার করুন। ভুরুর ন্যাচারাল লুক ধরে রাখার চেষ্টা করুন। পুরো ভুরু আঁকবেন না
গ) প্রাইমারকে গুরুত্ব দিন। দীর্ঘ সময় মেক-আপ টিকিয়ে রাখার জন্য প্রাইমার অবশ্যই ব্যবহার করুন। মেক-আপ করার আগে বরফ নিয়ে মুখে ঘষুন। এতে ত্বক হাইড্রেটেড থাকবে এবং মেক-আপও দীর্ঘ সময় পর্যন্ত টিকবে
ঘ) মেক-আপ ব্র্যান্ড নিয়ে আমরা খেয়াল রাখি কিন্তু মেক-আপ ব্রাশ-এর যত্ন নিই না। ব্রাশ আমরা সাধারণত পরিষ্কার করি না। ফলে ওতে ব্যাক্টেরিয়ার জন্ম হয়। সাবান জলে ব্রাশ ভিজিয়ে রাখা উচিত, পরে জল দিয়ে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। আর নয়তো ব্রাশ ক্লিনার ব্যবহার করা যেতে পারে
ঙ) মাসকারা লাগাবার আগে আইলাইনার লাগিয়ে নেওয়া বাঞ্ছনীয়
ডেইলি রুটিন বিষয়ে
ক) হাইড্রেটেড ত্বকেই মেক-আপ করুন। ত্বকের ক্লিনিং, টোনিং এবং ময়েশ্ছারাইজিং-এর খেয়াল রাখুন। এতে মেক-আপ করতে সুবিধা হবে
খ) পাউডার-এর ব্যবহার কম করতে হবে। ফেসকে পারফেক্ট করতে হলে লিকুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা উচিত। এতে মুখের দাগছোপ ঢেকে ফেলা সম্ভব হয়। এটার উপর হালকা করে পাউডার লাগিয়ে নিলেই মেক-আপ বেস তৈরি হয়ে যায় এবং অনেকটা সময় মেক-আপ টিকেও থাকে
গ) মেক-আপ করার সময় খেয়াল রাখুন, ব্রাইট লিপস্টিক বা ব্রাইট ব্লাশার-এর মধ্যে যে-কোনও একটাকে বেছে নিতে হবে। দুটোই একসঙ্গে রাখতে গেলে পিকচার পারফেক্ট লুক আসবে না। মেক-আপ-এর আগে সিদ্ধান্ত নিন, ব্রাইট লুক পছন্দ নাকি নিউড